বালিয়া জেলা | |
---|---|
উত্তরপ্রদেশের জেলা | |
![]() উত্তরপ্রদেশে বালিয়া জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | আজমগড় |
সদর দপ্তর | বালিয়া |
তহশিল | ১. বালিয়া ২. বৈরিয়া ৩. বাঁশদিহ ৪. বেলথারা রোড ৫. রসরা ৬. সিকান্দারপুর |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্রগুলি | বালিয়া, সালেমপুর এবং ঘোসি |
আয়তন | |
• মোট | ২,৯৮১ বর্গকিমি (১,১৫১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩২,৩৯,৭৭৪ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৮০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ১,০৪,৪২৪ |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৭৩.৮২ % |
• যৌন অনুপাত | ৯৩৩ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
প্রধান মহাসড়ক | ইউপি এসএইচ ১, ইউপি এসএইচ -১ বি, এনএইচ ৩১, ইউপি এসএইচ ৩৪ |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ১৬০৮.৯ মিমি |
ওয়েবসাইট | http://ballia.nic.in/ |
বালিয়া জেলা হল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যেরর জেলাগুলির একটি। বালিয়া জেলা আজমগড় বিভাগের একটি অংশ এবং এটি উত্তরপ্রদেশের পূর্ব অংশে অবস্থিত। এখানকার প্রধান আয়ের উৎস হল কৃষি। বালিয়া শহরটি এই জেলার জেলা সদর এবং বাণিজ্যিক বাজার। এই জেলায় মোট ছটি তহশিল রয়েছে: ১. বালিয়া, ২. বৈরিয়া, ৩. বাঁশদিহ, ৪. বেলথারা রোড, ৫. রসরা এবং ৬. সিকান্দারপুর। রসরা এই জেলার দ্বিতীয় বড় বাণিজ্যিক অঞ্চল। এখানে একটি সরকারী চিনি কল এবং একটি সুতি বয়ন শিল্প রয়েছে। যদিও বালিয়ার মূল পেশা কৃষি, এখানে আরো কিছু কুটির শিল্প আছে। মানিয়ার বিন্দি শিল্পের জন্য পরিচিত এবং এটি একটি প্রধান সরবরাহকারী।
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৯,৪২,২৩৪ | — |
১৯১১ | ৮,০৭,৯১২ | −১.৫৩% |
১৯২১ | ৭,৯৩,৭৫৯ | −০.১৮% |
১৯৩১ | ৮,৭২,১৭৭ | +০.৯৫% |
১৯৪১ | ১০,০৭,৩১৮ | +১.৪৫% |
১৯৫১ | ১১,৪১,৭৩৯ | +১.২৬% |
১৮৬১ | ১২,৮০,৫১৭ | +০.১৩% |
১৯৭১ | ১৫,০৯,১৭২ | +০.১৫% |
১৯৮১ | ১৮,৪৯,৬৭৩ | +২.০৬% |
১৯৯১ | ২২,৬১,৫০২ | +২.০৩% |
২০০১ | ২৭,৬০,৬৬৭ | +২.০১% |
২০১১ | ৩২,৩৯,৭৭৪ | +১.৬১% |
সূত্র:[১] |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বালিয়া জেলার জনসংখ্যা ৩,২৩৯,৭৭৪ জন,[২] মৌরিতানিয়া[৩] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৪] জনসংখ্যারভিত্তিতে এটি ভারতে ১০৮তম স্থানে আছে (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে)।[২] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ১,০৮৭ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (২,৮২০ জন/বর্গমাইল)।[২] এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১৬.৭৩% ছিল।[২] বালিয়াতে প্রতি ১০০০ পুরুষের জন্য ৯৩৭ জন্য মহিলা (যৌন অনুপাত) রয়েছে,[২] এবং সাক্ষরতার হার এর ৭৩.৯৪%।[২]
২০১১ সালে ভারতের আদমশুমারি অনুসারে, জেলার ৯৮.৯৭% লোক তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে হিন্দিতে এবং ০.৯৪% উর্দুতে কথা বলে।[৫]
এখানে ভাষার মধ্যে আছে হিন্দি, উর্দু এবং ভোজপুরি, প্রায় ৫১,০০,০০০ মানুষের ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহর বিভাগে একটি কথ্য ভাষা, দেবনাগরী এবং কাইথি উভয় লিপিতেই লিখিত।[৬]
হিন্দি এই জেলার সর্বাধিক কথ্য ভাষা। অনেক মানুষ ভোজপুরিকে তাদের প্রাথমিক ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে।
ইংরেজি হল ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডইন, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগলের মত বৈদ্যুতিন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মূল ভাষা।
হিন্দি সাহিত্যে বালিয়ার অবদান অপরিসীম। অনেক বিশিষ্ট পণ্ডিত বালিয়াতে জন্মেছেন, যেমন হাজারী প্রসাদ দ্বিবেদী, ভৈরব প্রসাদ গুপ্ত এবং অমর কান্ত। জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে আছেন দুই ভাই - বলদেব উপাধ্যায়, যিনি বিখ্যাত সংস্কৃতের সমালোচক এবং কৃষ্ণদেব উপাধ্যায়, যিনি ভোজপুরি পণ্ডিত ও ভোজপুরি লোকসাহিত্যে রচয়িতা। এছাড়া আছেন হিন্দি সাহিত্যের দুধনাথ সিং এবং ডাঃ রামবিচার পাণ্ডে।[৭]
বালিয়া হল বিখ্যাত কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর আবাসস্থল, যাঁরা অত্যাচারী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং চিত্তু পাণ্ডে এবং অন্যদের নেতৃত্বে ১৯শে আগস্ট ১৯৪২ থেকে কিছুদিনের জন্য ব্রিটিশ ভারতের শাসন থেকে বালিয়া অঞ্চলকে মুক্ত করে ছিলেন। এ কারণে বালিয়া অঞ্চলটি বাগী বালিয়া (বিদ্রোহী বালিয়া) নামেও পরিচিত।
এই জেলা থেকে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রাম নাগিনা সিংহ রয়েছেন, যিনি ১৯৫২ সালে প্রজাতন্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক দল (পিএসপি) থেকে বালিয়ায় প্রাক্তন এমপি। চন্দ্র শেখর, যিনি 'তরুণ তুর্কী' নামেও পরিচিত, ১৯৯০ সালের ১০ই নভেম্বর ভারতের ৮ম প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং ১৯৯১ সালের ২১শে জুন পর্যন্ত (২২৪ দিন) প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বালিয়া জেলার ইব্রাহিমপট্টি গ্রামে জন্মেছিলেন ও বড় হয়েছেন। তিনি বালিয়া লোকসভা আসনে সর্বোচ্চ সময় লোকসভার সদস্য থাকার রেকর্ডটি করেছেন। সুপরিচিত মুক্তিযোদ্ধা মঙ্গল পাণ্ডেও ছিলেন এই শহরের অধিবাসী এবং তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ভারতের ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে সশস্ত্র লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন।
চিত্তু পাণ্ডে, মুরলি মনোহর, তারকেশ্বর পাণ্ডে, ত্রিপুরারী মিশ্র, গৌরী শঙ্কর রায় এবং আরো শত শত নেতা সেই সময়ে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। মুরলি মনোহর, তারকেশ্বর পাণ্ডে, এবং গৌরী শঙ্কর রাই লোকসভার সদস্য ছিলেন। গৌরী শঙ্কর রাই - ইউপি পরিষদ, ইউপি কাউন্সিলের সদস্য এবং ভারতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।[৮]
বালিয়াতে আর্দ্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু দেখতে পাওয়া যায়, (কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস): মার্চের শেষ থেকে জুনের শুরুতে অত্যন্ত গরম থাকে, বর্ষা থাকে জুনের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের শেষের দিক পর্যন্ত এবং নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাতে কনকনে ঠান্ডা ও দিন কুয়াশাচ্ছন্ন বা রৌদ্রোজ্জ্বল থাকে।
বালিয়া-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °ফা | — | — | — | ১০১.৫ | — | — | — | ৯১.০ | — | — | — | — | ১০১.৫ |
সর্বোচ্চ গড় °ফা | — | — | — | ১১৫.৭ | — | — | — | ৯১.০ | — | — | — | ৭৬.৫ | ১১৮.৪ |
সর্বনিম্ন গড় °ফা | — | — | — | — | — | — | — | ৭৮.৪ | — | — | — | ৪৯.৫ | ৬৭.৩ |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °ফা | — | — | — | ৭২ | — | — | — | ৭৮.৪ | — | — | — | — | ৭২ |
অধঃক্ষেপণের গড় ইঞ্চি | — | — | — | ০.১৮ | — | — | — | ১২.১৭ | — | — | — | ০.১১ | — |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে | — | — | — | ৩৮.৬ | — | — | — | ৩২.৮ | — | — | — | — | ৩৮.৬ |
সর্বোচ্চ গড় °সে | — | — | — | ৪৬.৫ | — | — | — | ৩২.৮ | — | — | — | ২৪.৭ | ৪৮.০ |
সর্বনিম্ন গড় °সে | — | — | — | — | — | — | — | ২৫.৮ | — | — | — | ৯.৭ | ১৯.৬ |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে | — | — | — | ২২ | — | — | — | ২৫.৮ | — | — | — | — | ২২ |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি | — | — | — | ৪.৫ | — | — | — | ৩০৯.২ | — | — | — | ২.৭ | — |
উৎস: India Meteorological Department (record high and low up to 2010)[১] |
Mauritania 3,281,634 July 2011 est.
Iowa 3,046,355
টেমপ্লেট:Azamgarh division topics