বাসু ভট্টাচার্য্য | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৫ |
মৃত্যু | ১৯ জুন ১৯৯৭[১] | (বয়স ৬২–৬৩)
দাম্পত্য সঙ্গী | রিঙ্কি ভট্টাচার্য (বি. ১৯৬১; বিচ্ছেদ. ১৯৯০) |
সন্তান | আদিত্য ভট্টাচার্য সহ তিন জন |
পুরস্কার | ১৯৭২: দ্বিতীয় সেরা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার:অনুভব ১৯৮৪ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার : স্পর্শ ছায়াছবি |
বাসু ভট্টাচার্য্য (হিন্দি: बासू भट्टाचार्य; বাসু ভাট্টাচারিয়া) (১৯৩৪ —১৯ জুন ১৯৯৭) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি চিত্র পরিচালক।[২] তবে তিনি হিন্দি ছায়াছবিতেই কাজ করেছেন। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি সেরা পরিচালক হিসাবে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন।[২]
বাসু ভট্টাচার্য ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার একটি ছোট শহর কাশিমবাজারের একটি গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।[৩] ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন এবং সে বছরেই তিনি বলিউডের চলচ্চিত্র জগতে যোগ দেন।
দীর্ঘদিন বিমল রায়ের সহকারী হিসাবে কাজ করার পর ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে নিজের পরিচালনায় (ফণীশ্বর নাথ 'রেনু'-এর ছোট গল্প "মারে গায়ে গুলফাম" অবলম্বনে) প্রথম ছবি তিসরি কসম সাড়া জাগিয়েছিল। রাজ কাপুর এবং ওয়াহিদা রহমানের অভিনয় সমৃদ্ধ ছবিটি তার জন্য জাতীয় পুরস্কার এনে দেয়। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি সেরা পরিচালক হিসাবে রাস্ট্রপতির স্বর্ণপদক লাভ করেন।
বাসু ভট্টাচার্যের পরিচালনায় আবিষ্কার চলচ্চিত্রটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সমালোচকদের দ্বারা উচ্চ-প্রশংসিত হয়েছিল। তিনি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পুরস্কার লাভ করেন। বলিউড গাইড কালেকশনে পাঁচ তারকা প্রাপ্ত ছবিটিতে মূখ্য ভূমিকায় ছিলেন রাজেশ খান্না এবং শর্মিলা ঠাকুর। অভিনতা রাজেশ খান্নাও ছবিটির জন্য ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগেফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্পর্শ ছবিটি প্রযোজনা করেন, এটি হিন্দিতে সেরা ফিচার ফিল্মের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিল এবং ছবিটি ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও পেয়েছিল।[৪]
বাসু ভট্টাচার্য প্রগতিশীল চলচ্চিত্র আন্দোলনের অংশীদার ছিলেন। প্রথম জীবনে কবিতা লেখার পাশাপাশি সংবাদপত্রে ফরমায়েসি লেখাও লিখেছেন। সাহিত্যের আড্ডার সঙ্গে বাগানচর্চাতে তার গভীর অনুরাগ ছিল। টানা দশ বৎসর তিনি ইন্ডিয়ান ফিল্ম ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে ছিলেন।[২] ১৯৮১ সালে তিনি ১২তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরির সদস্য ছিলেন।[৫]
১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে বাসু ভট্টাচার্য্য বিমল রায়ের অসম্মতিতে বিমল রায়ের কন্যা রিঙ্কিকে বিবাহ করেন। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে এক পুত্র আদিত্য এবং দুটি কন্যা চিন্মু ও অন্বেষা। পরবর্তীতে তাদের সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হয়।[৬][৭] অবশেষে গার্হস্থ্য নির্যাতনের অভিযোগে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে স্ত্রী রিঙ্কি পৃথক হয়ে যান এবং ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। রিঙ্কি ভট্টাচার্য ভারতে গার্হস্থ্য সহিংসতার উপর - বদ্ধ দরজার পিছনে নামে একটি রচনা সংকলন সম্পাদনা করেন। পরবর্তীতে রিঙ্কি ভট্টাচার্য একজন সফল লেখক, কলামিস্ট এবং ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে পরিচিতি পান।[৮]