সংক্ষেপে | বিবিএস |
---|---|
গঠিত | ২৬ আগস্ট ১৯৭৪ |
ধরন | সরকারি |
আইনি অবস্থা | সক্রিয় |
সদরদপ্তর | পরিসংখ্যান ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা |
অবস্থান |
|
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
মহাপরিচালক | মোহাম্মদ মিজানুর রহমান |
প্রধান অঙ্গ | পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ |
ওয়েবসাইট | বিবিএস |
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশের জনমিতি, স্বাস্থ্য , শিল্প ও শ্রম, জাতীয় হিসাব, মূল্য ও মজুরি, শিল্প উৎপাদন ও মূল্য সূচক, দারিদ্র্য, পরিবেশগত, জেন্ডার এবং কৃষি বিষয়ক পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা এবং তথ্য পর্যালোচনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা[১] এটি বাংলাদেশ সরকারের সকল ধরনের শুমারী ও জরিপ কার্যক্রম চালায় এবং কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সূচকের তথ্য প্রদান করে।
২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মহান জাতীয় সংসদে পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ পাশ হওয়ার মাধ্যমে জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থায় বিবিএসকে জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (NSO) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে দেশব্যাপী জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালন করা হয়।
জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানসম্মত ও হালনাগাদ পরিসংখ্যান সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিবিএস আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুসরণ করে স্বাস্থ্য ও জনমিতি, শিল্প ও শ্রম, জাতীয় হিসাব, মূল্য ও মজুরি, শিল্প উৎপাদন ও মূল্য সূচক, দারিদ্র্য, পরিবেশগত, জেন্ডার এবং কৃষি বিষয়ক পরিসংখ্যান নিয়মিতভাবে প্রস্তুত ও প্রকাশ করে থাকে। বিবিএস কর্তৃক প্রস্তুতকৃত, অনুমোদন ও সরবরাহকৃত পরিসংখ্যান ব্যবহার করে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রণীত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (ADP), পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রভৃতি প্রণয়ন ও পরিবীক্ষণ করা হয়।
বিবিএসসহ অন্যান্য দপ্তরের তথ্য একই প্ল্যাটফর্মে প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে বিবিএস-এর এসডিজি সেল এটুআই প্রোগ্রামের তথ্য- প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় এসডিজি রিপোর্টিং সংক্রান্ত জাতীয় অনলাইন বাতায়ন 'এসডিজি ট্র্যাকার' (SDG Tracker) ব্যবস্থাপনা এবং এসডিজি অর্জনের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ করে থাকে।
যদিও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পরিসংখ্যান ব্যবস্থা চালু ছিলো, কিন্তু তাতে প্রায়ই ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হতো। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালের ২৬ আগস্ট পূর্ববর্তী বৃহত্তর চারটি পরিসংখ্যান সংস্থার (পরিসংখ্যান ব্যুরো, কৃষি পরিসংখ্যান ব্যুরো, কৃষি শুমারি কমিশন এবং আদমশুমারি কমিশন) অবলুপ্তি ঘটিয়ে "বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো" প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জুলাই, ১৯৭৫ সালে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিসংখ্যান বিভাগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পরিসংখ্যান বিভাগকে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ রূপান্তর করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বর্তমানে এই বিভাগের অধীনে কাজ করছে।
এটির সদরদপ্তর ঢাকা। ২০১৩ সাল পর্যন্ত ২৩টি আঞ্চলিক পরিসংখ্যান অফিস, ৪৮৯টি উপজেলা/থানা অফিস ছিল। বর্তমানে ৮টি বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিস (ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ), ৬৪টি জেলা পরিসংখ্যান অফিস এবং ৪৮৯টি উপজেলা অফিস রয়েছে। ২০১৩ সালে আঞ্চলিক অফিসসমূহ বিলুপ্ত করা হয়।
পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ এর ৬ ধারা অনুসারে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কার্যাবলী হবেঃ
(ক) সঠিক, নির্ভুল ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান প্রণয়ন ও সংরক্ষণ;
(খ) সঠিক, নির্ভুল ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান প্রণয়নের জন্য দেশের আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে জরিপ পরিচালনা;
(গ) জনশুমারি, কৃষিশুমারি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ শুমারি, অর্থনৈতিক শুমারিসহ অন্যান্য শুমারি ও জরিপের লক্ষ্যে যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ;
(ঘ) সরকারি পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনাবিদ, নীতি-নির্ধারক, গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীগণের চাহিদা অনুসারে দ্রুততার সহিত নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহারবান্ধব পরিসংখ্যান সরবরাহকরণ;
(ঙ) পরিসংখ্যান বিষয়ক নীতিমালা ও পদ্ধতি প্রণয়ন;
(চ) শাখা কার্যালয়ের কার্যাদি সরেজমিনে তদারক এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উহার প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ;
(ছ) জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র ( National Strategy for Development of Statistics) প্রবর্তন এবং সময় সময় হালনাগাদকরণ;
(জ) পরিসংখ্যান বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ;
(ঝ) পরিসংখ্যানের ভূমিকা ও কার্যক্রমের গুরূত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকরণ;
(ঞ)পরিসংখ্যান কার্যক্রম সম্পাদনে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ;
(ট) যে কোন কর্তৃপক্ষ, পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে পরিসংখ্যান বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রদান;
(ঠ) ভোক্তার মূল্য-সূচকসহ অন্যান্য মূল্য-সূচক এবং জাতীয় হিসাব প্রস্তুতকরণ;
(ড) অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, সামাজিক ও জনমিতি সংক্রান্ত নির্দেশক প্রণয়ন ও প্রকাশকরণ;
(ঢ) ভূমি ব্যবহারসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন, উৎপাদন-ব্যয় এবং ফসলাধীন জমির পরিমাণ প্রাক্কলন;
(ণ) জিও-কোড সিস্টেম প্রণয়ন এবং একমাত্র সরকারি জিও-কোড সিস্টেম হিসাবে উহা হালনাগাদকরণ ও সংরক্ষণ এবং অন্যান্য সকল সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধকরণ;
(ত) জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (National Population Register) প্রণয়ন ও সময় সময়, হালনাগাদকরণ;
(থ) সমন্বিত সেন্ট্রাল জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম ( Geographical Information System) প্রণয়ন;
(দ) পরিসংখ্যানের প্রধান প্রধান কার্যক্রমসমূহ আন্তর্জাতিক মানে প্রমিতকরণ ( standardization );
(ধ) সংরক্ষণের বিকল্প ব্যবস্থাসহ জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার প্রণয়ন ও আধুনিক পদ্ধতিতে আর্কাইভে সংরক্ষণ;
(ন) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার জন্য প্রণীত সরকারি পরিসংখ্যানের মান সত্যকরণ (Authentication);
(প) পরিসংখ্যান সংক্রান্ত পরামর্শ সেবা প্রদান;
(ফ) সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন; এবং
(ব) উপরি-উক্ত দায়িত্ব পালন ও কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
উইংয়ের নাম | পরিচালক |
---|---|
এগ্রিকালচার উইং[২] | আলাউদ্দিন আল আজাদ |
সেন্সাস উইং[৩] | মোঃ এমদাদুল হক |
কম্পিউটার উইং[৪] | কবির উদ্দিন আহাম্মদ |
ডেমোগ্রাফি এন্ড হেলথ উইং[৫] | মোঃ মাসুদ আলম |
ন্যাশনাল একাউন্টিং উইং[৬] | মোঃ রফিকুল ইসলাম |
ইন্ডাস্ট্রি এন্ড লেবার উইং[৭] | মুহাম্মদ আতিকুল করির |
ফিন্যান্স, এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড এমআইএস[৮] | এইচ, এম, ফিরোজ |
স্ট্যাটিসটিক্যাল স্টাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট[৯] | জিয়াউদ্দীন আহমেদ |
- এসডিজি (SDG) সেল;
- পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান ((ECDS) সেল;
- জেন্ডার স্ট্যাটিসটিকস সেল;
- পোভার্টি অ্যান্ড লাইভলিহুড স্ট্যাটিসটিকস (PLS) সেল;
- প্লানিং, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ (PDR) সেল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য যে সকল শুমারি ও জরিপ হয় তা হচ্ছে:
- Producer Price Index (PPI)
- Inflation Rate (IR)
- Wage Rate Index (WRI)
- Consumer Price Index (CPI)
- Building Materials Price Index (BMPI)
- House Rent Index (HRI)
- Quantum Index of Industrial Production (QIIP)
- Gross Domestic Product (GDP). etc