বাবা মুহিউদ্দিন

মুহাম্মদ রহীম বাবা মুহিউদ্দিন
জন্ম
মৃত্যু৮ ডিসেম্বর ১৯৮৬
যুগ২০ শতক
অঞ্চলশ্রীলঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র

মুহাম্মদ রহিম বাবা মুহিউদ্দীন (মৃত্যু ৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৬), বাওয়া/বাবা নামেও পরিচিত, ছিলেন একজন তামিল ভাষী শিক্ষক[] এবং শ্রীলঙ্কার সুফি মরমী। যিনি ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন,[] একটি অনুসারী দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফিলাডেলফিয়ায় বাওয়া মুহিউদ্দীন ফেলোশিপজাফনা এবং কলম্বো, শ্রীলঙ্কায় তার শাখা ছিল।[] পাশাপাশি তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যে শাখা গড়ে তুলেছিলেন[]। তিনি তার শিক্ষা, বক্তৃতা, গান এবং শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।

বাবা তার অনুসারীদের জন্য নিরামিষবাদকে আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।[] এবং উত্তরাধিকার ফেলোশিপ সেন্টার বা খামারে মাংস অনুমোদিত ছিল না।[]

প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

যদিও বাবা মুহিউদ্দিনের প্রথম দিকের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, তবে তার জনজীবন শুরু হয় শ্রীলঙ্কায় ১৯৪০- এর দশকের গোড়ার দিকে, যখন তিনি উত্তর শ্রীলঙ্কার জঙ্গল থেকে আবির্ভূত হন। শ্রীলঙ্কার উত্তরে অবস্থিত মাজারগুলোতে পরিদর্শন করতে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের সাথে বাবা দেখা করেছিলেন যারা এবং ধীরে ধীরে তার পরিচিত সবজায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বাবার সাথে শারীরিক দর্শনের পূ্র্বেই তাকে স্বপ্ন দর্শন বা রহস্যময় সাক্ষাতের খবর পাওয়া যায়।[] ১৯৪০-এর দশকের একটি বিবরণ অনুসারে, তিনি 'কাতারাগামা', দ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত একটি জঙ্গলময় মাজার, এবং ‘জায়লানি’, বাগদাদের 'আব্দ আল-কাদির আল-জিলানি'-এর জন্য উত্সর্গীকৃত একটি পাহাড়ী মাজার, যার কারণে তাকে অনেকে সুফিবাদের কাদিরিয়া তরিকার সাথে সম্পৃক্ত করেন[], এই দুই জায়াগায় সময় অতিবাহিত করেন। তার অনেক অনুসারী যারা উত্তরের জাফনা শহরের আশেপাশে বসবাস করতেন তারা হিন্দু ছিলেন এবং তাকে স্বামী বা গুরু বলে সম্বোধন করতেন, যেখানে তিনি একজন চিকিৎসক ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের নিরাময়কারী ছিলেন — এবং অনেককে কালো যাদু থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।[]

পরবর্তীকালে, তার অনুসারীরা জাফনায় একটি আশ্রম এবং শহরের দক্ষিণে একটি খামার তৈরি করে। দক্ষিণ থেকে আগত ব্যবসায়ী ভ্রমণকারীদের সাথে দেখা করার পরে, তাকে সেই সময় সিলন, বর্তমোনে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ১৯৬৭ সালের মধ্যে, এই কলম্বোর মুসলিম ছাত্রদের দ্বারা 'সেরেন্দিব সুফি স্টাডি সার্কেল' গঠিত হয়েছিল। এর আগে ১৯৫৫ সালে, বাবা উত্তর উপকূলে মানকুম্বান শহরে একটি 'আল্লাহর ঘর' বা মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এটি ছিল "মেরির, যিশুর মা, সাথে আধ্যাত্মিক সাক্ষাতের ফলাফল।"[] দুই দশক পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্ররা যারা জাফনা আশ্রম পরিদর্শন করেছিল তাদের দ্বারা ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল।[]

বাবা এমনভাবে গল্প বা উপকথার মাধ্যমে শিক্ষা দিতেন শোনাতেন যেখানে তার ছাত্র বা শ্রোতাদের অতীত ভেসে উঠত এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খ্রিস্টান, এবং মুসলিম ধর্মীয় ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে শিক্ষা দিতেন; এবং সমস্ত ঐতিহ্য এবং ধর্মের ব্যক্তিদের স্বাগত জানাতেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Malik and Hinnells, p. 90.
  2. Divine Luminous Wisdom, p. 254.
  3. Malik and Hinnells, p. 91.
  4. Malik and Hinnells, p. 93.
  5. God, His Prophets and His Children, pgs. 150-157
  6. Bawa Muhaiyaddeen Fellowship web-site Farm page
  7. Malik and Hinnells, p. 92.
  8. Malik and Hinnells, p 92.