বারুদ উদ্ভিদ লতা মরিচা | |
---|---|
![]() | |
হাওয়াইয়ের মাউইয়ে বারুদ উদ্ভিদ | |
![]() | |
ফরাসি গায়ানায় বারুদ উদ্ভিদ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | রোসিদস |
বর্গ: | রোজালেস |
পরিবার: | Urticaceae |
গণ: | Pilea (L.) Liebm. |
প্রজাতি: | P. microphylla |
দ্বিপদী নাম | |
Pilea microphylla (L.) Liebm. |
বারুদ উদ্ভিদ, লতা মরিচা, কামান উদ্ভিদ বা পাথর আগাছা (বৈজ্ঞানিক নাম: Pilea microphylla)[১] হলো ফ্লোরিডা, মেক্সিকো, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ক্রান্তীয় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয় একটি উদ্ভিদ প্রজাতি।[২][৩] কিন্তু এশিয়াতেও এদের প্রচুর পাওয়া যায়।[৪] লাতিন আমেরিকায় এটি ব্রিলহান্টিনা[৫] এবং দক্ষিণ মেক্সিকোয়, বিশেষত ক্যাম্পেচে ও মেরিদায়, স্থানীয়ভাবে ফ্রেস্কুরা নামে পরিচিত।[৬] এটি আর্টিকাসি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।[৭] হালকা সবুজ, প্রায় রসাল, কাণ্ড এবং ১/৮ ইঞ্চি ছোট ছোট পাতার কারণে এদের কামান ফার্ন, আর্টিলারি ফার্ন বা মিলিটারি ফার্ন[৪] নামেও ডাকা হয়। তবুও এদের সাথে ফার্নের কোনো সম্পর্ক নেই। বিভিন্ন জায়গায় মাটির ওপর আচ্ছাদন বা গালিচা হিসেবে এদের জন্মাতে দেখা যায়। শক্ত পাথরের ওপর জন্মায় বলে এদের রক প্ল্যান্ট বা কোরাল প্ল্যান্ট-ও বলা হয়।[৪]
ফুল সম্পূর্ণ পরিস্ফুটিত হওয়ার পর গাছ ঝাঁকালে পরাগরেণু ধোঁয়ার মতো ছড়িয়ে পড়ে। সবুজাভ পুংপুষ্প থেকে বিস্ফোরকের মতো পরাগ বিচ্ছুরিত হয় বলে এদের নাম "গানপাউডার প্ল্যান্ট" বা "বারুদ উদ্ভিদ" হয়েছে।[৪] বারুদ তৈরিতে এটি কখনোই ব্যবহৃত হয় না।
এদের Pilea microphylla নামে বৈজ্ঞানিক নামকরণ করেন কার্ল লিনিয়াস। গণনাম Pilea এসেছে ল্যাটিন "pileus" থেকে, যার অর্থ টুপি। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে বারুদ উদ্ভিদের স্ত্রীপুষ্পকে সজ্জিত টুপির মতো দেখায়। প্রজাতিক নাম microphylla এর অর্থ ক্ষুদ্র পত্র ("micro" অর্থ "ক্ষুদ্র" এবং "phylla" অর্থ পাতা)।[৪]
বারুদ উদ্ভিদ রাস্তার ধারে, পুরনো দেয়ালে বা টবে জন্মায়।[৪] প্রধান মূলের বিভাজন, দেহের খণ্ডায়ন এবং অক্সিনসমৃদ্ধ মাটিতে লাগানোর মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। শুকনো মাটিতে ব্যাপক পানি প্রবাহ পেলে এর জন্য ভালো হয় এবং শিশির এর জন্য উপকারী বলে প্রতীয়মান। সরাসরি সূর্যালোক এর পাতাকে বাদামি করে দেয় এবং এর ফলে পাতা ঢলে পড়ে। তাই এটি পরোক্ষ সূর্যালোকে ভালো জন্মায়।
বারুদ উদ্ভিদ একবর্ষ বা দ্বিবর্ষজীবী। এরা সাধারণত ৮-১২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে কখনো কখনো ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে।[৪]
পৃথিবীর ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় বিভিন্ন অঞ্চলে বারুদ উদ্ভিদকে অভিযোজিত উদ্ভিদ হিসেবে লাগানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, চীন, দিয়েগো গার্সিয়া, গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া, ফিজি, ফরাসি পলিনেশিয়া, গুয়াম, হাওয়াই, ভারত, জাপান, কিরিবাস, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, নাউরু, নিউ ক্যালিডোনিয়া, নিউই, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, ফিলিপাইন, পিটকেয়ার্ন দ্বীপপুঞ্জ, সিঙ্গাপুর, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা এবং ওয়ালিস ও ফুটুনা দ্বীপপুঞ্জে এটি আক্রমণকারী উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত।[৩]
বারুদ উদ্ভিদ ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণে চিরাচরিত ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব রোগে প্রজনন অঙ্গের সুস্থতায় বারুদ উদ্ভিদ ব্যবহৃত হয়। এই উদ্ভিদের পেস্ট বা লেই গেঁটেবাতে উপকারী। বেশ কিছু গবেষণায় বারুদ উদ্ভিদ অনুজীব জনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে জানা যায়। সম্পূর্ণ উদ্ভিদটিই মূত্রবর্ধক ও কৃমিনাশক। এর পাতা প্রদাহক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও তেজস্ক্রিয়তা প্রতিরোধক। এছাড়াও যকৃত ও মূত্রনালীর প্রদাহরোগে এই উদ্ভিদ ব্যবহৃত হয়।[৪]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |