বাংলাদেশ-আরাকান সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
বাংলাদেশ | আরাকান বাহিনী | ||||||
জড়িত ইউনিট | |||||||
| |||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
১জন আহত |
৮-২০জন আহত ১জন গ্রেফতার ২টি ঘোড়া নিহত |
বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের সদস্যদের উপর আরাকান সেনাবাহিনীর হামলার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নিকটবর্তী বান্দরবান জেলায় ২৫ আগস্ট ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-আরাকান সীমান্ত সংঘর্ষটি সংগঠিত হয়েছিল।[১][২][৩][৪]
২৫ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯ টায় থানচির বরমদক গ্রামের কাছে সংঘাতের শুরু হয়। আরাকান আর্মি সাঙ্গু নদীর কাছে বর মদকে টহলরত দশ সদস্যের বিজিবি টহল দলের উপর আক্রমণ করলে তাদের মধ্যে পাঁচ ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ অব্যাহত থাকে। সংঘাতের সংবাদ সম্পর্কে জানার পরে, বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। কর্তৃপক্ষ বিজিবি'র একটি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ইউনিটকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার জন্য ওই অঞ্চলে শক্তিবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছিল।
একই দিনে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আরাকান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একটি যৌথ অভিযান শুরু করে। সেনাবাহিনীর দুটি, বিজিবির একটি ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-7 এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে মিয়ানমার সরকার তাদের সীমান্তের সিলটি বন্ধ করে দেয়।
প্রথম দিকে আরাকান আর্মি বর মদকের বিজিবি ফাঁড়ি ঘেরাও এবং অবরোধ করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশী সৈন্য মোতায়েনের পরে বিদ্রোহীরা এই অঞ্চল থেকে পিছু হটেছিল। অপরদিকে, ২৫ থেকে ২৬ আগস্টের মধ্যে টাইটং পাড়া আর্মি এবং স্থানীয় পুলিশ কয়েক ঘণ্টা ধরে যৌথ অভিযান চালিয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের সময় বরকদম বিওপির নায়েক জাকির হোসেন আহত হন। তাকে এলাকা থেকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টার দিয়ে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিল।গুলি বিনিময়কালে আরাকান আর্মি তাদের দুটি ঘোড়া হারিয়েছিল। স্থানীয় সংবাদসূত্রে, আট থেকে বিশ জন আরাকানি বিদ্রোহী আহত হয়েছিল।[৫] সংঘর্ষের পরে বাংলাদেশী যৌথ বাহিনী আরাকান সেনাবাহিনীর সহযোগী এক বর্মী নাগরিক অং ওয়াং রাখাইনকে রাজস্থলী উপজেলায় গ্রেপ্তার করে। তার সঙ্গে ছিলো আরাকান আর্মির ইউনিফর্ম, ল্যাপটপ, ডিজিটাল ক্যামেরা, মোটরসাইকেল এবং দুটি ঘোড়া।[৬][৭][৮] পরের দিনগুলিতে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।[৯] সংঘর্ষের পরদিন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান যুদ্ধের স্থানটি পরিদর্শন করেন। এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন যে আরাকানী সেনারা দমন না হওয়া পর্যন্ত এই যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।