বাঁসা

বাঁসা
Bamboo Treebrown
ডানা বন্ধ অবস্থায়
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Lepidoptera
পরিবার: Nymphalidae
গণ: Lethe
প্রজাতি: L. europa
দ্বিপদী নাম
Lethe europa
(Fabricius, 1775)[]

বাঁসা[] (বৈজ্ঞানিক নাম: Lethe europa(Fabricius)) একপ্রকারের মাঝারী আকৃতির প্রজাপতি। এরা নিমফ্যালিডি পরিবার এবং স্যাটিরিনি উপগোত্রের সদস্য।[][]

বাঁসাএর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৬৫-৭৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[]

উপপ্রজাতি

[সম্পাদনা]

ভারতে প্রাপ্ত বাঁসা এর উপপ্রজাতি হল-[]

  • Lethe europa europa Fabricius, 1775 – Dakhan Bamboo Treebrown
  • Lethe europa niladana Fruhstorfer, 1911 – Himalayan Bamboo Treebrown
  • Lethe europa nudgara Fruhstorfer, 1911 – Andaman Bamboo Treebrown

বিস্তৃতি

[সম্পাদনা]

ভারত, (দক্ষিন ভারত থেকে মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাঞ্চল থেকে অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরপূর্ব ভারত[]), নেপাল, ভুটান এবং মায়ানমার[] এর বিভিন্ন অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়।

বর্ণনা

[সম্পাদনা]

প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-

পুরুষ

[সম্পাদনা]

ডানার উপরিতল কালচে বাদামী বর্নের হয়। সামনের ডানায় তীর্যক এবং ছোট সাদা ডিসকাল বন্ধনী উপস্থিত, যেটি স্বচ্ছ; দুটি অস্পষ্ট কালো ছোপ এবং তার পাশেই দুটি সুস্পষ্ট সাদা ছোপ দৃশ্যমান। টার্মেনের দিকের সাদা ছোপটি অন্যটির দ্বিগুণ। আঁকাবাকা একসারি কালো দাগ যেগুলি একটি অথবা দুটি খয়েরী বলয় দ্বারা পরিবেষ্টিত। সাবটার্মিনাল ধূসর বাদামী দাগ উভয় ডানাতেই টার্মেন বরাবর বিস্তৃত। পিছনের ডানায় পোস্টডিসকাল কালো ছোপের সারি লক্ষ্য করা যায়।[]

ডানার নিম্নতল ঘন কালচে বাদামী বর্নের। উভয় ডানাজুড়ে একটি নীলাভ সাদা সরু, সরলরৈখিক দাগ তীর্যকভাবে বিস্তৃত। সামনের ডানায় একটি ছোট, তীর্যক সাদা ডিসকাল বন্ধনী বর্তমান। উভয় ডানাতেই একসারি পোস্ট-ডিসকাল চক্ষুবিন্দু (Ocelli) বর্তমান। চক্ষুবিন্দুগুলি কালো বর্নের। সামনের ডানার চক্ষুবিন্দুগুলি আকারে অনেক ছোট এবং পিছনের ডানারগুলি বৃহদাকারের। সামনের ডানার চক্ষুবিন্দুগুলি ভিতরের দিকে বাঁকানো, কালো এবং চক্ষুতারা বিহীন। পিছনের ডানার চক্ষুবিন্দুর সারে বাইরের দিকে বাঁকানো, কালো এবং রূপালি ফোঁটা অথবা বিন্দুযুক্ত। উভয় ডানার চক্ষুবিন্দুগুলি রূপালী রেখা দ্বারা উভয়প্বার্শে ঘেরা। কিছুটা কমলা-হলুদ, সরু টার্মিনাল দীর্ঘ বন্ধনীর ভিতরের দিকে বন্ধনী বরাবর কম-বেশী রূপালী একটি রেখা চোখে পড়ে। পিছনের ডানা ৪ নং শিরায় উদ্‌গত এবং দন্তাকৃতি (teethed)। [১০]

কম উচ্চতাসম্পন্ন অঞ্চলে এবং সমতলে বাঁশ-ঝাড় যুক্ত জঙ্গলে এবং বাঁশ বাগানে সাধারনত এদের বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। বৃষ্টি চলাকালীন এবং বৃষ্টির ঠিক পড়ে মাঝে মধ্যে এদের সক্রিয় হতে দেখা যায়। এই প্রজাতির উড়ান শক্রিশালী তবে এরা একবারে বেশীদূর ওড়ে না। ভয় পেলে অথবা বিরক্ত হলে এরা বাঁশ-ঝাড়ের মাঝখানে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সাধারনত এই প্রজাতির সদস্যরা ভূমির কাছাকাছি উচ্চতায় বিচরণ করে, তবে মাঝেমধ্যে প্রচন্ড দ্রুতবেগে সোজা উপরে উঠে যায় বড় গাছের শীর্ষের দিকে। বাঁসা গাছ থেকে ঝরে পড়া অতিপক্ক ফল, পচা কাঁকড়া এবং তাজা গোবর ভীষন পছন্দ করে। স্যাঁতস্যাতে ছোপ এবং ভিজে মাটিতে এদের মাড্‌-পাডল করতে দেখা যায়। উত্তর ভারতএ এই প্রজাতি সুলভ, তবে দক্ষিন ভারতে অপেক্ষাকৃত দুর্লভ।

জীবনচক্রের চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Fabricius. (Papilio) Syst. Ent. 1775, p. 500:
  2. A Pictorial Guide Butterflies of Gorumara National Park (2013 সংস্করণ)। Department of Forests Government of West Bengal। পৃষ্ঠা ২০২। 
  3. Varshney, R.K.; Smetacek, Peter (২০১৫)। A Synoptic Catalogue of the Butterflies of India। New Delhi: Butterfly Research Centre, Bhimtal & Indinov Publishing, New Delhi। পৃষ্ঠা 165। আইএসবিএন 978-81-929826-4-9ডিওআই:10.13140/RG.2.1.3966.2164 
  4. Savela, Markku। "Lethe europa (Fabricius, 1775)"Lepidoptera and Some Other Life Forms 
  5. Isaac, Kehimkar (২০১৬)। BHNS Field Guides Butterflies of India। Mumbai: Bombay Natural History Society। পৃষ্ঠা ৩৭০–৩৭১। আইএসবিএন 9789384678012 
  6. "Lethe europa (Fabricius, 1775) – Bamboo Treebrown"Butterflies of India। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  7. Bhowmik, S., & Chowdhury, S. D. (2021). Butterflies (Lepidoptera: Rhopalocera) in and around the Unakoti Archaeological Site with 59 new additions to the Butterfly Fauna of Tripura, North-eastern India. Asian Journal of Conservation Biology, 10(1).
  8. Singh, I. J., & Chib, M. S. (2015). Checklist of butterflies of Bhutan. Journal of the Bhutan Ecological Society, 1(2), 22-58.
  9. Bingham, Charles Thomas (১৯০৫)। Fauna of British India. Butterflies Vol. 1। পৃষ্ঠা 77–78। 
  10. Moore, Frederic (১৮৯০–১৮৯২)। Lepidoptera Indica. Vol. I। London: Lovell Reeve and Co.। পৃষ্ঠা 254–256।