বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত | |
---|---|
![]() বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত, টেকনাফ | |
বৈশিষ্ট্য | |
সত্ত্বা | ![]() ![]() |
দৈর্ঘ্য | ২৭১ কিলোমিটার (১৬৮ মাইল) |
ইতিহাস |
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্ত বলতে এই বাংলাদেশ ও মিয়ানমার মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণ রেখাকে বুঝায়।[১] এই সীমানা রেখা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে এবং মিয়ানমারের পশ্চিমে অবস্থিত। সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ২৭১.০ কিলোমিটার (১৬৮.৪ মাইল)।
এটি মিয়ানমারের সবচেয়ে ছোট সীমান্ত এবং সেই সাথে এটি ভারতের সাথে দীর্ঘ সীমানার ব্যতীত বাংলাদেশের দ্বিতীয় সীমান্ত।
এই সীমান্ত বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারত তিন দেশের মিলিত সীমানা বিন্দু থেকে শুরু[২][৩] এবং দক্ষিণ দিক হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। সর্বশেষ অংশ নাফ নদী বরাবর বিস্তৃত।
ঐতিহাসিকভাবে সীমান্ত অঞ্চল বিভিন্ন ভারতীয় এবং বার্মিজ সাম্রাজ্যের প্রান্তে অবস্থিত প্রতিযোগিতামূলক এলাকা অবস্থিত।[৪] ব্রিটেন সপ্তদশ শতাব্দীতে ভারত (আধুনিক বাংলাদেশ সহ) জয় শুরু করেছিল, এবং ধীরে ধীরে দেশের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, ব্রিটিশ ভারত গঠন করেছিল। ১৮২০-৮০-এর দশকে ব্রিটেনও ধীরে ধীরে বার্মা জয় করে; ১৮২৬ সালে ইয়ান্দাবো চুক্তির মাধ্যমে যা প্রথম অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায় বার্মা আসাম, মণিপুর, রাখাইন (আরাকান) এবং তানিন্থাই উপকূলের উপর ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দেয়, যার ফলে সাধারণ ভাবে ভারত-বার্মিজ আধুনিক সীমানার বেশিরভাগ অংশ সীমিত হয়ে যায়।[৫][৬] ১৮৫২-৫৩ সালের দ্বিতীয় অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধের পর বার্মার বিশাল অংশ দখল করা হয়।[৪][৭] বার্মার অবশিষ্টাংশ ১৮৮৫ সালে জয় করা হয় এবং ব্রিটিশ ভারতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৮][৯][১০]