ইংরেজিতে মায়সুর ক্লক ভাইন বা শুধু ক্লক ভাইন নামেও পরিচিত বাসর লতা। এটি দক্ষিণ ভারতের স্থানীয় গাছ[১]
বাসর লতা | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Asterids |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Acanthaceae |
গণ: | Thunbergia |
প্রজাতি: | T. mysorensis |
দ্বিপদী নাম | |
Thunbergia mysorensis (Wight) T.Anderson ex Bedd.1865 |
বাসর লতার লতানো অংশ দেখতে অনেকটা মাধবী লতার মতো। শক্ত লতানো গাছ বাসর লতা সাধারণত ১০ মিটার পযর্ন্ত লম্বা হতে পারে। এ গাছের ফুল পুরোপুরিভাবে খোলে না। পাতার বিন্যাস বিপ্রতীপ, লম্বাটে, গভীর শিরাযুক্ত। পাতার দৈঘ্য ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার। বাসর লতার ঝুলন্ত মঞ্জরিতে তামাটে-লাল ফুল থাকে প্রায় সারা বছর[২]।
বীজের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার ঘটানো হয়। তবে সহজ হলো কাটিং পদ্ধতি অবলম্বন করা। কাটিং এর উপযুক্ত সময় বসন্তকাল। দুই সন্ধি ও দুই পাতাবিশিষ্ট লতা সংগ্রহ করে টবে সাধারণ দো-আঁশ মাটিতে লাগালেই হবে[৩]।
এ গাছ জ্বর, কৃমিরোগ, হার্ট ও ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা ও বিষনাশক হিসাবে ব্যবহার করা যায়। রোগপ্রতিষেধক গুণসম্পন্ন এই লতার ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাস বিনাশ করার ক্ষমতা সম্পর্কে জানা গেছে[৪]।
আমাদের দেশে বাসর লতার পরিচিতি কম। তবু কোথাও কোথাও এদের দেখা মিলে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্এডেনে এদের দেখা পাওয়া যাবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে দেখা যায়।
বাসর লতা আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গাডের্নেও। হলিক্রস স্কুল, বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন হাউস ও ঢাকা সেন্ট যোশেফ হাই স্কুলে বাসর লতার আরও কয়েকটি গাছ আছে। এ ছাড়া বাসর লতা খুব একটা সহজলভ্য নয়। বাসর লতা দক্ষিণ ভারতের নীলগিরি পাহাড়ের কন্যাকুমারী অঞ্চলে অন্তত ৯০০ মিটার উচ্চতায় প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে[২]