বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান |
---|
নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর একটি ধারাবাহিকের অংশ |
![]() |
অনেক বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞানের দার্শনিক বিবর্তনকে ফ্যাক্ট (সত্য বা বাস্তবতা) এবং থিওরি (তত্ত্ব) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ১৯৮১ সালে এটি প্যালেওনোলজিস্ট স্টিফেন জে গোল্ডের একটি নিবন্ধের শিরোনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তিনি বৈজ্ঞানিক সত্য বলতে তথ্যকে (ডেটা) বুঝিয়েছেন; যা একদম চিরন্তন সত্য নয়, but "confirmed to such a degree that it would be perverse to withhold provisional assent." বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব সত্যকে ব্যাখ্যা করার জন্য উৎকৃষ্ট প্রমাণ। বিবর্তনের সত্যতা এসেছে সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণ, একই বংশোদ্ভূত ঐতিহাসিক প্রাণীর রেকর্ডের ত্রুটি এবং ফসিল রেকর্ডের পরিব্যপ্তি থেকে। [১]
“বিবর্তন”, “সত্য বা বাস্তবতা” এবং “তত্ত্ব” প্রতিটি শব্দের প্রসঙ্গানুসারে আলাদা অর্থ আছে। বিবর্তন বলতে বোঝায় সময়ের সাথে পরিবর্তন, যেরকমটা নক্ষত্রের বিবর্তন। জীববিজ্ঞানে এটি একই পূর্বপুরুষ থেকে কোনো বংশের জীবের পরিবর্তনকে নির্দেশ করে এবং প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সময়ের সাথে জিনের পরিবর্তনে বোঝায়। বিবর্তন বলতে কোনো তত্ত্বের ব্যাখ্যাও বুঝাতে পারে (যেমন চার্লস ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন), যা বিবর্তনের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে। একটি তত্ত্বকে ভালো তত্ত্ব বলা যেতে পারে যদি সেটা কোনো পর্যবেক্ষণের বিরাট শ্রেণিকে নির্ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে এবং ভবিষ্যৎ পর্যবেক্ষণের একটি বিরাট শ্রেণিকে নির্ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। [২]
বিবর্তনের পক্ষে অনেক প্রমাণ জোগাড় এবং প্রমাণ চলমান রয়েছে। বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞানের দার্শনিকের বিভিন্ন বক্তব্য বিবর্তনকে তত্ত্ব এবং সত্য হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করে।
নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দ্বারা বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞানের দার্শনিকদের কাছ থেকে সত্য এবং তত্ত্ব হিসাবে বিবর্তনের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য বর্ণিত হয়েছে
বিবর্তনকে "ঘটনা ও তত্ত্ব" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে; "সত্য, তত্ত্ব নয়"; "শুধুমাত্র একটি তত্ত্ব, একটি সত্য নয়"; "তত্ত্বের সমষ্টি হিসেবে, সত্য নয়"; এবং "সত্য-তত্ত্ব কোনোটিই নয়।" এই বিবৃতিগুলোর মধ্যে মতবিরোধের ক্ষেত্রে মূল বিরোধের চেয়ে শব্দগুলোর অর্থ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক জেরি কোয়েন জৈবিক বিবর্তনকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন:
এটি প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, জেনেটিক্স, ভূতত্ত্ব এবং জীবাশ্মবিজ্ঞান সহ আরো অনেক বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রের সম্ভাবনা এবং ব্যাপ্তিকে প্রকাশ করে।
তবে বিবর্তনের মূল বিষয়টিকে সাধারণত কোনো জীবগোষ্ঠীর একটি প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে জীবের বৈশিষ্ট্য বা জিনের ক্রমের পরিবর্তন হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।[৪] এটিকে বিবর্তনের প্রমাণ-জেনেটিক-সংজ্ঞা বলা হয়েছে। প্রাকৃতিক নির্বাচন হচ্ছে বিবর্তন তত্ত্বের একাধিক পদ্ধতির মধ্যে একটি যা কীভাবে কোনো জীব ঐতিহাসিকভাবে পরিবর্তিত কোনো পরিবর্তন গ্রহণ করে তা ব্যাখ্যা করে। ডারউইনের মৃত্যুর পরে ১৯০০ সালে মটরের মধ্যে সাধারণ বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতার বংশগতি সম্পর্কে গ্রেগর মেন্ডেলের গবেষণায় বংশগতিবিদ্যার মূলনীতি পুনঃআবিষ্কৃত হয়। [৫] [পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন] জেনেটিক্স, মিউটেশন, প্যালিয়ন্টোলজি এবং বিকাশীয় জীববিজ্ঞানের পরবর্তী গবেষণা ডারউইনের মূল তত্ত্বের প্রয়োগযোগ্যতা এবং ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে।
ডগলাস জে ফুতুয়ামার মতে:
বিস্তৃত অর্থে বিবর্তন শব্দটি নক্ষত্রের বিবর্তন থেকে শুরু করে ভাষার বিবর্তনের প্রক্রিয়াগুলিকে নির্দেশ করে। জীববিজ্ঞানে, অর্থটি আরও সুনির্দিষ্ট: বংশগতীয় পরিবর্তন যা একটি জীবগোষ্ঠীর বহু প্রজন্ম ধরে হতে থাকে। পৃথক জীব তাদের জীবদ্দশায় বিবর্তিত হয় না, তবে বংশগতির জিনগত পরিবর্তন জীবগোষ্ঠীতে কম বা বেশি থাকতে পারে। জীবের জীবদ্দশায় কোনও পরিবর্তন যা তাদের বংশধরদের দ্বারা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয় না তা জৈবিক বিবর্তনের অংশ নয়। [৭]
কিথ স্টুয়ার্ট থমসনের মতে বিবর্তন শব্দটির কমপক্ষে তিনটি স্বতন্ত্র অর্থ রয়েছে:[৮]
থমসন মন্তব্য করেছেন: "সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন একটি সত্য এবং সাধারণ পূর্বপুরুষদের বংশোদ্ভূতের বিষয়টি এমন একটি প্রশ্নাতীত যুক্তির উপর ভিত্তি করে যে আমরা এটাকে সত্য হিসাবে মনে করি। প্রাকৃতিক নির্বাচন ব্যাখ্যামূলক তত্ত্বের রূপরেখা হিসেবে কাজ করে” [৮]
জীববিজ্ঞানীরা এটিকে একটি বৈজ্ঞানিক সত্য হিসাবে ধরে নিয়েছেন যে আধুনিক জীবের মধ্যে বিবর্তন ঘটেছে যা অতীতের চেয়ে পৃথক, এবং এখনও জীব এবং তাদের বংশধরের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্যসহ বিবর্তন ঘটছে। দ্বিতীয়টির বড়ো সমর্থন হলো বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারছেন যে সাধারণ বংশদ্ভুতের সত্যতা সৌরমন্ডলে সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী ঘোরা উপলব্ধি মতোই, যদিও এই পরীক্ষাগুলো এখনও প্রাথমিক এবং এখনও প্রক্রিয়াধীন। বিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে একাধিক তত্ত্ব রয়েছে এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতি সম্পর্কে এখনও সক্রিয় মতবিরোধ রয়েছে। [৯]
বিবর্তন শব্দটির চতুর্থ অর্থ রয়েছে যা আজ জীববিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেন না । ১৮৫৭ সালে দার্শনিক হারবার্ট স্পেন্সার এটিকে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন যে "একইজাতীয় থেকে ভিন্নজাতীয়তে পরিবর্তিত হওয়া।" তিনি দাবি করেছিলেন (ডারউইনের আগে) জৈব বিবর্তনের জন্য এটি "অবিসংবাদিত ভাবে প্রতিষ্ঠিত" এবং নক্ষত্র ব্যবস্থা, ভূতত্ত্ব এবং মানব সমাজের বিবর্তনে প্রয়োগ করেছেন। [১০] এমনকি ১৮৬৫ সালে স্পেনসর বলেছিলেন যে তাঁর সংজ্ঞাটি অসম্পূর্ণ, [১১] তবে উইলিয়াম জেমস এবং অন্যদের সমালোচনার জন্য পরিত্যক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত এটি উনিশ শতক জুড়েই জনপ্রিয় ছিল। [১২] [১৩]
সত্য বা সত্যতা শব্দটি বিজ্ঞানীরা প্রায়শই পরীক্ষামূলক বা অভিজ্ঞতামূলক তথ্য বা বস্তুবাচকভাবে যাচাইযোগ্য পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করতে ব্যবহার করেন। [১৪][১৫] "ফ্যাক্ট বা সত্য" কোনও তত্ত্বকে বোঝাতে ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় যার পক্ষে অপ্রতিরোধ্য প্রমাণ রয়েছে। [১৬]
এ বিবেচনায় বিবর্তন যে সত্য বা ফ্যাক্ট এটা অখণ্ডনীয় প্রমাণের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। প্রায়শই বলা হয়ে থাকে যে সূর্যের চারপাশের পৃথিবী ঘোরার মতোই এটা সত্য। [৬] [১৭] হারমান জোসেফ মুলারের “ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস উইথআউট ডারউইনিজম আর এনাফ” প্রবন্ধের নিচের উদ্ধৃতি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে।
জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি (মার্কিন) একটি অনুরূপ বিষয় উল্লেখ করে:
স্টিফেন জে গোল্ড আরও উল্লেখ করেছেন যে “ডারউইন সবসময় তাঁর দুটি দুর্দান্ত এবং আলাদা অবদানের মধ্যে পার্থক্যকে জোর দিয়েছিলেন: সত্য হিসেবে বিবর্তন এবং বিবর্তনের প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করার জন্য একটি তত্ত্বের প্রস্তাব দেয়া— প্রাকৃতিক নির্বাচন।” [২০] এই দুটি ধারণার মধ্যে প্রায়শই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানীরা এখনও বিবর্তনের কোনো নির্দিষ্ট দৃষ্টান্তের ব্যাখ্যা বা প্রক্রিয়া প্রশ্ন নিয়ে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সত্য হলো বিবর্তন ঘটেছে, এবং এখনও ঘটছে, যা অবিসংবাদিত।
একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো বিবর্তন নির্ভরযোগ্যভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে না, কেননা এটি কয়েক লক্ষ বছর আগে ঘটেছিল এবং এই বিজ্ঞান তাই সত্যের উপরে নির্ভরশীল নয় (প্রাথমিক অর্থে)। তবে ডারউইন এবং তত্ত্বের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস এবং পরবর্তী সমস্ত জীববিজ্ঞানীই মূলত প্রাথমিকভাবে জীবিত প্রাণীর পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভরশীল ছিলেন; ডারউইন মূলত গৃহপালিত প্রাণীদের বংশবৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, যেখানে ওয়ালেস অ্যামাজন এবং মালয় দ্বীপপুঞ্জের জৈবভৌগলিক প্রজাতি থেকে শুরু করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, জনসংখ্যা বংশাণুবিজ্ঞান ছিল বিবর্তনের মূল আলোচ্য এবং সাম্প্রতিককালে ডিএনএ পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা এর আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বিজ্ঞানের দার্শনিকরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে মুক্তমনা গবেষণাধর্মী সত্যতা একদমই সত্য কি না আমরা তা জানি না: এমনকি প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের ব্যাপারটি আমাদের অনুমান এবং ব্যবহৃত যন্ত্রের কারণে তা "অপ্রয়োজনীয় তত্ত্ব" হতে পারে। এই অর্থে সমস্ত সত্য অস্থায়ী। [৯][২১]
"তত্ত্ব" শব্দের বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা সাধারণ ব্যবহারের সংজ্ঞা থেকে পৃথক। স্থানীয়ভাবে "তত্ত্ব" বলতে বোঝায় অনুমাননির্ভর মত, সাধরন অনুমান, মতামত, অথবা একটি কাল্পনিক তথ্য যা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়।
বিজ্ঞানে অবশ্য তত্ত্বের অর্থ আরও কঠোর। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বলতে বোঝায় "প্রকৃতির এমন কিছু দৃষ্টিভঙ্গির একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা যা প্রমাণ, বৈজ্ঞানিক আইন, সূচনা এবং পরীক্ষিত অনুমানকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে পারে।" [২২] হাইপোথিসিস থেকে তত্ত্বের সূচনা হয়। তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বারবার পরীক্ষা করে প্রমাণ সিদ্ধ করা হয় বা বিপরীতভাবে তত্ত্বকে মিথ্যা প্রমাণ করার পরীক্ষা করা হয়। প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের ক্ষেত্রে, ডারউইন ১৮৩৯ সালের দিকে অনুমান করেছিলেন এবং তিন বছর পরে ১৮৪২ সালে প্রথম খসড়া তৈরি করেছিলেন। তিনি তাঁর বহু বুদ্ধিমান বন্ধুদের সাথে এটি ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছিলেন এবং তার অন্যান্য লেখাগুলি এবং রচনার পটভূমিতে আরও গবেষণা করেছিলেন। কয়েকবছর উন্নয়ণের পরে, তিনি শেষ পর্যন্ত ১৮৬৯ সালে অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিসে তার প্রমাণ এবং তত্ত্ব প্রকাশ করেছিলেন। [২৩]
"বিবর্তন তত্ত্ব" আসলে তত্ত্বের একটি ধারা যা জীববিজ্ঞানের গবেষণা ক্ষেত্র তৈরি করেছিল। ডারউইন তার মূল ব্যাখ্যায় পাঁচটি পৃথক তত্ত্ব প্রস্তাব করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে:
ডারউইনের পর থেকে বিবর্তন এর আন্তঃসম্পর্কিত বিবৃতিগুলির একটি সু-সমর্থিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে যা প্রাকৃতির অসংখ্য পর্যবেক্ষণকে ব্যাখ্যা করে। বিবর্তনীয় তত্ত্বগুলি জীবিত এবং জীবাশ্মের জীব সম্পর্কে পরীক্ষামূলক ভবিষ্যদ্বাণী এবং ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছে। [২৫] [২৬]
"ফ্যাক্ট বা সত্য" বলতে সাধারণত জীবের প্রজন্ম ধরে চলা পর্যবেক্ষণযোগ্য পরিবর্তন বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। আর "তত্ত্ব" শব্দটি এই পরিবর্তনের কারণ ব্যখ্যা করার জন্য:
প্রজন্ম ধরে চলা পরিবর্তনের দিকে গুরুত্ব দিয়ে এবং কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ বংশধর বিষয়ে কিছু ভাষ্যকার এর সমর্থনকারী প্রমাণের উপর জোর দিয়েছেন যে বিবর্তন একটি সত্য। এবং যুক্তি দিয়েছেন যে এখানে “তত্ত্ব” শব্দটি উপযুক্ত নয়:
বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী কর্ক জে ফিৎজুঘ [৩৫] লিখেছেন যে প্রকৃতিবিজ্ঞানীদের অনুসন্ধান “সাবধানে এবং সঠিকভাবে” বর্ণনা করার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, যখন বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান সৃষ্টিশীলবাদী এবং বুদ্ধিদীপ্ত ডিজাইনের প্রবক্তার প্রশ্নের মুখে থাকে। ফিৎজুঘ লিখেছেন যে যখন সত্যতা প্রকৃতিরই একটি ধরন, তত্ত্ব সেই ধরনগুলোর আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে।
ফিৎজুঘ স্বীকৃতি দিয়েছেন যে "তত্ত্ব" বনাম "সত্য" বিতর্কটি আসলে শব্দার্থবিদ্যার মধ্যে একটি। তবুও তিনি দাবি করেন যে বিবর্তনকে "সত্য" হিসাবে উল্লেখ করা টেকনিক্যালি ভুল এবং বিজ্ঞানের ‘প্রাথমিক লক্ষ্য’ থেকে দূরে সরে যাওয়া, যা হচ্ছে তত্ত্ব ও হাইপোথিসিসের সমালোচনামূলক মূল্যায়নের মাধ্যমে ক্রমাগত জ্ঞানার্জন করা।" ফিজহুগ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে বিবর্তনের "নিশ্চয়তা" কোনও বিবর্তনীয় তত্ত্ব বা অনুমানকে সত্যের স্তরে উন্নীত করে না। [৩৬]
|শিরোনাম-সংযোগ=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) The book is available from The Complete Work of Charles Darwin Online. Retrieved 2015-01-17.