বাইফোকাল লেন্স (Bifocals) বা দ্বিকেন্দ্রী পরকলা দুটি স্বতন্ত্র অপটিক্যাল লেন্সযুক্ত চশমা। বাইফোকালগুলি সাধারণত প্রেসবিওপিয়া রোগীদের জন্য নির্ধারিত হয় যাদের মায়োপিয়া, হাইপারোপিয়া অথবা উপাত্ত্ব ঠিকভাবে দেখতে লেন্স সংযোজন প্রয়োজন।
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন সর্বপ্রথম বাইফোকাল লেন্স আবিষ্কার করেন। তিনি একটি সাধারণ লেন্সে নিচের অংশে উত্তল লেন্স সংযোজন করে এটি তৈরী করেছিলেন। ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্র গেজেট সাময়িকীর জজ ওয়েলি ও জন ফেন্নোর একনিষ্ঠ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে ১৭০০-১৮০০শ খৃস্টাব্দের মাঝে তিনি এটি তৈরী করেছিলেন।[১] ট্রাইফোকাল লেন্সের আবিষ্কর্তা আইজ্যাক হকিন্স ১৮২৪ খিস্টাব্দে এই চশমার উপর গবেষণা করে ট্রাইফোকাল চশমা তৈরী করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে আরভিং রিপস অদৃশ্য বা মূল লেন্সের সাথে মিশে যাওয়া লেন্স তৈরী করেছিলেন।[২]
প্রথমে তৈরীকৃত লেন্সের মূল লেন্সের নিচের অংশে উত্তল লেন্সর টুকরো লাগানো হত। এতে এটি অনেক ভারি ছিল যা একটানা ব্যবহারে কানব্যাথা ও নাক ব্যাথা হতো। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে উত্তল লেন্সটি মূল লেন্সের সাথে মিশিয়ে দেয়া শুরু হয়। কিন্তু ভঙ্গুরতা কারণে সবাই ব্যার্থ হচ্ছিল। ব্যাপক ব্যার্থতার পর ১৯০৮ সালে জন জুনিয়রের নমুনায় লুইস ওয়াকার ও জন এল একটি মজবুত বাইফোকাল লেন্স তৈরী করেছিলেন যা বর্তমানের আধুনিক বাইফোকাল লেন্স গুলোর নমুনা।
বাইফোকাল লেন্স ব্যবহারে মাথা ব্যাথা হয় , এমনকি একটানা ব্যবহারে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পাারে। একটানা ব্যবহারে বিশ্রাম নেয়ার প্রয়োজন হয় এবং মস্তিষ্কের দর্শন ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পায়।