বামফ্রন্ট | |
---|---|
চেয়ারপার্সন | বিমান বসু |
প্রতিষ্ঠা | জানুয়ারি ১৯৭৭ |
রাজনৈতিক অবস্থান | বামপন্থী থেকে সুদূর-বাম |
সদস্য সংখ্যা | ৯ |
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা-এ আসন | ০ / ২৯৫
|
ভারতের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
বামফ্রন্ট (পশ্চিমবঙ্গ) বা পশ্চিমবঙ্গের বাম জোট হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির একটি জোট। এটি ১৯৭৭ সালের জানুয়ারিতে গঠিত হয়, প্রতিষ্ঠাতা দলগুলি হ'ল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), নিখিল ভারত ফরোয়ার্ড ব্লক, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল, মার্কসবাদী ফরোয়ার্ড ব্লক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং বিপ্লবী বাংলা কংগ্রেস। অন্যান্য দলগুলি পরবর্তী বছরগুলিতে যোগদান করে, বিশেষত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি।
বামফ্রন্ট ১৯৭৭–২০১১ সাল পর্যন্ত টানা সাত বার রাজ্যকে শাসন করে। এর সদস্য জ্যোতি বসু পাঁচ মেয়াদে এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দুই মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১] সিপিআই (এম) এই জোটের প্রভাবশালী শক্তি।[২][৩] ২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করতে ব্যর্থ হয় এবং বামদলটি রাজ্য শাসন থেকে পদত্যাগ করে। ২০১৬ সালের দিকে বিমান বসু পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।[৪]
পশ্চিমবঙ্গ বাম দল এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বিরোধী দলগুলির সহযোগিতায় বিগত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বামফ্রন্টের শেকড় রয়েছে।[১] এর উদাহরণ হ'ল ইউনাইটেড বামফ্রন্ট, পিপলস ইউনাইটেড বামফ্রন্ট এবং ইউনাইটেড ফ্রন্ট যা পশ্চিমবঙ্গ ১৯৬৭-৭১ সাল পর্যন্ত শাসন করে।[১] তবে, ১৯৭৭ সালের মার্চ মাসে লোকসভা নির্বাচনের আগে সিপিআই (এম) এর নেতৃত্বে বাম দলগুলি কংগ্রেস বিরোধী বিরোধী শক্তির সাথে সহযোগিতায় অতীত নেতিবাচক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিজেদের মধ্যে একটি জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।[১] ১৯৭৭ সালের জানুয়ারিতে জরুরি অবস্থার দমনমূলক পরিস্থিতি শিথিল হওয়ার কারণে বামফ্রন্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়।[১] বামফ্রন্টের ছয় প্রতিষ্ঠাতা দলগুলি, অর্থাৎ সিপিআই (এম), অল ইন্ডিয়া ফরোয়ার্ড ব্লক, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল, মার্কসবাদী ফরোয়ার্ড ব্লক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং বিপ্লবী বাংলা কংগ্রেস একটি সাধারণ কর্মসূচি প্রকাশ করে।[১][৫] বামফ্রন্ট জনতা পার্টির সাথে একত্রে একটি নির্বাচনী সমঝোতায় লোকসভা নির্বাচন লড়ে।[১]
ভারতের ওয়ার্কার্স পার্টি বামফ্রন্টে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছিল, কিন্তু তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।[৬]
১৯৭৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট ৪২ টি পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৬ টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে; সিপিআই (এম) ২০ টি আসন, আরএসপি ৩ টি আসন এবং এআইএফবি ৩ আসনের জন্য প্রার্থী দেয়।[৭] সিপিআই (এম) ১৭ টি, এআইএফবি ৩ টি এবং আরএসপি ৩ টি আসনে জয় লাভ করে।[৭] পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বামফ্রন্টের সম্মিলিত ভোট ৫০,৯৯,০৭৭ টিতে পৌঁছায়(রাজ্যে প্রাপ্ত ভোটের ৩৩.৪%)।[৭]
পরবর্তীকালে ১৯৭৭ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বামফ্রন্ট এবং জনতা পার্টির মধ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় যুক্তফ্রন্ট ভেঙে যায়।[১] বামফ্রন্ট জনতা পার্টিকে ৫৬% আসন প্রার্থী প্রদান এবং জেপি নেতা প্রফুল্ল চন্দ্র সেনকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পদের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু জেপি ৭০% আসনের উপর জোর দিয়েছিল।[৮] বামফ্রন্ট এর পরে নিজেরাই নির্বাচন করতে চেয়েছিল।[১] এটি নির্বাচনের আগে ৩৬-দফা ইশতেহার (ঘোষণাপত্র) জারি করে।[১] বামফ্রন্টের ইশতেহারের ৩২-দফা যুক্তফ্রন্টের গত ইশতেহারের সাথে মিল ছিল।[৩]
বামফ্রন্টের মধ্যে আসন ভাগাভাগি সিপিআই (এম) এর রাজ্য কমিটির সেক্রেটারি প্রোমোদ দাশগুপ্তের নাম অনুসারে 'প্রমোদ ফর্মুলার' ভিত্তিতে হয়।[৯] প্রমোদ ফর্মুলার অধীনে ঠিক হয় একটি নির্বাচনী এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভোট প্রাপ্ত দলটি তার নিজস্ব নির্বাচনী প্রতীক এবং ইশতেহারের অধীনে সেখানে প্রার্থী দেওয়া চালিয়ে যাবে।[৯]
সিপিআই (এম) ২২৪ টি আসনে, এআইএফবি ৩৬ টি আসনে, আরএসপি ২৩ টি আসনে, এমএফবি ৩ টি আসনে, আরসিপিআই ৪ টি আসনে এবং বিবিসি ২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।[১০][১১][১২] চাকদহ আসনে বামফ্রন্ট সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীও ছিলেন।[১০][১১]
বামফ্রন্ট ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২৩১ টিতে বিজয়ী হয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে।[৯][১১] সিপিআই (এম) ১৭৮ টি আসন, এআইএফবি ২৫ টি আসনে, আরএসপি ২০ টি আসনে, এমএফবি ৩ টি আসনে, আরসিপিআই ৩ টি আসনে এবং স্বতন্ত্র দল ১ টি আসনে জয়লাভ করে।[১০] উত্তরবঙ্গে এআইএফবি এবং আরএসপি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসনে জয়ী হয়।[৯] বামফ্রন্টের সম্মিলিত ভোট ছিল ৬,৫৬৮,৯৯৯ টি (রাজ্যে মোট ভোটদানের ৪৫.৮%)।[৯] নির্বাচনী ফলাফলটি বামফ্রন্টকে বিস্মিত করে, কারণ জনতা পার্টির সাথে প্রাক-নির্বাচনী আসন ভাগাভাগির আলোচনার ৫২% আসন প্রস্তাব করেছিল তারা।[১][৩]
১৯৭৭ সালের ২১ শে জুন বামফ্রন্ট জ্যোতি বসুকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে একটি সরকার গঠন করে।[১][১৩] বামফ্রন্ট সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।[১৪]
১৯৭৭ সালের নির্বাচনের পরে সোশালিস্ট পার্টি বামফ্রন্টে যোগ দেয়।[৫] বামফ্রন্ট সরকারের আগমনের পূর্বে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশ বিশৃঙ্খল ছিল এবং নতুন মন্ত্রিসভা শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় লড়াই শুরু করে।[২] প্রশাসনের প্রথম বছরগুলি ছিল নড়বড়ে, কারণ সিপিআই (এম) একটি পুঁজিবাদী কাঠামোর মধ্যে কমিউনিস্ট সরকার পরিচালনার ধারণার সাথে লড়াই করেছিল।[৩][১৫] নতুন জোটের শরিকরা বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলিকে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।[৩]
বামফ্রন্ট প্রশাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে দুটি মূল অগ্রাধিকার ছিল ভূমি সংস্কার এবং প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ।[১৩][১৬] ১৯৭৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মাসে 'পশ্চিমবঙ্গ ভূমি (সংশোধনী) বিল'টি পাস হয়।[১৪] অভিযান বর্গা বা অপারেশন বার্গার মাধ্যমে, যেখানে ভাগ-চাষিদের তাদের জমির উপর উত্তরাধিকার সূত্রে অধিকার দেওয়া হয়, ১.৪ মিলিয়ন একর জমি ১.৪ মিলিয়ন বর্গাদার বা ভাগচাষীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।[৯][১৭] ১৯৭৮ সালের ৪ জুন ত্রি-স্তরের পঞ্চায়েত স্থানীয় সংস্থাগুলি রাজ্য জুড়ে নির্বাচিত হয়, যে নির্বাচনগুলিতে বামফ্রন্ট একটি দুর্দান্ত বিজয় অর্জন করে।[১৩][১৪] ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে প্রায় ৮,০০,০০০ একর জমি ১.৫ মিলিয়ন পরিবারকে বিতরণ করা হয়।[৯] বামফ্রন্ট সরকারকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও তীব্র বন্যার দ্বারা সৃষ্ট শরণার্থী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও কৃতিত্ব দেওয়া হয়।[৩]
কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলকে অন্যায় ও রাজনীতিক হিসাবে বিতরণ দেখে বামফ্রন্ট সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্য সরকারের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু করে। এই আন্দোলনগুলির পরিণামে 'সরকারিয়া কমিশন' নির্মিত হয়।[১৮]
১৯৮০ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বামফ্রন্ট এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি একটি আসন ভাগাভাগির চুক্তি করে।[৫] সিপিআই (এম) ৩১ টি আসন, আরএসপি ৪ টি আসন, এআইএফবি ৪ টি আসন এবং সিপিআই ৩ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।[১৯] সিপিআই (এম) ২৮ টি আসন, সিপিআই ৩ টি আসন, এআইএফবি ৩ টি আসন এবং আরএসপি ৪ টি আসনে জয়ী হয়।[১৯] পশ্চিমবঙ্গে যৌথ ভাবে বামফ্রন্ট-সিপিআই ভোট সংখ্যা ১১,০৮৬,৩৫৪ টিতে পৌঁছায় (রাজ্যে মোট প্রাপ্ত ভোটের ৫২.৭%)।[১৯]
১৯৮০ সালের ২ মে বামফ্রন্ট রাজ্য সরকারী কর্মীদের বিগত আচরণবিধি বাতিল করে, যা ধর্মঘটের অধিকারকে সীমাবদ্ধ করে।[১৪]
১৯৮২ সালে বামফ্রন্ট তিনটি নতুন সদস্য অর্জন করে, ১৯৮২ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিপিআই বামফ্রন্টে যোগ দেয় এবং সমাজতান্ত্রিক দলকে ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট পার্টি (প্রবোধচন্দ্র) এবং পশ্চিমবঙ্গ সমাজতান্ত্রিক দল (ডিএসপি এবং ডাব্লুবিএসপি) বিভক্ত করা হয়ে উভয় বামফ্রন্টের সদস্য দল হয়ে উঠেছে।[৫][২০] জোটের সম্প্রসারণে কিছুটা পুরনো ও ছোট বামফ্রন্টের অংশীদারেরা অস্বস্তিতে পরে এবং দাবি করে যে সিপিআই (এম) রাজনৈতিকভাবে এটি মিশ্রিত করছে।[২০] জোটের সম্প্রসারণের পরে মন্ত্রীর দপ্তর বিতরণের বিষয়েও মতবিরোধ ছিল।[২০]
বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই (এম) ২০৯ টি আসন, সিপিআই ১২ টি আসন, এআইএফবি ৩৪ টি আসন এবং আরএসপি ২৩ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।[২১] বামফ্রন্টের আরও ১৬ জন প্রার্থী (আরসিপিআই, ডাব্লুবিএসপি, ডিএসপি, বিবিসি, এমএফবি) ছিলেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।[২১]
বামফ্রন্ট নির্বাচনে ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২৩৮ টি আসনে জয় লাভ করে।[৩] সিপিআই (এম) ১৭৪ টি আসন, সিপিআই ৭ টি আসন, এআইএফবি ২৮ টি আসন, আরএসপি ১৯ টি আসন, ডাব্লুবিএসপি ৪ টি আসন, ডিএসপি ২ টি আসন, আরসিপিআই টি আসন, এমএফবি ২ টি আসনে জয়ী হয়।[২১] সম্মিলিত বামফ্রন্টের ভোট ছিল ১,১৮,৬৯,০০৩ টি (রাজ্যে প্রাপ্ত ভোটের ৫২.৭%)।[২১] আসন্ন খাদ্যমন্ত্রী, আরসিপিআই নেতা সুধীন্দ্রনাথ কুমার তার আসনটি পরাজিত হন।[২২] ১৯৮৪ সালে বামফ্রন্টের পক্ষে সুধীন্দ্রনাথ কুমারকে রাজ্যসভা আসনের প্রার্থী হিসাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়, তবে আরএসপি এবং এআইএফবি-র বিরোধিতায় এই পদক্ষেপটি সম্ভব হয়নি।[২২]
১৯৮২ সালের ২৭ মে জ্যোতি বসু এবং পাঁচ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন।।[২৩] ১৯৮২ সালের ২ জুন আরও ১৫ জন মন্ত্রী এবং ২২ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন।[২৩]
১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে, সিপিআই (এম) ৩১ টি আসন, আরএসপি ৪ টি আসন, এআইএফবি ৪ টি আসন এবং সিপিআই ৩ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।[২৪] সিপিআই (এম) ১৮ টি আসন, সিপিআই ৩ টি আসন, এআইএফবি ২ টি আসন এবং আরএসপি ৩ টি আসনে জয়ী হয়।[২৪] পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের ভোট ১২,২৯৬,৮১৬ টিতে পৌঁছে যায় (রাজ্যে প্রাপ্ত ভোটের ৪৭.৬%)।[২৪]
১৯৮৫ সালের ৩০ শে জুন প্রথম কলকাতা পৌর কর্পোরেশন নির্বাচন বামফ্রন্টের শাসনের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়, এই নির্বাচনটি জোট জয়ী হয়। [১৪]
১৯৮৭ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের বামফ্রন্ট তাদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে ২৫১ টিতে উন্নীত করে।[৩] সিপিআই (এম) ২১৩ টি আসন, সিপিআই ১২ টি আসন, এআইএফবি ৩৪ টি আসন এবং আরএসপি ২৩ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।[২৫] বামফ্রন্টের ছোট অংশীদাররা স্বতন্ত্র টিকিটে ১২ জন প্রার্থীকে নির্বাচনে নথিভুক্ত করে।[২৫]
সিপিআই (এম) ১৮৭ টি আসন, সিপিআই ১১ টি আসন, এআইএফবি ২৬ টি আসন, আরএসপি ১৮ টি আসন, ডাব্লুবিএসপি ৪ টি আসন, এমএফবি ২ টি আসন, ডিএসপি ২ টি আসন এবং আরসিপিআই ১ টি আসন্ব জয়ী হয়।[২৫] বামফ্রন্টের ভোট সংখ্যা হয় ১৩,৯২৪,৮০৬ টি (৫৩%)।[২৫]
১৯৮৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, সিপিআই (এম) ৩১ টি আসন, আরএসপি ৪ টি আসন, সিপিআই ৩ আসন এবং এআইএফবি ৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।[২৬] কলকাতা উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রে বামফ্রন্ট জনতা দলের একজন প্রার্থীকে সমর্থন করে, যারা নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হয়।[২৬][২৭] সিপিআই (এম) ২৭ টি আসন, সিপিআই ৩ টি আসন, এআইএফবি ৩ আসন এবং আরএসপি ৪ টি আসনে জয়ী হয়।[২৬] জেডি প্রার্থীর ভোট সহ পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬,২৮৪,৪১৫ টি (রাজ্যে প্রাপ্ত ভোটের ৫০.৬%)।[২৬]
প্রমোদ দাশগুপ্ত জোটের শুরুর বছরগুলিতে বামফ্রন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[১৫] প্রমোদ দাশগুপ্ত ১৯৮২ সালের নভেম্বর মাসে মারা যান, তার পরে সরোজ মুখোপাধ্যায় বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান হন।[২৮] ১৯৯০ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সরোজ মুখোপাধ্যায় এই পদে বহাল ছিলেন।[২২][২৯] শৈলেন দাশগুপ্ত ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বামফ্রন্ট কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।[৩০][৩১] শৈলেন দাশগুপ্ত তাঁর জীবনের শেষভাগে যেমন অসুস্থতায় ভুগছিলেন, বিমান বসু বামফ্রন্ট কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[৫] বিমান বসু শৈলেন দাশগুপ্তের মৃত্যুর পরে বামফ্রন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করেন।[৩০][৩১]
বছর | নির্বাচন | ভোট | % | রাজ্য | টীকা |
---|---|---|---|---|---|
১৯৭৭ | লোকসভা | ৫০,৪৯,০৭৭ | ৩৩.৪ | ২৩ / ৪২
|
বামফ্রন্ট ৪২ টি আসনের মধ্যে কেবল মাত্র ২৬ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। |
১৯৭৭ | বিধানসভা | ৬,৫৬৮,৯৯৯ | ৪৫.৮ | ২৩১ / ২৯৪
|
|
১৯৮০ | লোকসভা | ১১,০৮৬,৩৫৪ | ৫২.৭ | ৩৮ / ৪২
|
৩ জন সিপিআই প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত। |
১৯৮২ | বিধানসভা | ১১,৮৬৯,০০৩ | ৫২.৭ | ২৩৮ / ২৯৪
|
|
১৯৮৪ | লোকসভা | ১২,২৯৬,৮১৬ | ৪৭.৬ | ২৬ / ৪২
|
|
১৯৮৭ | বিধানসভা | ১৩,৯২৪,৮০৬ | ৫৩.০ | ২৫১ / ২৯৪
|
|
১৯৯৮ | লোকসভা | ১৬,২৮৪,৪১৫ | ৫০.৬ | ৩৭ / ৪২
|
১ জন জেডি প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত |
১৯৯১ | বিধানসভা | ১৫,০৯০,৫৯৫ | ৪৮.৭ | ২৪৫ / ২৯৪
|
৮ জন জেডি প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত |
১৯৯১ | লোকসভা | ১৪,৯৫৫,১৫১ | ৪৭.১ | ৩৭ / ৪২
|
২ জন জেডি প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত |
১৯৯৬ | বিধানসভা | ১৮,১৪৩,৭৯৫ | ৪৯.৩ | ২০৩ / ২৯৪
|
৫ জন জেডি প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত |
১৯৯৬ | লোকসভা | ১৮,০১১,৭০০ | ৪৭.৮ | ৩৭ / ৪২
|
১ জন জেডি প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত |
১৯৯৮ | লোকসভা | ১৭,১০১,২১১ | ৪৬.০ | ৩৩ / ৪২
|
|
১৯৯৯ | লোকসভা | ১৬,৪৯৪,৪২৪ | ৪৬.১ | ২৯ / ৪২
|
|
২০০১ | বিধানসভা | ১৭,৯১২,৬৬৯ | ৪৯.০ | ১৯৯ / ২৯৪
|
২ জন আরজেডি এবং ২ জন জেডি (এস) প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত |
২০০৪ | লোকসভা | ১৮,৭৬৬,৪০৪ | ৫০.৭ | ৩৫ / ৪২
|
|
২০০৬ | বিধানসভা | ১৯,৮০০,১৪৮ | ৫০.২ | ২৩৫ / ২৯৪
|
২ জন আরজেডি এবং ২ জন এনসিপি প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত |
২০০৯ | লোকসভা | ১৮,৫০৩,১৫৭ | ৪৩.৩ | ১৫ / ৪২
|
|
২০১১ | বিধানসভা | ১৯,৫৫৫,৮৪৪ | ৪১.০ | ৬২ / ২৯৪
|
১ জন আরজেডি প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত |
২০১৪ | লোকসভা | ১৫,২৮৭,৭৮৩ | ২৯.৯ | ২ / ৪২
|
|
২০১৬ | বিধানসভা | ১৪,২১৬,৩২৭ | ২৬.০ | ৩২ / ২৯৪
|
বামফ্রন্ট কেবল ২০৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। |
২০১৯ | লোকসভা | ১৬,২৮৭,৭৮৩ | ০৭.৯৬ | ০ / ৪২
|
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; s1982
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি