বাড়ী থেকে পালিয়ে | |
---|---|
পরিচালক | ঋত্বিক ঘটক |
প্রযোজক | চিত্রকল্প |
রচয়িতা | শিবরাম চক্রবর্তী (উপন্যাস) ঋত্বিক ঘটক (চিত্রনাট্য) |
শ্রেষ্ঠাংশে | কালী বন্দ্যোপাধ্যায় সতীন্দ্র ভট্টাচার্য নৃপতি চট্টোপাধ্যায় শ্রীমান দীপক শৈলেন ঘোষ কৃষ্ণা জায়া পরমভট্টারক লাহিড়ী জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায় কেষ্ট মুখোপাধ্যায় পদ্মা দেবী নীতি পণ্ডিত জহর রায় |
সুরকার | সলিল চৌধুরী |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১১৭ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
বাড়ী থেকে পালিয়ে হল ১৯৫৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন ঋত্বিক ঘটক।[১][২] এই ছবিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন পরমভট্টারক লাহিড়ী, কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, নৃপতি চট্টোপাধ্যায়, পদ্মা দেবী ও জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র একটি দুষ্টু ছেলে। সে তার গ্রামের বাড়ি থেকে কলকাতায় পালিয়ে আসে।
কাঞ্চন নামে একটি আট বছরের ছেলে সারাক্ষণ তার গ্রামের বাড়িতে বদমায়েশি করে বেড়ায়। বাবা কাঞ্চনের মার উপর অত্যাচার চালান ও তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখেন বলে সে তার বাবাকে এক নিষ্ঠুর দৈত্য মনে করে। তার স্বপ্নের মহানগরটি হল এল ডোরেডো (কলকাতা)। কিন্তু সেখানে পৌঁছে সে দেখতে পায় বাস্তব অনেক কঠিনতর এবং সেই নিষ্ঠুর বাস্তবতার যাঁরা শিকার হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার পর কলকাতা সম্পর্কে তার একটি অন্য ধারণা সৃষ্টি হয়। সে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম শুরু করে এবং বাস্তব জীবন সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করে। তার আলাপ হয় বহুরুপী হরিদাস যে বুলবুল ভাজা বেচে, ফুটপাতের জাদুকর, ছোট্ট মেয়ে মিনি ও তার পরিবারের সাথে, এছাড়া বাউল ভিখিরী ভবঘুরে চোর ব্যবসায়ী অসংখ্য পেশার মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়। কলকাতাকে চেনে এক আজব নগরী রূপে। আশা, আশা হারানোর বেদনা, দুখ সুখে মিলিয়ে সেখানকার মানুষ। শেষে সে তার গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। সেই সময় সে এক পরিপক্ব মানুষে পরিণত হয়। সে বুঝতে পারে যে তার বাবা আদৌ দৈত্য নন। বরং তিনি দারিদ্রের শিকার এবং সেই দারিদ্রের সঙ্গেই সংগ্রামরত। তবু তিনি এক স্নেহময় পিতা।