অর্থসংস্থান |
---|
আর্থিক ব্যবস্থা বলতে বুঝায় সেই ব্যবস্থা যেটা বিনিয়োগকারী ও বিনিয়োগ গ্রহীতাদের আর্থিক লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং সেই সাথে একটা অর্থনীতির সামগ্রিক আর্থিক লেনদেনের একটা সুরক্ষিত প্লাটফরম তৈরি করে। বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের মাত্রার উপর ভিত্তি করে মূলত তিনটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।[১] যেগুলো হচ্ছে: ফর্মাল সেক্টর, সেমি ফর্মাল সেক্টর এবং ইনফর্মাল সেক্টর।
ফর্মাল সেক্টর এর মধ্যে রয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমাকোম্পানি, ক্যাপিটাল মার্কেট বা মূলধন বাজার মধ্যস্ততাকারী ও মাইক্রো ক্রেডিট বা মাইক্রো ফাইনান্স প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেগুলো প্রচলিত আইন দ্বারা সরাসরি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬১টি তফসিলি ব্যাংক, ৩টি বিশেষায়িত তফসিলি ব্যাংক, ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ৭৮টি বীমা কোম্পানি, ২ টি মূলধন বাজার মধ্যস্ততাকারী ও অন্যান্য মাইক্রো ক্রেডিট প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছেঃ
বাংলাদেশের আর্থিক বাজার মুলত মুদ্রা বাজার, মূলধন বাজার ও বৈদেশিক মুদ্রা বাজার নিয়ে গঠিত।[২] এছাড়া রয়েছে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যেগুলো অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক আছে ৬টি। বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা ৪২টি যার মধ্যে ৩৪টি প্রচলিত ব্যাংক এবং বাকি ৮টি ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংক। এছাড়াও রয়েছে ৯টি বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক এবং ৫টি অতফসিলি ব্যাংক।[৩]
দেশে মোট ৬টি রাষ্ট্রয়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক আছে যেগুলোর মালিকানা বাংলাদেশ সরকারের। রাষ্ট্রয়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো হচ্ছে:
বাংলাদেশে পরিচালিত বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা ৪২টি, যার মধ্যে ৩৪টি কনভেনশনাল বা সাধারণ ব্যাংক এবং ৮টি ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংক।
বাংলাদেশে মোট ৩৪ টি আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলো হচ্ছেঃ
বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ৭৮টি বীমা কোম্পানি বীমা আছে যার মধ্যে ৩২টি লাইফ বা জীবন বীমা কোম্পানি এবং ৪৬টি নন-লাইফ সাধারণ বীমা কোম্পানি।[৪] লাইফ বা জীবন বীমাকারী কোম্পানির মধ্যে ১টি সরকারী এবং ৩১টি বেসরকারি মালিকানাধীন। অন্যদিকে নন-লাইফ বা সাধারণ বীমাকারী কোম্পানির মধ্যে ১টি সরকারী এবং ৪৫টি বেসরকারি মালিকানাধীন।
বাংলাদেশে মূলধন বাজার মধ্যস্ততাকারীর মধ্যে রয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংক, পুঁজি বাজার ও ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি।
বাংলাদেশের পুঁজি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।[৫] দেশের মূল পুঁজি বাজার হচ্ছে ২টি। যেগুলো হচ্ছেঃ
বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির সংখ্যা ৮ টি।[৬] যেগুলো হচ্ছেঃ
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৬০০টি মাইক্রো ক্রেডিট প্রতিষ্ঠান রয়েছে।[৭]
সেমি ফর্মাল সেক্টর সেক্টর বলতে মূলত সেই সেক্টরকে বোঝানো হয় যেটি বাংলাদেশ ব্যাংক, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অথবা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নিয়ন্ত্রণের আওতায় পরে না বরং অন্য রেগুলেটর, স্বায়ত্তশাসন বা সরাসরি সরকার নিয়ন্ত্রিত। এই সেক্টরে রয়েছে মূলত নিন্মক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহঃ
এছাড়াও রয়েছে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা।
ইনফর্মাল সেক্টরের মধ্যে আছে বিভিন্ন বেসরকারি মধ্যস্ততাকারী প্রতিষ্ঠান।