![]() |
---|
![]() |
বাংলাদেশে তিন স্তর বিশিষ্ট স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার বিদ্যমান।[১] এখানে প্রথম স্তরের প্রশাসনিক একক বিভাগ পর্যায়ে কোন স্থানীয় সরকার নেই। দ্বিতীয় স্তরের প্রশাসনিক একক জেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকার (৬৪টি জেলায় জেলা পরিষদ), উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা পরিষদ এবং গ্রাম এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ, ছোট শহর এলাকায় পৌরসভা ও বড় শহরে সিটি কর্পোরেশন হল স্থানীয় সরকারের একটি অংশ। বর্তমানে স্থানীয় সরকার বডিতে তিনজন মহিলা সদস্যের জন্য আসন সংরক্ষিত রয়েছে, যা ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের সরকার চালু করে। বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারসমূহ হলো-
এছাড়াও বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদের পাশাপাশি রয়েছে পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ। জেলা পরিষদ ও পার্বত্য স্থানীয় সরকার পরিষদের কাজ ভিন্ন।[১]
জেলা পরিষদ হল বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার একটি একক, যা রাষ্ট্রে বিদ্যমান তিন ধরনের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জেলা পর্যায়ে কাজ করে। এর প্রধান হলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং এ সংস্থা ৮টি খাত নিয়ে কাজ করে।বাংলাদেশে ৬১ টি জেলা পরিষদ ও ৩ টি পার্বত্য জেলা পরিষদ রয়েছে।
উপজেলা পরিষদ বাংলাদেশের প্রসাশনিক ব্যবস্থার একটি একক অংশ। । একটি উপজেলার প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত স্থানীয় জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত পরিষদ উপজেলা পরিষদ নামে পরিচিত।
ইউনিয়ন পরিষদ বা ইউনিয়ন হল বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক ইউনিট । গ্রাম চৌকিদারি আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ১৮৭০ সালে কিছু পল্লী সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলে ইউনিয়নের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়। ইউনিয়ন গঠনের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা লিপিবদ্ধ রয়েছে বেঙ্গল চৌকিদারী ম্যানুয়েলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অণুচ্ছেদে। এই প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়ে একটি স্থানীয় সরকার ইউনিটের ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলে ও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরুপে গড়ে উঠে।[২] বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫৭১টি ইউনিয়ন আছে।[৩]