বশিরুল হক | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
মাতৃশিক্ষায়তন | ন্যাশনাল কলেজ অফ আর্টস নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয় |
পুরস্কার | আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার (মনোনয়ন ৩ বার) |
স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান | বশিরুল হক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস |
ভবনসমুহ | ছায়ানট ভবন আশা প্রধান অফিস ভবন |
বশিরুল হক (জন্ম: ২৪ জুন, ১৯৪২) একজন বাংলাদেশী স্থপতি ও শিক্ষাবিদ। তিনি ছায়ানট ভবন ও আশা প্রধান অফিস ভবনের স্থপতি। তিনি তার পরিবেশবাদী স্থাপনার ধরনের জন্য প্রসিদ্ধ।
বশিরুল হক ১৯৪২ সালের ২৪ জুন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করনে। তার পিতা ছিলেন সিলেট জেলার ডেপুটি কালেক্টর। পিতার চাকরির কারণে তার শৈশব কাটে সিলেটে। তিনি পাকিস্তানের লাহোরের ন্যাশনাল কলেজ অফ আর্টস থেকে ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "জন হাইম্রিখ টিউশন বৃত্তি" লাভ করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।[১]
স্কিডমোর, অয়িং অ্যান্ড মেরিল প্রতিষ্ঠানের অংশীদার ফজলুর রহমান খান তাকে সেই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৭৭ সালে বশিরুল হক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস প্রতিষ্ঠা করে স্থাপত্য চর্চা শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি নকশা সমালোচক হিসেবে ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে যান।[১]
তার কর্মজীবনে তিনি তিন শতাধিক ভবনের নকশা করেছেন। তিনি বলেন তরুণ বয়স থেকে তিনি আলভার আল্তোর কাজ দ্বারা অনুপ্রাণিত। বশিরুল হকের স্থাপত্যশৈলীতে সাংস্কৃতিক উপাদান, স্থানীয় বিষয়বস্তু, শহুরে টেকসই নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক আলো ও বাতাসের ব্যবহার লক্ষণীয়। তার নকশাকৃত ভবনে হস্তনির্মিত ইট, কংক্রিট, ও প্রাকৃতিক কাঠের মত উপাদানের ব্যবহার দেখা যায়।[২]