বারনার্দো ও’হিগিন্স | |
---|---|
![]() | |
চিলির দ্বিতীয় সুপ্রিম ডিরেক্টর | |
কাজের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ১৭, ১৮১৭ – জানুয়ারি ২৮, ১৮২৩ | |
পূর্বসূরী | হোজে মিগুয়েল ক্যারেরা |
উত্তরসূরী | রেমন ফ্রেইরি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | চিলীয়, চিলি | ২০ আগস্ট ১৭৭৮
মৃত্যু | অক্টোবর ২৪, ১৮৪২ লিমা, পেরু | (বয়স ৬৪)
পেশা | রাষ্ট্রপ্রধান, সেনাবাহিনী |
স্বাক্ষর | ![]() |
বারনার্দো ও’হিগিন্স রিক্যুায়েলমে (স্প্যানীয়: [berˈnarðo oˈxiɣins]; ১৭৭৮ - ১৮৪২) ছিলেন চিলির স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন নেতা যাকে বর্তমানে চিলির জাতির জনক হিসেবে সম্মান দেওয়া হয়। তিনি ও হোজে দে সান মার্টিন- এক সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধ করে স্প্যানীয় শাসন থেকে চিলিকে মুক্ত করেন। যদিও তিনি চিলির দ্বিতীয় প্রধান পরিচালক ছিলেন (১৮১৭-১৮২৩) কিন্তু তাকেই চিলির প্রতিষ্ঠাতা জনক হিসেবে ধরা হয়। ও’হিগিন্স ছিলেন স্প্যানীয় ও আইরিশ[১] বংশদ্ভুত।
বারনার্দো ও’হিগিন্স ও’হিগিন্স পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ১৭৭৮ সালে চিলিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন অশুর্নোর প্রথম মার্কিস[২], স্প্যানীয় অফিসার যিনি পরবর্তীতে চিলির গভর্নর ও পেরুর ভাইসরয় হিসেবে নিযুক্ত হন, অ্যামব্রোসিও ও’হিগিন্সের অবৈধ সন্তান। তার পিতা অ্যামব্রোসিও আয়ারল্যান্ডের স্লিগো কাউন্টিতে জন্মগ্রহণ করেন। বারনার্দোর মায়ের নাম ইসাবেল রিক্যুয়েলমে সুন্দরী স্থানীয়[২] এবং চিলির কাউন্সিলর ডন সিমন রিক্যুয়েলমে ইয়ে গয়কুলিয়ার মেয়ে।
ও’হিগিন্স তার জীবের শুরুর বছরগুলো তার মায়ের পরিবারের সাথে মধ্য-দক্ষিণের চিলিতে কাটান এবং পরবর্তীতে তার পিতার ব্যবসায়িক অংশীদার আলবানো পরিবারের সাথে টালকাতে কাটান। ১৫ বছর বয়সে তার পিতা তাকে লিমাতে পাঠিয়ে দেন। তার পিতা অ্যাম্বোসিও তাকে অর্থনৈতিকভাবে ও তার লেখাপড়ায় সাহায্য করতেন কিন্তু তাদের দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে কোন সাক্ষাত হয়নি। এটা অবশ্য জানা যায়নি কেন অ্যাম্ব্রোসিও ইসাবেলকে বিয়ে করেন নি। সেসময় উচ্চপদস্থ আমেরিকার অফিসারদের স্থানীয় মেয়ে বিয়ে করা নিষেধ ছিল[৩] কিন্তু বারনার্দোর জন্মের সময় তার পিতা জুনিয়র অফিসার ছিলেন। অবশ্য এটা মনে করা হয় যে, ইসাবেলের পরিবার তখন এই বিয়েতে তাদের কোন সুবিধা দেখতে পাননি। দুই বছর পর ইসাবেল তার বাবার বৃদ্ধ বন্ধু ডন ফেলিক্স রডরিগাজকে বিয়ে করেন। ১৮০১ সালে তার বাবার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ও’হিগিন্স তার মায়ের শেষ নাম ব্যবহার করতেন।[২]
বারনার্দোর পিতা অ্যাম্বোসিও আস্তে আস্তে পদোন্নতি পেয়ে পেরুর ভাইসরয় হিসেবে নিযুক্ত হন; ১৭ বছর বয়সে তিনি বারনার্দোকে তার অধ্যায়ন শেষ করার জন্য লন্ডনে পাঠান।[৪] তিনি সেখানে ইতিহাস ও শিল্পকলার উপর দক্ষতা অর্জন করেন ও আমেরিকান স্বাধীনতা দ্বারা প্রাভাবিত হন। পরবর্তীতে দেশে ফিরে ব্রিটিশ জর্জিয়ান মডেল অনুসারে উদারতাবাদ প্রবর্তনের জন্য কাজ করেন।[২] তিনি এছাড়াও তিনি ভেনিজুয়েলার আদর্শবাদী ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ফ্রান্সিকো দে মিরান্দার সাথে সাক্ষাত করে ও তার প্রতিষ্ঠিত মোজানিক লজে যোগদান করেন।[৫] এরপর থেকে তিনি লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর স্বাধীনতার জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন।[২]
১৭৯৮ সালে ও’হিগিন্স স্পেন থেকে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন এবং ফরাসি বিপ্লবী যুদ্ধের কারণে তার ফিরতে দেরি হয়েছিল। তার পিতা ১৮০১ সালে মৃত্যুবরণ করেন ও মৃত্যুর পূর্বে তিনি বারনার্দোর জন্য সিসিলিয়ান শহরের কাছে লস এনজেল্স-এ বিশাল একখন্ড জমি রেখে যান। ১৮০২ সালে ও’হিগিন্স চিলিতে ফিরে আসেন এবং তার পিতার উপাধি গ্রহণ করে ভালো একজন গৃহস্থ হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন। ১৮০৬ সালে ও’হিগিন্স লাজা শহরে প্রতিনিধি হিসেবে কাউন্সিলর নিযুক্ত হন।[২] তারপর ১৮০৮ সালে নেপোলিয়ান স্পেন দখল করে, এবং দক্ষিণ আমেরিকার ঘটনাপ্রবাহ অন্যদিকে মোড় নেয়। ব্যবসায়িক ও রাজনীতিবিদেরা রাজা স্পতম ফার্দিনান্দ অধীন চিলিতে একটি স্বশাসিত সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। এটি ছিল জাতীয় স্বাধীনতার জন্য প্রথম পদক্ষেপ যেখানে ও’হিগিন্স নেতৃত্তস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।[২]