স্থাপিত | ২০১২ |
---|---|
প্রথম মৌসুম | ২০১২ |
দেশ | বাংলাদেশ |
কনফেডারেশন | এএফসি |
দলের সংখ্যা | ১২ |
লিগের স্তর | ২ |
উন্নীত | বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ |
অবনমিত | সিনিয়র ডিভিশন লিগ |
ঘরোয়া কাপ | ফেডারেশন কাপ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | ফকিরেরপুল ওয়াইএমসি (২য় শিরোপা) (২০২৩–২৪) |
সর্বাধিক শিরোপা | ফকিরেরপুল ওয়াইএমসি (২টি শিরোপা ) |
ওয়েবসাইট | www.bff.com.bd |
২০২৩–২৪ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ |
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল) বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত নিয়মিত পেশাদার ফুটবল লিগ এবং বাংলাদেশে পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তর। বাংলাদেশের ফুটবল লিগসমূহের স্তরবিন্যাসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর পরে এই লিগের অবস্থান। প্রিমিয়ার লিগের মত এই লিগও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর পেশাদার লিগ কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।[১] বাংলাদেশে পেশাদার ফুটবলের পরিধি বৃদ্ধি, কাঠামো উন্নয়ন ও নতুন নতুন ক্লাবকে পেশাদার ফুটবল দল গঠনে আগ্রহী করার লক্ষ্যে বাফুফে ২০১২ সালে এই লিগ চালু করা হয়েছিল।[২]
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ২০০৭ সালে দেশের প্রথম পেশাদার ফুটবল লিগ চালু করে। ২০০৭-২০১০ পর্যন্ত দেশের একমাত্র পেশাদার লিগে অবনমনের নিয়ম না থাকায় নতুন ক্লাবের আগমন হচ্ছিল না; লিগটির মান নিম্নমুখী হচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে ২০১১ সালে পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে[৩]। ফলাফল সরূপ মার্চ, ২০১২ হতে প্রিমিয়ার লিগের সাথে সাত দল নিয়ে ২য় স্তরের এই পেশাদার লিগ প্রথম বারের মত চালু করা হয়। কক্স সিটি স্পোর্টিং ক্লাব প্রথম মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়[৪]। বাফুফের অন্তর্ভুক্তিমুলক নীতির কারণে পরবর্তী মৌসুম গুলিতে দলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ মৌসুমে এগারোটি দল অংশগ্রহণ করে[৫]।
২০১২ মৌসুমে শুধু চ্যাম্পিয়ন দলকে বিপিএল-এ উন্নীত হওয়ার সুযোগ রাখা হয়, পরবর্তী মৌসুম হতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলকে বিপিএল-এ উন্নীত হওয়ার নিয়ম করা হয়[৬]। ২০১২ ও ২০১৫ মৌসুমে কোন দল অবনমিত হয়নি, বাদবাকী মৌসুমগুলিতে পয়েন্ট তালিকার সর্বশেষ এক বা দুই দলকে নিচের স্তরের লিগে অবনমনের নিয়ম চালু রয়েছে। বাফুফে-এর অন্তর্ভুক্তিমুলক নীতির কারণে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা এখনো নির্দিষ্ট নয়। মৌসুমভেদে ২০১৯ পর্যন্ত বিসিএল-এ অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা, বিপিএল-এ উন্নীত দলের সংখ্যা, অবনমিত দলের সংখ্যা নিম্নরূপঃ
মৌসুম | অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা | বিপিএল-এ উন্নীত দলের সংখ্যা | অবনমিত দলের সংখ্যা | মন্তব্য |
---|---|---|---|---|
২০১২ | ৭[৭] | ১
(চ্যাম্পিয়ন) |
০ | উদ্বোধনী মৌসুমে কক্স সিটি এফসি চ্যাম্পিয়ন[৪][৮] ও উত্তর বারিধারা ক্লাব রানার্স-আপ হয়। শুধু চ্যাম্পিয়ন দলকে বিপিএল-এ উন্নীত করা হয়। কক্স সিটি ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হলে পরের মৌসুমে অর্থ সংকটের কারণে দল গঠন করে না পারায় বিপিএল খেলতে না চাইলে বাফুফে দলটিকে সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে [৯][১০]। এই মৌসুমে কোন দলকে অবনমিত করা করা হয়নি। |
২০১৩ | ৮ | ২
(চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ)[৬] |
১ | চট্টগ্রাম আবাহনী চ্যাম্পিয়ন ও উত্তর বারিধারা রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়[১১]।
ঢাকা ইউনাইটেড ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগ-এ অবনমিত হয়। |
২০১৪ | ৭ | রহমতগঞ্জ এমএফএস চ্যাম্পিয়ন[১২] ও ফরাসগঞ্জ এসসি রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়।
বাড্ডা জাগরণী ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগে অবনমিত হয়। | ||
২০১৫* | ৮[১৩][১৪][১৫] | উত্তর বারিধারা চ্যাম্পিয়ন[১৬] ও আরামবাগ এসসি রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়।
ওয়ারী ক্লাবকে ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগে অবনমিত হয়[১৭]। | ||
২০১৬ | ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়ন ও সাইফ এসসি রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়[১৮]। আর্থিক সংকটের কারণে দল গঠনে অপারগতা থাকায় ফকিরেরপুল বিপিএল খেলেনি[১৯][২০], ২০১৭ মৌসুমে দলটি পুনরায় বিসিএল-এ অংশ নেয়। সাইফ এস সি পরের মৌসুমে বিপিএল-এ অংশ নেয়।
চট্টগ্রাম মোহামেডান, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার লিগে অবনমিত হয়। | |||
২০১৭ | ১০ | বসুন্ধরা কিংস চ্যাম্পিয়ন[২১] ও নোফেল এসসি রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়[২২]।
কারওয়ান বাজার প্রগতি সংঘ ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগে অবনমিত হয়। | ||
২০১৮-১৯ | ১১[৫] | ২
(লিগ টেবিলের সর্বনিম্ন দুই দল) |
বাংলাদেশ পুলিশ এফসি চ্যাম্পিয়ন ও উত্তর বারিধারা রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়[২৩][২৪]।
প্রথম বারের মত পয়েন্ট তালিকার সর্ব নিম্নের দুই দল- ফেনী সকার ক্লাব ও স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগে অবনমিত হয়। |
*২০১৫ মৌসুমে দশটি দল অংশ নেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আটটি দল অংশ নেয়[২৫]। যাত্রাবাড়ী ও বাসাবো তরুণ সংঘ লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়[১৩]।
এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নরা হল:[২৬][২৭][২৮]
মৌসুম | ক্লাব | খে | জ | ড্র | হা | গপ | গবি | গপা | প |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
২০১২ | কক্সসিটি | ১২ | ৫ | ৫ | ২ | ১৪ | ১১ | ৩ | ২০ |
২০১৩ | চট্টগ্রাম আবাহনী | ১৪ | ৯ | ৩ | ২ | ২৮ | ১১ | ১৭ | ৩০ |
২০১৪ | রহমতগঞ্জ এমএফএস | ১৮ | ১৩ | ৫ | ০ | ৩৬ | ৮ | ২৮ | ৪৪ |
২০১৫ | উত্তর বারিধারা স্পোর্টিং ক্লাব | ১৪ | ৭ | ৬ | ১ | ১৮ | ৯ | ৯ | ২৭ |
২০১৬ | ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব | ১৪ | ৭ | ৬ | ১ | ১৫ | ৮ | ৭ | ২৭ |
২০১৭ | বসুন্ধরা কিংস | ১৮ | ১০ | ৫ | ৩ | ২৩ | ১৭ | ৬ | ৩৫ |
২০১৮-১৯ | বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব | ২০ | ১১ | ৬ | ৩ | ৩১ | ১৩ | ১৮ | ৩৯ |
২০১৯-২০ | বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রতিযোগিতা বাতিল করা হয়েছিল।[২৯] | ||||||||
২০২০-২১ | স্বাধীনতা কে.এস | ২২ | ১৩ | ৬ | ৩ | ৩০ | ১১ | ১৯ | ৪৫ |
২০২১-২২ | ফর্টিস | ২২ | ১৩ | ৮ | ১ | ২৯ | ৯ | ২০ | ৪৭ |
২০২২-২৩ | ব্রাদার্স ইউনিয়ন | ২০ | ১৬ | ৩ | ১ | ৩০ | ৬ | ২৪ | ৫১ |
২০২৩–২৪ | ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব | ১৪ | ৮ | ৩ | ৩ | ২৮ | ১৪ | ১৪ | ২৭ |
ক্লাব | চ্যাম্পিয়নশিপের সংখ্যা |
---|---|
ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব | ২ |
চট্টগ্রাম আবাহনী | ১ |
কক্সসিটি | ১ |
রহমতগঞ্জ এমএফএস | ১ |
উত্তর বারিধারা এস সি | ১ |
ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব | ১ |
বসুন্ধরা কিংস | ১ |
বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব | ১ |
স্বাধীনতা কে. সি. | ১ |
ফর্টিস | ১ |
ব্রাদার্স ইউনিয়ন | ১ |
বছর | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল | |
২০১৩ | নাবিব নেওয়াজ জীবন | উত্তর বারিধারা | ১২ | |
২০১৭ | আরিফুল ইসলাম | নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব | ১২ | |
রোকনুজ্জামান কাঞ্চন | বসুন্ধরা কিংস | |||
২০১৮–১৯ | আমিরুল ইসলাম | বাংলাদেশ পুলিশ এফসি | ১৮ | |
২০১৯–২০ | লিগ বাতিল | |||
২০২০–২১ | আলী আকবর কানন | ওয়ারী ক্লাব | ১৩ | |
২০২১–২২ | মইনুল ইসলাম মঈন | উত্তরা এফসি | ১৮ | |
২০২২–২৩ | মিরাজুল ইসলাম | বাফুফে এলিট একাডেমি | ১৯ | |
২০২৩–২৪ | রাফায়েল টুডু | ফকিরেরপুল ওয়াইএমসি | ১২ |
এই মৌসুমে মোট ২টি মাঠে খেলা হয়। মাঠগুলি হল-
প্রথম মৌসুম হতে বর্তমান(২০১৯)অবধি বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লিগের পৃষ্ঠপোষকতা সংক্রান্ত তথ্যবলী নিম্নে দেয়া হলোঃ
সময় কাল | স্পন্সরের নাম | প্রতিষ্ঠানের ধরন | মন্তব্য | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|
২০১২-২০১৪ | প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড | ব্যাংক | প্রথম তিন মৌসুমেই ব্যাংকটি পৃষ্ঠপোষকতা করে। প্রথম মৌসুমে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড 'টাইটেল স্পন্সর' হিসেবে বাফুফেকে ২০ লাখ টাকা দেয়। ডেসটিনি গ্রুপ 'কো-স্পন্সর' হিসেবে ১২ লাখ টাকা দেয়। | [৭][৩০] |
২০১৪-২০১৫ | মিনিস্টার ফ্রিজ | ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড | প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এই মৌসুমে 'প্রেজেন্টিং স্পন্সর' ছিল। এছাড়া প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, নভো এয়ার ও ট্রেজার সিকিউরিটিজ 'কো-স্পন্সর' ছিল। | [৩১] |
২০১৫-২০১৭ | আর বি-মারসেল গ্রুপ | মারসেল ইলেক্ট্রনিক্স ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৭ মৌসুম পৃষ্ঠপোষকতা করে। | [৩২][৩৩][৩৪] | |
২০১৯-বর্তমান | ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস পার্টনার(আইএসপি) | বিপণন সংস্থা | মে, ২০১৯-এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বাফুফে'র পাঁচ বছরের 'স্পন্সরশীপ' চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রিমিয়ার লিগ এবং ঘরোয়া ফুটবলের অন্য প্রতিযোগিতাগুলোর সঙ্গে বিসিএল-এর স্বত্ব আইএসপি-কে দেয়া হয়। | [৩৫][৩৬][৩৭] |
মে, ২০১৯ হতে আইএসপি-কে বাফুফে বিপিএল, বিসিএল সহ ঘরোয়া প্রতিযোগিতার স্বত্ব প্রদান করে, সে অনুযায়ী আইএসপি-এর সম্প্রচার সহযোগী বাংলা টিভি বিপিএল-এর খেলা সম্প্রচার[৩৭] শুরু করলেও অদ্যাবধি বিসিএল-এর খেলা সম্প্রচার করেনি। ২০১৯ সালের পূর্ব মৌসুমের খেলাও অদ্যাবধি কোন টেলিভিশন চ্যানেল অথবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেনি। ২০১৯ সাল[৩৮] হতে বিসিএল-এর সকল ম্যাচ 'মাইকুজু' নামক একটি 'অনলাইন স্ট্রিমিং' সেবা প্রদানকারী প্লাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে[৩৯]।