বর্ষা আদলজা | |
---|---|
![]() জামনগরে, আদলজা ১৯৯৫ | |
জন্ম | বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই), বোম্বে প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ১০ এপ্রিল ১৯৪০
পেশা |
|
ভাষা | গুজরাটি |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার |
|
বর্ষা মহেন্দ্র আদলজা হলেন একজন ভারতীয় গুজরাটি ভাষার নারীবাদী ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং আলোচক। তিনি তাঁর উপন্যাস আনসার -এর জন্য গুজরাটি ভাষায় ১৯৯৫ সালের সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি একজন নাট্যকার, তিনি মঞ্চ নাটক, চিত্রনাট্য এবং রেডিওর জন্য লেখেন।
বর্ষা আদলজা ১৯৪০ সালের ১০ এপ্রিল, বোম্বেতে (বর্তমানে মুম্বাই ) গুজরাটি ঔপন্যাসিক গুণবন্তরাই আচার্য, এবং নীলাবেনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার জামনগরের বাসিন্দা। তিনি ১৯৬০ সালে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুজরাটি এবং সংস্কৃতে বিএ সম্পন্ন করেন।[১] পরে তিনি ১৯৬২ সালে সমাজবিজ্ঞানে এমএ সম্পন্ন করেন।[১][২] তিনি বৃত্তি পেয়ে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় নাটক অধ্যয়ন করেন। তিনি ১৯৬১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত আকাশবাণী, মুম্বাইয়ের একজন মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সালে মহেন্দ্র আদলজাকে বিয়ে করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে লেখা শুরু করেন। তাঁর বোন ইলা আরব মেহতাও একজন ঔপন্যাসিক।
বর্ষা আদলজা ১৯৭৩ – ১৯৭৬ সালের একটি মহিলা সাপ্তাহিক সুধা -র সম্পাদক হিসাবে এবং পরবর্তীতে ১৯৮৯ – ১৯৯০ এর মধ্যে আরেকটি মহিলা পত্রিকা গুজরাটি ফেমিনা-র সাথে তাঁর সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৭৮ সাল থেকে গুজরাটি সাহিত্য পরিষদের একটি কার্যনির্বাহী অফিসে অধিষ্ঠিত।[২][৩][৪] তিনি কুষ্ঠরোগীদের উপনিবেশ ও কারাজীবন অন্বেষণ করেছেন এবং আদিবাসীদের মধ্যে কাজ করেছেন।[৫]
বর্ষা আদলজা ২২টি উপন্যাস এবং সাতটি ছোট গল্প সহ ৪০টি বই লিখেছেন।[৫][৬] শ্রাবণ তারা সর্বদা (১৯৬৮) এবং তিমিরনা পদছায়া (১৯৬৯) ছিল তাঁর প্রাথমিক উপন্যাস। তারপরে তিনি লেখেন এক পালনি পরখ (১৯৬৯)। পাঁচ নে এক পাঁচ (১৯৬৯), অভাজনো আকর (১৯৭৫), ছেভাতনু ছেভাত (১৯৭৬), পাছা ফারতা (১৯৯১) এবং পাগলা (১৯৮৩) তাঁর উত্তেজনাপূর্ণ উপন্যাস। তাঁর নীলিমা মৃত্যু পামি ছে (১৯৭৭) সামাজিকের পাশাপাশি একটি উত্তেজনাপূর্ণ উপন্যাস। আটাশ (১৯৭৬) ভিয়েতনামের সহিংসতার উপর একটি উপন্যাস। তাঁর বন্দীভান (১৯৮৬) জেলে দুর্নীতি নিয়ে লেখা। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসগুলি হল গান্থ ছুত্যানি ভেলা (১৯৮০), মৃত্যুদণ্ড (১৯৯৬), মাটিনু ঘর (১৯৯১), শাগ রে শাকোরু (২০০৪), পরথম পাগলু মাণ্ডিয়ু (২০০৮) এবং পাগলু মাণ্ডু হু অবকাশমা (২০০৫)। তাঁর আরো কিছু উপন্যাস হল মারে পান এক ঘর হয় (১৯৭১), রেতপঙ্খী (১৯৭৪) এবং খাড়ি পড়েলো তাহুকো (১৯৮৩)। খারি পড়েলো তাহুকো বইতে তাঁর আরেকটি উপন্যাস এক কারাগারও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।[৪] আনসার (১৯৯২) কুষ্ঠরোগীদের উপর তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস।[৪]
তাঁর ছোটগল্পের সংকলনগুলি হল ই (১৯৭৯), সাঞ্জনে উম্বারে (১৯৮৩), এন্ধানি (১৯৮৯), বিলিপত্রাণু ছোটু পান (১৯৯৪), গান্থে বন্ধ্যু আকাশ (১৯৯৮), অনুরাধা (২০০৩) এবং কোই ভার থাই কে... (২০০৪)। তাঁর নির্বাচিত গল্পগুলি ইলা আরব মেহতা দ্বারা সম্পাদিত বর্ষা আদলজানি শ্রেষ্ঠ বার্তাও (১৯৯২) হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে।[৪]
মন্দোদরী (১৯৯৮) তাঁর একাঙ্ক নাটকের সংকলন। তাঁর আরও কিছু নাটক হলো আ ছে কারাগার (১৯৮৬), তিরাদ, শহীদ (২০০৩), বাসন্তী কোয়াল (২০০৬)। তাঁর উপন্যাস মারে পান এক ঘর হয় এবং রেতপঙ্খী ছোট টিভি ধারাবাহিকের জন্য অভিযোজিত হয়েছে। তিমিরনা পদছায়া তিন অঙ্কের নাটকে রূপান্তরিত হয়েছিল এবং শতাধিক শো চলেছে। তিনি তাঁর বাবার উপন্যাসকে দরিদ্রনারায়ণ হিসেবে টিভি ধারাবাহিক এবং পরে নাটকে রূপান্তরিত করেন। তিনি কুষ্ঠরোগ নিয়ে একটি পুরস্কারপ্রাপ্ত টেলিভিশন চলচ্চিত্র আনসার নির্মাণ করেছেন।[২][৪]
বর্ষা আদলজার প্রবন্ধ সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে পৃথ্বী তীর্থ (১৯৯৪) এবং আখু আকাশ এক পিঞ্জরমা (২০০৭)। তাঁর ভ্রমণকাহিনীগুলি হল নভ জুক্যু (২০০২), ঘুঘাভে ছে জল (২০০২), শিবোহম (২০০৬) এবং শরনাগত (২০০৭)। তিনি অমর প্রেমকথা (২০০০) সম্পাদনা করেছেন।[৪]
২০১৬ সালে তাঁর ক্রসরোড প্রকাশিত হয়েছিল। এটি তিনটি প্রজন্ম জুড়ে বিস্তৃত একটি মহান কাজের (ম্যাগনাম অপাস) ঐতিহাসিক উপন্যাস।
বর্ষা আদলজা তাঁর আনসার উপন্যাসের জন্য সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার (১৯৯৫) পেয়েছিলেন।[৭] তিনি সোভিয়েত ল্যাণ্ড নেহেরু পুরস্কার (১৯৭৬), গুজরাটি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৭, ১৯৭৯, ১৯৮০), গুজরাটি সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৭২, ১৯৭৫) এবং কে এম মুন্সি পুরস্কার (১৯৯৭) পেয়েছেন। তিনি ২০০৫ সালে রঞ্জিতরাম সুবর্ণ চন্দ্রক পেয়েছিলেন। তিনি গল্প লেখার জন্য নন্দশঙ্কর মেহতা চন্দ্রক, সরোজ পাঠক পুরস্কার এবং রামনারায়ণ পাঠক ছোটগল্প পুরস্কার পেয়েছেন।[২][৪]
পুরস্কার | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী রমেশ পারেখ |
গুজরাটির জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী ১৯৯৫ |
উত্তরসূরী হিমাংশী শেলাত |