বাপ্পা মজুমদার | |
---|---|
জন্ম | শুভাশিস মজুমদার বাপ্পা ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
অন্যান্য নাম | বাপ্পা দা |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশী |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৯৩–বর্তমান |
পরিচিতির কারণ | দলছুট |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
পিতা-মাতা |
|
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
উদ্ভব | ঢাকা |
বাদ্যযন্ত্র |
|
লেবেল |
|
ওয়েবসাইট | www |
শুভাশিস মজুমদার বাপ্পা (জন্ম: ৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২), যিনি বাপ্পা মজুমদার নামে অধিক পরিচিত, একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার এবং সুরকার। তরুণ ভক্তদের কাছে সমসাময়িক গান এবং চলাফেরার কারণে তিনি বাপ্পা দা নামে পরিচিত।[১] তিনি মূলত বাংলা রোমান্টিক গানের জন্য পরিচিত। তার ব্যান্ড, দলছুট। তিনি ব্যান্ড এবং নিজের জন্যই গান লেখার পাশাপাশি তিনি অন্যান্য শিল্পীদের জন্যেও গান লিখেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বাংলাদেশের আরেকজন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবীর সাথে একটি গানের অ্যালবাম রেকর্ড এবং পরিবেশন করেছেন, যা বাংলাদেশের পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তিনি চ্যানেল ওয়ানে টেলিভিশন অনুষ্ঠান দ্য ওয়ান, অ্যা মিউজিকাল টক শো-এর উপস্থাপনা করেছেন। পরবর্তীকালে ২০১০ সালে এই টেলিভিশন চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। তার একক অ্যালবাম, সূর্যস্নানে চল ২০০৮ সালে বের হয়। সপ্তম একক অ্যালবাম, দিন বাড়ি যায়, প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এক মুঠো গান ২, বের হয় ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।[২] ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই প্রকাশিত হয় তার দশম একক অ্যালবাম জানি না কোন মন্তরে।[৩][৪] তিনি সমসাময়িক অন্যান্য সঙ্গীত শিল্পীদের সাথেও কাজ করেছেন, এর মধ্যে রয়েছেন, সামিনা চৌধুরী[৫], ফুয়াদ আল মুকতাদির, শায়ান চৌধুরী অর্ণব, মিলা ইসলাম, দিলশাদ নাহার কনা, এলিটা করিম।
শুভাশিস মজুমদার বাপ্পা ১৯৭২ সালে জন্ম নেন। তার বাবা সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ বারীণ মজুমদার এবং মা ইলা মজুমদার।[৬] তিনি একটি সঙ্গীত পরিবারের মধ্যে বেড়ে উঠেন। বাবা-মা দুজনই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী হওয়ায় তাকে বাড়ির বাইরে গান শিখতে যেতে হয় নি। তার সঙ্গীতের হাতেখড়ি শুরু হয় পরিবারের কাছ থেকে। পরবর্তীকালে, সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ বারীন মজুমদারের সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মণিহার সঙ্গীত একাডেমী-তে তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর পাঁচ বছর মেয়াদী একটি কোর্স গ্রহণ করেন। যদিও তিনি বলেন, “আমি মনে করি না ক্লাসিকাল গানের এই প্রশিক্ষণ পর্যাপ্ত এবং তাই এই ধরনের গান গাওয়ার জন্য রত থাকতে পারি না”।[৭] তিনি সঙ্গীত জীবন শুরু করেন গিটারবাদক হিসেবে। প্রাথমিক সঙ্গীত জীবনে তিনি প্রায় বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের সাথে গান গেয়েছেন। তিনি সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৯৫ সালে তার প্রথম অ্যালবাম তখন ভোর বেলা প্রকাশের মাধ্যমে।[৮] এরপর থেকে তিনি এযাবৎ নয়টি স্টুডিও এ্যালবাম প্রকাশ করেন এবং ২০০-এর বেশি এ্যালবামের প্রযোজনা করেন।
২০০৮ সালের ২১ মার্চ মেহবুবা মাহনূর চাঁদনীকে বিয়ে করেন, যিনি একজন বাংলাদেশী মডেল, টেলিভিশন অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন প্রযুক্তি আসক্ত ব্যক্তি যিনি কম্পিউটার গেমস, গান এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন।
অ্যালবাম | গান |
---|---|
আহ্ (১৯৯৭) | গান
|
হৃদয়পুর (২০০০) | গান
|
আকাশ চুরি (২০০২) | গান
|
জোছনা বিহার (২০০৭) | গান
|
টুকরো কথা (২০০৮) | গান
|
আয় আমন্ত্রণ (২০১০) | গান
|
সঞ্জীব (২০২৪) | গান
|
অ্যালবাম | গান |
---|---|
তখন ভোর বেলা (১৯৯৫) | গান
|
কোথাও কেউ নেই (১৯৯৭) | গান
|
রাতের ট্রেন (১৯৯৯) | গান
|
ধুলো পড়া চিঠি (২০০১) | গান
|
কদিন পরে ছুটি (২০০৩) | গান
|
দিন বাড়ি যায় (২০০৬) | গান
|
বেঁচে থাক সবুজ (২০১২) | গান
|
জানিনা কোন মন্তরে (২০১৪) | গান
|
বেঁধেছি আমার প্রাণ (২০১৫) | গান
|
বেনানন্দ (২০১৫) | গান
|
বোকা ঘুড়ি (২০১৬) | গান
|
বাপ্পা মজুমদার (২০১৬) | গান
|
সত্তা চলচ্ছিত্রের গানে সূর করার জন্য ২০১৯ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন বাপ্পা মজুমদার।