ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বাজিদ খান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান | ২৫ মার্চ ১৯৮১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, ধারাভাষ্যকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জাহাঙ্গীর খান (পিতামহ) মজিদ খান (পিতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৮৫) | ২৫ মে ২০০৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৫১) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৪ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৬ এপ্রিল ২০০৮ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ |
বাজিদ খান (উর্দু: بزید خان; জন্ম: ২৫ মার্চ, ১৯৮১) পাঞ্জাবের লাহোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে লাহোর, পাকিস্তান রিজার্ভস, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট, রেডকো পাকিস্তান লিমিটেড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি। অন্যতম নিষ্প্রভ ও আকর্ষণহীন ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছেলেমীসুলভ আচরণের কারণে পরিচিতি পেয়েছেন।
পশতু বার্কি গোত্রের সন্তান তিনি। তার পিতামহ জাহাঙ্গীর খান ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পূর্বে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাহাঙ্গীর খানের ন্যায় তার পিতা মজিদ খান কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্লুধারী হন। চাচা ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাভেদ বার্কিসহ উপর্যুক্ত খেলোয়াড়গণ প্রত্যেকেই পাকিস্তানের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
ব্যাটিংয়ে অর্থোডক্স কৌশলের সমন্বয় ঘটিয়ে স্থির মেজাজে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ১৫ বছর বয়সে পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলেন। এরপর, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সময়কালে ব্রাইটন কলেজে অধ্যয়নকালীন ম্যাট প্রায়রের সাথে খেলেন।[২] তন্মধ্যে, ১৯৯৯ সালে তারা একত্রে ২০ খেলায় দলের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।[২] দুই বছর পর এমসিসি মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন। মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষেও খেলেছিলেন তিনি।
১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাজিদ খানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ২০০৩-০৪ মৌসুমে দূর্দান্ত সময় অতিবাহিত করেন। ৭০-এর অধিক গড়ে রান তোলার পর অবশেষে পাকিস্তানের পক্ষে খেলার সুযোগ পান।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন বাজিদ খান। ২৬ মে, ২০০৫ তারিখে ব্রিজটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ তারিখে মুলতানে সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ১৬ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে মুলতানে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
২০০৪-০৫ মৌসুমের শুরুতে ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সাতটি যুবদের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাজিদ খান পাকিস্তানের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশ নিতে পেরেছিলেন। এছাড়াও, ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়। কিন্তু, তিনি এ সুযোগ ধরে রাখতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, হ্যাডলি পরিবারের পর দ্বিতীয় পরিবার হিসেবে পিতামহ, পিতা ও পুত্রের টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের কারণে মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।
তিন বছর মাঠের বাইরে অবস্থানের পর ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ এপ্রিল, ২০০৮ সালে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে ওডিআই দলে রাখা হয়।