বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি দেশটির জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সে দেশের সংবিধান দ্বারা নির্বাচিত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কৌশল এবং তার বৈদেশিক সম্পর্কের গভীরে বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য গঠিত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দেশের সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অংশের নির্দেশনা অনুযায়ী পররাষ্ট্রনীতি প্রনয়ন ও প্রয়োগ করে।[]

সাংবিধানিক বিধান

[সম্পাদনা]
বাংলাদেশী পাসপোর্ট পূর্বে শুধুমাত্র ইসরাইল ব্যতীত বিশ্বের সকল দেশের জন্য বৈধ কথাটি উল্লেখ থাকলেও, বর্তমানে তা সকল দেশের জন্য বৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে

বাংলাদেশের মৌলিক পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশের সংবিধানের সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে বর্নিত নিম্মোক্ত বিধানসমূহ থেকে উদ্ভূতঃ[]

রাষ্ট্র তার সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি সম্মান বজায় রেখে, অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়সমূহে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে-

  • আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ না করা এবং সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের জন্য সংগ্রাম করা;
  • প্রতিটি মানুষের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং তার নিজের পছন্দ অনুযায়ী নিজস্ব সামাজিক, অরথনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে সমর্থন করা; এবং
  • সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতা বা জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত সারা বিশ্বের সকল নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।


তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Ministry of Foreign Affairs, Dhaka"www.mofa.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। বাংলাদেশ সরকার। ২৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. দ্বিতীয় ভাগ, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। "আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন"বাংলাদেশের সংবিধানবাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০২