বালবাসর | |
---|---|
পোকেমন চরিত্র | |
![]() পোকেমন ফায়াররেড ও লিফগ্রিন-এর প্রচারণামূলক শিল্পকর্মের অংশ হিসেবে বালবাসর | |
প্রথম গেম | পোকেমন রেড এবং ব্লু |
পরিকল্পনাকারী | আতসুকো নিশিদা[১] |
কণ্ঠ প্রদান |
|
প্রজাতি |
|
লিঙ্গ | ♂ পুরুষ / ♀ স্ত্রী |
লড়াইয়ের ধরন | গ্রাস পয়জন টাইপ |
বালবাসর বা বালবাসোর (Bulbasaur; /ˈbʌlbəˌsɔːr/), জাপানিতে ফুশিগিদানে (Fushigidane; fu-SHI-gi-DON-e (フシギダネ)) নামেও পরিচিত,[২] হলো নিনটেন্ডো এবং গেম ফ্রিকের পোকেমন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পোকে-প্রজাতি অভিধান পোকেডেক্স-এর প্রথম পোকেমন। আতসুকো নিশিদা কর্তৃক নকশাকৃত[১] বালবাসর প্রারম্ভিক পোকেমন (স্টার্টার পোকেমন) হিসেবে সর্বপ্রথম পোকেমন রেড এবং গ্রিন-এ আবির্ভূত হয়। তখন থেকেই পোকেমন ফ্র্যাঞ্চাইজির পরবর্তী সবগুলো পর্ব, স্পিন-অফ গেম, প্রাসঙ্গিক পণ্য এবং অ্যানিমেটেড ও ছাপা সংস্করণে বালবাসরের আবির্ভাব ঘটে।
সিড পোকেমন হিসেবে পরিচিত বালবাসর শুধুমাত্র সূর্যের আলোর উপর নির্ভর করে টিকে থাকতে পারে। প্রথম মৌসুমে অ্যাশ কেচামের প্রধান পোকেমন এবং পরবর্তী মৌসুমগুলোতে মে'র ধৃত অন্য আরেকটি বালবাসরের কারণে এটি অ্যানিমে ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম প্রধান চরিত্র। এছাড়াও বেশ কিছু মাঙ্গায়, বিশেষ করে পোকেমন অ্যাডভেঞ্চার মাঙ্গায় প্রধান চরিত্র রেড অধিকৃত পোকেমন হিসেবে বালবাসর আবির্ভূত হয়। এছাড়াও খেলনা, চাবির রিং, প্লাশ পুতুলসহ অসংখ্য পণ্যে বালবাসরের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
পকেট মন্সটার্স রেড এবং ব্লু এর অন্যতম চরিত্র নকশাকার আতসুকো নিশিদা বালবাসরের নকশা নির্মাণ করেন। মূলত বালবাসরের পূর্ণ অভিযোজিত (ইভলভড) রূপ ভেনাসরের উপর ভিত্তি করে এর নকশা করা হয়।[১] ১৯৯৬ সালে জাপানে প্রথম প্রকাশিত পোকেমন রেড এবং ব্লুতে বালবাসর সর্বপ্রথম প্রারম্ভিক পোকেমনের (স্টার্টার পোকেমন), অর্থাৎ গেম বয় ব্যবহারকারী খেলার শুরুতে পছন্দ করার জন্য যে তিনটি পোকে-প্রজাতি পায়, একটি হিসেবে আবির্ভূত হয়।[৩] এর জাপানি নাম ফুশিগিদানে (Fushigidane fu-SHI-gi-DON-e) দুইটি জাপানি শব্দ রহস্য বা অলৌকিক (fushigi) এবং বীজ (tane) এর সমন্বয়ে গঠিত।[৪] গেম অনুবাদের সময়ে ইংরেজিভাষী ব্যবহারকারীদের জন্য নিনটেন্ডো পোকেমনগুলোর আবির্ভাব বা বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে "বুদ্ধিবৃত্তিক বর্ণনামূলক নাম" দিয়ে বাজারে ছাড়ে। একইভাবে ডাইনোসরের মতো চেহারা (-সর) এবং পিঠে রসুনের মতো কন্দ-এর (বাল্ব বা বাল্বা) জন্য ফুশিগিদানের নামকরণ করে বালবাসর।[৫] পোকেমন এক্স এবং ওয়াই এর নির্মাণ শুরুর দেড় বছরের মধ্যে বালবাসর এবং রেড এবং ব্লুর অন্যান্য প্রারম্ভিক পোকেমনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রদানের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হয়। এই তিনটি পোকেমনের মেগা ইভোলিউশন রূপ তৈরি করা হয় এবং নির্মাতারা সিদ্ধান্ত নেন যে খেলোয়াড়দের গেম প্রফেসর, প্রফেসর সাইকামুর, এর থেকে যেকোনো একটি পোকেমন নিয়ে এদের মহা অভিযোজিত (মেগা ইভলভড) রূপ দেখার সুযোগ দেওয়া উচিত।[৬]
কেন সুগিমোরির মতে, বালবাসর এবং এর অভিযোজিত রূপগুলো রসুন এবং ব্যাঙের ধারণার উপর নির্মাণ করা হয়েছে,[৭] যদিও এদের ইংরেজি নাম অনেকটাই ভিন্ন। তথাপি এদের সাথে ডিসাইনোডোন্ট নামক ডাইনোসর প্রজাতির অধিক মিল পাওয়া যায়। পোকেমন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বালবাসর খাটো উভচর ও উদ্ভিদ প্রজাতির পোকেমন, যা চার পায়ে ভর দিয়ে চলতে পারে। এদের হালকা নীলাভ-সবুজ দেহে গাঢ় নীলাভ-সবুজ ছোপ বিদ্যমান। বালবাসর অভিযোজনের ধারায় প্রথমে আইভিসর এবং পরবর্তীতে ভেনাসর-এ পরিণত হওয়ার সাথে সাথে পিঠের রসুন-আকৃতির কন্দ একটি বৃহৎ ফুল হিসেবে ফুটতে থাকে।[৮] জন্মের সময় বালবাসরের পিঠে একটি বীজ রোপিত হয়, যা অঙ্কুরিত হতে থাকে এবং বালবাসরের সাথেই বেড়ে উঠতে থাকে।[৯] বালব বা কন্দটি সূর্যরশ্মি শোষণ করে বড় হয়। একারণে বালবাসর সূর্যের আলোয় থাকতে পছন্দ করে,[১০] এমনকি উজ্জ্বল সূর্যের আলোয় থাকার পর কন্দটি সূর্যরশ্মি থেকে যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করায় বালবাসর বেশ কয়েকদিন কোনোকিছু না খেয়ে টিকে থাকতে পারে।[১১] শিশুরা অন্যান্য পোকেমন, যেমন ডিগলেটের সাথে বালবাসরের বৈশিষ্ট্যসূচক পার্থক্য ভালোভাবে বুঝতে পারে, এবং এ কারণটি বালবাসর প্রজাতি দিয়ে তাদের খেলা এবং বিনিময়কে প্রভাবিত করে।[১২]
১৯৯৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম জাপানি ভাষার ভিডিও গেম, পকেট মন্সটার রেড এবং গ্রিন-এ বালবাসরের আবির্ভাব ঘটে।[১৩] চারম্যান্ডার ও স্কুইর্টলের সাথে বালবাসরও একটি প্রারম্ভিক বা স্টার্টার পোকেমন; অর্থাৎ একজন খেলোয়াড়কে খেলা শুরু করতে এই তিনটি পোকেমনের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে হয়।[১৪] এই পোকেমনগুলোর মধ্যে চারম্যান্ডার ফায়ার (অগ্নি) টাইপ এবং স্কুইর্টল ওয়াটার (জল) টাইপ; এদের তুলনায় বালবাসর দ্বৈতভাবে গ্রাস (ঘাস) এবং পয়জন (গরল) টাইপ।[১৪] পোকেমন রেড, ব্লু, এবং গ্রিন-এ বালবাসরই একমাত্র দ্বৈত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রারম্ভিক পোকেমন। পোকেমন রেড এবং ব্লু এর বালবাসরসহ সবগুলো প্রারম্ভিক পোকেমন পোকেমন ইয়েলোতে পিকাচু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়, যা ঐ সংস্করণের একমাত্র প্রারম্ভিক পোকেমন। তারপরেও, পুরো গেমে বিভিন্ন পোকেমন প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে এই পোকেমনগুলো পাওয়া যায়।[১৪] পোকেমন রেড এবং ব্লু-এর পুনর্নির্মাণ পোকেমন ফায়াররেড এবং লিফগ্রিন-এ আরও একবার প্রারম্ভিক পোকেমন হিসেবে চারম্যান্ডার, স্কুইর্টল এবং বালবাসরের প্রত্যাবর্তন ঘটে। পোকেমন হার্টগোল্ড এবং সৌলসিলভার-এ ষোলোটি পদকের সবকয়টি পাওয়ার পর এবং রেডকে হারানোর পর একজন খেলোয়াড় বালবাসর, চারম্যান্ডার বা স্কুইর্টল, আরও একটি পছন্দ করে নিতে পারে।[১৫] পোকেমন এক্স এবং ওয়াইয়ে গেমের প্রারম্ভিক পোকেমন নির্বাচনের পর বালবাসর, চারম্যান্ডার এবং স্কুইর্টলের মধ্যে একটি নির্বাচন করা যায়।
নিনটেন্ডো ৬৪-এর স্পিন-অফ পোকেমন স্টেডিয়াম এবং অন্যান্য স্পিন-অফ, যেমন পোকেমন মিস্টারি ডাঞ্জিয়ন ইত্যাদিতে অন্যান্য পনেরোটি পোকেমনের মধ্যে বালবাসর পছন্দ করার সুযোগ রয়েছে। পোকেমন স্ন্যাপ-এ বালবাসর হলো এমন একটি পোকেমন, যার আলোকচিত্র একজন খেলোয়াড় নিতে পারেন।[৩] এছাড়াও পোকেমন পাজল লিগ-এ অ্যাশের অন্যতম পোকেমন হিসেবে বালবাসর আবির্ভূত হয়। হেই ইউ, পিকাচু!-তে অকর উডসে বসবাসকারী সহায়ক চরিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়, যে কিনা পিকাচুকে পাঁচটি রেসিপি তৈরিতে সহায়তা করে।[১৬] সুপার স্ম্যাশ ব্রোস. মেলি এবং ব্রোল-এ অন্যতম অর্জনক্ষম শিরোপা হিসেবে বালবাসরকে দেখা যায়।[১৭][১৮] এছাড়া পোকেপার্ক উইই: পিকাচু'স অ্যাডভেঞ্চার-এ "ডেয়ারিং ড্যাশ" নামক একটি মিনিগেমের আয়োজক হিসেবে বালবাসরকে দেখা যায়।
২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পোকেমন গো গেমে বালবাসর চারটি প্রারম্ভিক পোকেমনের অন্যতম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বিভিন্ন পোকেমন অ্যানিমেশনে বিভিন্নবার অ্যাশ এবং মে উভয়কেই বালবাসরকে প্রশিক্ষিত করতে দেখা যায়, যেখানে কাহিনীরেখায় অ্যাশের বালবাসরকে অধিক দক্ষতা অর্জন করতে দেখা যায়।[১৯][২০] কেবলমাত্র পিকাচু ছাড়া একমাত্র বালবাসরই অ্যাশের সাথে সবচেয়ে বেশি সময় অতিবাহিত করে। অ্যাশের দলে যোগদানের পূর্বে বালবাসর মেলানি নামক একটি মেয়ের তত্ত্বাবধানে ছিল, যে কিনা পরিত্যক্ত পোকেমনদের যত্ন নিয়ে থাকে।[১৯] অ্যাশের নিকট আসার পরে, তাকে এ নিয়ে অধিক হতাশ দেখা যায়। তবে শেষ পর্যন্ত অ্যাশের প্রতি বালবাসরের আনুগত্য বৃদ্ধি পায় এবং একসময় বালবাসরই অ্যাশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত পোকেমন হয়ে ওঠে।[১৯][২০] মে হোয়েন শহরে যাওয়ার সময় গ্রাস টাইপ পোকেমনের একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত উদ্যানে খুঁজে পায়। উদ্যানে বালবাসর মেকে বিপজ্জনক অন্যান্য গ্রাস টাইপ পোকেমনের থেকে রক্ষা করে এবং মে'র উদ্যান ত্যাগের সময় তার সাথে যাত্রা শুরু করে।[২১] মে পরবর্তীতে অতিথি চরিত্র হিসেবে সিরিজে পুনরায় আবির্ভূত হয়, যেখানে তার বালবাসরকে ভেনুসরে বিবর্তিত অবস্থায় দেখা যায়।[২২]
মূল জাপানি ভাষার সংস্করণে দুইটি বালবাসরে দুইজন ভিন্ন কণ্ঠাভিনেত্রী কণ্ঠ দেন। অ্যাশের বালবাসরকে কণ্ঠ দেন মেগুমি হায়াশিবারা এবং মে'র বালবাসরকে কণ্ঠ দেন মিয়াকো ইতো। ইংরেজি ডাবিংকৃত সংস্করণে উভয় পোকেমনের কণ্ঠ দেন তারা স্যান্ডস। তবে নবম মৌসুম থেকে মিশেল নটজ তার স্থলাভিষিক্ত হন।
বালবাসর বেশ কিছু পোকেমন মাঙ্গায় আবির্ভূত হয়। পোকেমন: পিকাচু শকস ব্যাক, ইলেকট্রিক পিকাচু বুগ্যালু এবং সার্ফ'স আপ' পিকাচু!-তে, যা অ্যানিমের কাহিনীরেখার সাথে ক্বচিৎ বিসদৃশ, পিকাচু অ্যাশের থেকে অস্থায়ীভাবে আলাদা হয়ে যায় এবং বালবাসরের সাথে পর্বতে গুপ্ত একটি পোকেমন গ্রামে ভ্রমণ করে। পরবর্তীতে অ্যাশ পিকাচুকে খুঁজে পায় এবং বালিবাসরকে পাকড়াও করে। বালবাসর অ্যাশের সাথে অরেঞ্জ দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণ করে এবং সর্বশেষ খেলায় অরেঞ্জ ক্রু জিম লিডার ড্রেককে পরাজিত করতে যুদ্ধ করে। ম্যাজিকাল পোকেমন জার্নিতে পিস্তাশিও নামক একটি চরিত্রের স্ত্রী বালবাসর (জাপানি সংস্করণে এর ডাকনাম ডানেরিনা) তার প্রতি আকৃষ্ট হয়।[২৩]
পোকেমন রেড এবং ব্লু গেমভিত্তিক পোকেমন অ্যাডভেঞ্চার্স মাঙ্গায় প্রধান চরিত্র রেড প্রফেসর ওকের কাছ থেকে একটি বালবাসর গ্রহণ করে, যার ডাকনাম দেয় "সর"।[২৪] "ওয়ার্টোর্টল ওয়ার্স" নামক পঞ্চদশ অধ্যায়ে একটি বন্য ম্যাঙ্কির সাথে যুদ্ধ করে বালবাসরকে আইভিসরে বিবর্তিত হতে দেখা যায়।[২৫]
পোকেমন জেনারেশনসের প্রথম পর্বে রেডের অধিকৃত পোকেমন হিসেবে বালবাসর আবির্ভূত হয়।
দুইটি পোকেমনকেন্দ্রিক শিশুতোষ বইয়ে বালবাসরকে প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখা যায়। বই দুইটি হলো সাজব্রাশ থেকে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত পোকেমন টেলস ভলিউম ৩: বালবাসর'স ট্রাবল এবং ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত বালবাসর'স ব্যাড ডে।[২৬][২৭] পোকেমন টেলস ভলিউম ৩: বালবাসর'স ট্রাবল বইয়ে বালবাসর অন্য দুই পোকেমনের মধ্যকার বিবাদ মীমাংসা করে।[২৭] বালবাসর'স ব্যাড ডে বইয়ে মিয়োথ বালবাসরকে একটি খন্দে আটকে ফেলে, যেখান থেকে টিম রকেটের (পোকেমন অ্যানিমের খলচরিত্র) হাত থেকে বাঁচতে কৌশল অবলম্বন করে।[২৬]
এছাড়া বালবাসর ডিটেক্টিভ পিকাচু চলচ্চিত্রে আবির্ভূত হয়, যেখানে সে পিকাচুকে মিউটুর নিকট পৌঁছাতে সাহায্য করে।
খেলনা, প্লাশ পুতুলসহ বেশ কিছু পণ্যোৎপাদনে বালবাসরকে আলোকপাত করা হয়।[২৮] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হ্যাসব্রো কর্তৃক বিক্রিত অ্যাকশন ফিগার হিসেবে এবং জাপানে টমি কর্তৃক ভিনাইল পুতুল, ওয়াইন্ড-আপ মডেল কিট এবং টেরিক্লথ বিন ব্যাগে ব্যাপকভাবে বালবাসর ব্যবহৃত হয়।[২৯] ম্যাকডোনাল্ড'স এবং বার্গার কিং প্রভৃতি ফাস্টফুড চেইন তাদের পণ্যের প্রচারণার জন্য বালবাসরকে ব্যবহার করে।[৩০][৩১] আনা বোয়িং ৭৬৭এস এর পোকেমন চিত্রণে বালবাসরও অন্তর্ভুক্ত হয়।[৩২] দ্বীপরাষ্ট্র নিউয়ে উল্টো পিঠে বালবাসরের চিত্র সংবলিত এক ক্রাউন মূল্যের স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করে, যা বাজারে লেনদেনের জন্য বৈধ।[৩৩]
আইজিএন বালবাসরকে "৫২তম শ্রেষ্ঠ" পোকেমন হিসেবে নির্বাচিত করে। আইজিএন অভিনেত্রী অড্রি ড্রেক তার প্রথম পোকেমন হিসেবে বালবাসরের প্রতি তার "অত্যন্ত বিশেষ অনুরক্তি"র কথা উল্লেখ করেন। এটি সম্ভবত তার "প্রিয়" পোকেমন হিসেবেও উল্লেখ করেন।[৩৪] গেম ইনফরমার তাদের তালিকায় বালবাসরকে চারম্যান্ডার এবং স্কুইর্টলের সাথে #৩ নম্বরে রাখে। লেখক ও'ডেল হারমন তিনটি পোকেমনের মধ্যকার এই পছন্দকে সিরিজের ইতিহাসের "সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ" বলে মন্তব্য করেন।[৩৫] গেম রেভোলিউশন বালবাসরকে "সর্বকালের সেরা পোকেমন" আখ্যায়িত করে। লেখক অ্যালেক্স অসবর্ন এটি "যা পোকেমনকে পোকেমন করে, সেই মাধুর্য ধারণ করে" বলে মন্তব্য করে এটিকে তার "ব্যক্তিগত প্রিয়" বলেন।[৩৬] এছাড়া ফেলো গেম রিভোলিউশন সম্পাদক ড্যানিয়েল বিশকফও এটিকে তার "ব্যক্তিগত প্রিয়" আখ্যা দেন।[৩৭] নিনটেন্ডো ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের পেদ্রো হার্নান্দেজ বালবাসরকে "তার সর্বকালের প্রিয় পোকেমন" হিসেবে উল্লেখ করেন। বালবাসর তার অনেক প্রথম - পোকেমন অ্যানিমের প্রথম পর্ব, তার "প্রথম পোকেমন", "থ্রিডিতে দেখা" প্রথম পোকেমন হিসেবে বিশেষ গুরুত্ববাহী বলেও মন্তব্য প্রকাশ করেন। পোকেমন সিরিজে আকৃষ্ট হওয়ার জন্য তিনি বালবাসরকে কৃতিত্ব দেন।[৩৮] অফিসিয়াল নিনটেন্ডো ম্যাগাজিনের জন ভেকিনিস গ্রাস টাইপ পোকেমনের দুর্বলতা সত্ত্বেও তাদের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য বালবাসরকে কৃতিত্ব দেন।[৩৯] অফিসিয়াল নিনটেন্ডো ম্যাগাজিনের পাঠকেরা বালবাসরকে দ্বিতীয় সেরা পোকেমন হিসেবে মনোনীত করেন। লেখক টমাস ইস্ট বালবাসরকে তার পরবর্তী রূপগুলোর থেকে অধিক ভালো বলে মন্তব্য করেন।[৪০] সাময়িকীর পাঠকেরা বালবাসরকে "সেরা" প্রারম্ভিক পোকেমন হিসেবেও মনোনীত করে।[৪১] গেমসটিএম বালবাসরকে রেড এবং ব্লু সংস্করণের "সেরা প্রারম্ভিক পোকেমন" রূপে মনোনীত করে।[৪২] সিএনএন প্রতিবেদক ডেনিস মাইকেল বালবাসরকে গেমের "শীর্ষ সমালোচক" এবং "সম্ভবত পোকেমন চরিত্রগুলোর মধকার কারমেন মিরান্ডা" বলে বর্ণনা করেন।[৪৩] পোকেমন.কম-এর ভোট অনুসারে বালবাসর শীর্ষ দশ পোকেমনের অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৪৪] আইজিএন-এর জীবনী পাতায় বালবাসরকে পোকেমন রেড এবং ব্লু সংস্করণের "ওড ম্যান আউট" রূপে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং এটি যেহেতু কোনো রং ধারণ করে না, তাই একে "সম্ভবত জানা সবচেয়ে সেরা গ্রাস-টাইপ পোকেমন, যদিও একে প্রাণীর চেয়ে সবজি বেশি লাগে, তবুও নতুন খেলোয়াড়দের নিকট বালবাসর অধিক জনপ্রিয়" বলে মন্তব্য করা হয়।[৪৫] আইজিএন সম্পাদক "পোকেমন অব দ্য চিক" হিসেবে তা সমর্থন করেন, যদিও পরবর্তী বিবর্তিত রূপগুলোতে "চ্যারিজার্ডের নিকট এটি সামান্য ম্লান হয়ে যায়" বলে ধারণা প্রকাশ করেন। তাছাড়া তিনি অ্যানিমেতে বালবাসরের স্বভাবের প্রশংসা করেন।[৪৬] গেমসরাডার সম্পাদক ব্রেট এলস্টন গতিবিধি ওবং বিবর্তনের উল্লেখ করে বলেন যে, বালবাসর শুধু সংখ্যাগতভাবে পোকেডেক্সের এক নম্বর হওয়ার চাইতেও বেশি কারণে জনপ্রিয়।[২৮] ফেলো গেমসরাডার সম্পাদক ক্যারোলিন গুডমুন্ডসন একটি নিবন্ধে ফায়ার, গ্রাস ও ওয়াটার টাইপ পোকেমনে তার পছন্দের উল্লেখ করেন এবং গ্রাস টাইপ এবং সাথে ডাইনোসর হওয়ার জন্য বালবাসরকে "অগ্রদূত" ব্যাখ্যা দেন। যদিও তার মতে বালবাসরের পরবর্তী রূপগুলো "কুৎসিত এবং মাধুর্যহীন"।[৪৭]
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে হনলুলু স্টার-বুলেটিন আয়োজিত পাঁচ থেকে আট বছর বয়সীদের একটি প্যানেল বালবাসরকে শিশুদের প্রিয় "তিনটি পোকেমনের অন্যতম" মনোনীত করে।[৪৮] ডেফনা লেমিশ এবং লিন্ডা রেনি-ব্লচ কর্তৃক শিশিদের মধ্যে পরিচালিত একটি গবেষণায় বালবাসরের একইসাথে "শক্তিশালী এবং মনোহর" বৈশিষ্ট্য উঠে আসে। লেমিশ এবং রেনি-ব্লচের মতে মনোহর রূপ ইসরায়েলি প্রসঙ্গে "জাপানি কর্মের মূল্যায়ন" এবং শক্তিশালী রূপ বালকদের মধ্যে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার জন্য গুরুত্ববাহী।[৪৯]
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ উপলক্ষে জাপানের নির্বাচিত ১৪টি মাস্কটের মধ্যে বালবাসর অন্যতম ছিল।[৫০]
রেডিটের একটি জরিপে প্রায় ৫২,০০০ লোক তাদের প্রিয় পোকেমনকে ভোট দেয়। সেখানে বালবাসর ৪র্থ জনপ্রিয় পোকেমন হিসেবে উঠে আসে।[৫১]
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের পোকেমন দিবস উপলক্ষে গুগল ও দ্য পোকেমন কোম্পানি আয়োজিত একটি আনুষ্ঠানিক জরিপে জনগণ অঞ্চলভিত্তিতে ভোট দেওয়ার সুবিধা পান। সেখানে বালবাসর সব মিলিয়ে #১৩তম এবং ক্যান্টো অঞ্চলের তৃতীয় জনপ্রিয় পোকেমন হিসেবে নির্বাচিত হয়।[৫২]
Sugimori: “Bulbasaur, Charmander, and Squirtle were all designed by Ms. Nishida.” ; Nishida: “I created the designs for Bulbasaur, Charmander, and Squirtle by working backward from their final forms. I wanted people to be surprised when it evolved into Charizard, so I designed the original Charmander in such a way that Charizard would be unimaginable.”
A strange seed was planted on its back at birth. The plant sprouts and grows with this Pokémon.
Bulbasaur can be seen napping in bright sunlight. There is a seed on its back. By soaking up the sun's rays, the seed grows progressively larger.
It can go for days without eating a single morsel. In the bulb on its back, it stores energy.
A player must first find Professor Oak—the world's foremost expert on Pokémonology—who offers three choices for starter Pokémon: Bulbasaur (grass type), Charmander (fire type), or Squirtle (water type).