বহুব্রীহি | |
---|---|
বহুব্রীহি | |
ধরন | হাস্যরসাত্মক |
লেখক | হুমায়ূন আহমেদ |
অভিনয়ে |
|
মূল দেশ | বাংলাদেশ |
মূল ভাষা | বাংলা |
মৌসুমের সংখ্যা | ১ |
পর্বের সংখ্যা | ১৩ |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | নওয়াজিশ আলি খান |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | বাংলাদেশ টেলিভিশন |
মূল মুক্তির তারিখ | ১৯৮৮ ১৯৮৯ | –
বহুব্রীহি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক। বহুব্রীহি অর্থ কোন কিছুর একাধিক মাত্রা এবং এখানে এর অর্থ জীবনের রহস্য। নাটকটি লিখেছেন বিখ্যাত লেখক, নাট্যকার, চিত্রনাট্যকার এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। নাটকটিতে সামাজিক ঘটনাগুলির প্রতীকী উপস্থাপনা করা হয়েছে। ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেন আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, আলী যাকের, আফজাল হোসেন, লুৎফুন নাহার লতা, লাকী ইনাম, আবুল খায়ের, আফজাল শরীফ প্রমুখ। ধারাবাহিকটি বিপুল দর্শক সমাদর লাভ করে, এবং হাসির ধারাবাহিক হিসাবে আজও জনপ্রিয়। নাটকটির প্রযোজক ছিলেন নওয়াজিশ আলি খান।[১]
এ নাটকের বিখ্যাত সংলাপগুলো হলো: তুই রাজাকার, আপনি হলেন গিয়ে বটবৃক্ষ, বহিষ্কার হও, ইত্যাদি। "তুই রাজাকার" স্লোগানটি এই ধারাবাহিক নাটকে সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়।
মূল চরিত্র জনাব সোবহান হলেন একজন ধনী অবসরপ্রাপ্ত, তিনি তার পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় ধানমন্ডির "নিরিবিলি" নামের একটি ভবনে থাকেন। এই ব্যক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল তিনি সর্বদা তার চারপাশে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সমস্যা খুঁজে জড়িত হতে চান, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার সমস্ত পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হত, কারণ তার পাওয়া প্রায় প্রতিটি সমস্যার সাথে বাস্তবতার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি একটি বড় নোট বইয়ে সমস্যাগুলি লিখতে ভালবাসেন এবং তার স্ত্রী মিনু সবসময় এটি নিয়ে বিরক্ত ছিলেন।
জনাব আনিস তার বাড়ির একজন ভাড়াটিয়া, যিনি বিপত্নীক, ও তার দুই সন্তান আছে। তিনি একটি জিনিসে ভালো, আর তা হল মানুষকে ভাল পরামর্শ দেওয়া। জনাব সোবহান যে সকল সমস্যা চিহ্নিত করতেন, তা সর্বদা জনাব আনিসের কাছে সমালোচিত হত। তবে একদিন জনাব সোবহান ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নাম নিয়ে কাজ করার ধারণা নিয়ে আসলে জনাব আনিস তার প্রশংসা করেন।
নাটক প্রধান চরিত্রগুলি নিম্নরূপ:
ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে বহুব্রীহি (ইংরেজি)