বাডেনভাইলার | |
---|---|
দেশ | জার্মানি |
প্রশাসনিক অঞ্চল | ফ্রাইবুর্গ |
জেলা | ব্রাইসগাউ-হোখ্শভার্ৎসভাল্ড |
সরকার | |
• মেয়র | ভিনসেনৎস ভিসলার |
আয়তন | |
• মোট | ১৩.০২ বর্গকিমি (৫.০৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2017-12-31)[১] | |
• মোট | ৪,৩২৭ |
• জনঘনত্ব | ৩৩০/বর্গকিমি (৮৬০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | সিইটি/সিইডিটি (ইউটিসি+১/+২) |
ডাক কোড | ৭৯৪১০ |
ফোন কোড | ০৭৬৩২ |
যানবাহন নিবন্ধন | FR |
বাডেনভাইলার হল জার্মানির বাডেন-ভ্যুর্টেমবের্গ প্রদেশের ব্রাইসগাউ-হোখ্শভার্ৎসভাল্ড জেলার একটি অবকাশ যাপন ও স্পা কেন্দ্র। এটি বাসেল থেকে সড়ক ও রেলপথে ২৮ কিলোমিটার, ফ্রান্সের সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার ও ফ্রান্সের ম্যুলুজ শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জার্মান সীমান্তের অভ্যন্তরে নিকটবর্তী বড় শহর হল ফ্রেইবুর্গ, যা প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাডেনভাইলার ব্ল্যাক ফরেস্টের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।
রোমানরা এই অঞ্চলের রাইনের পূর্ব পর্যন্ত দখল করেছিল। ৭০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট তিতুস ফ্লাভিয়াস ভেস্পাসিয়ানুসের অধীনে রোমানরা এই অঞ্চলটির উন্নয়ন কাজ শুরু করে। এই অঞ্চলে পূর্বে বসবাসকারী কেল্টীয়রা অঙ্গীভূত হতে থাকে। রোমানরা উর্ধ্বস্থ রাইন উপত্যকা এবং জলবায়ু, স্বাস্থ্য ও বালনিওলজিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে আকুয়া ভিলা নির্মাণ করে। উর্ধ্বস্থ রাইন উপত্যকা সে সময়ে অসংখ্য লবণাক্ত পানির হ্রদ ও পুল সংবলিত বৃহৎ বন্যা কবলিত অঞ্চল ছিল। হ্রদ ও পুকুরগুলি মশায় ভরপুর ছিল এবং গ্রীষ্মকালে রাইনের সমভূমি উষ্ণ থাকত। রোমানরা তাদের দখলকৃত অঞ্চলে তাদের নিজেদের সংস্কৃতিতে থাকতে চাইত। তাই তারা একটি ছোট রোমান প্রাদেশিক শহরের মত আকুয়া ভিলার নকশা করে। স্থানীয় নদী ও হ্রদগুলির পানি সারা বছরই ঠাণ্ডা থাকত, তাই তারা গোসলের জন্য উর্ধ্বস্থ রাইন অঞ্চলের গরম পানির ঝর্ণা ব্যবহার করত এবং এখানে থার্মাল বাথ আকুয়া ভিলা নির্মাণ করে। রোমানদের নির্মিত এই ভিলার ধ্বংসাবশেষ এখনো হাইটেরশাইমের ভিলা আরবানা অথবা বাডেনভাইলারের রোমান বাথ ধ্বংসাবশেষে দেখা যায়।
বাডেনভাইলারের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হল পর্যটন ও স্পা। এখানে থার্মাল বাথ, রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিক, স্যানচুরিয়াম, হোটেল, গেস্ট হাউজ ও গেস্ট রুম রয়েছে। পাশাপাশি এখানে স্পা ও পর্যটন ব্যবসায়ের সাথে সংগতিপূর্ণ হস্তশিল্প ও সেবা কোম্পানি রয়েছে। এখানে মদ তৈরি, কৃষি কাজ ও লগিং কোম্পানিও বিদ্যমান। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে বাডেনভাইলার থেকে লোহা, সীসা ও রূপা উত্তোলন করা হয় এবং বর্তমানে গ্রানাইট ও ফসফরাসও উত্তোলন করা হচ্ছে।