বাহাওয়ালনগর بہاولنگر | |
---|---|
শহর | |
বাহাওয়ালনগরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৯°৫৯′৩৪″ উত্তর ৭৩°১৫′১৩″ পূর্ব / ২৯.৯৯২৭৮° উত্তর ৭৩.২৫৩৬১° পূর্ব | |
দেশ | পাকিস্তান |
প্রদেশ | পাঞ্জাব |
বিভাগ | বাহাওয়ালপুর |
জেলা | বাহাওয়ালনগর |
ইউনিয়ন পরিষদ | ১১৮ |
সরকার[১] | |
• ধরন | মহানগর কমিটি |
• চেয়ারম্যান | শূন্য |
• ভাইস চেয়ারম্যান | শূন্য |
উচ্চতা | ১৬৩ মিটার (৫৩৫ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৭)[২] | |
• শহর | ১,৬১,০৩৩ |
• ক্রম | ৫৪ তম, পাকিস্তান |
সময় অঞ্চল | পিএসটি (ইউটিসি+৫) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | +৬ (ইউটিসি) |
ওয়েবসাইট | বাহাওয়ালনগর পৌর কমিটি |
বাহাওয়ালনগর (পাঞ্জাবি, উর্দু: بہاولنگر) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত, বাহাওয়ালনগর জেলার রাজধানী শহর। বাহাওয়ালনগর শহরটি জেলা এবং তেহসিলের সদর দফতর।[৩] ২০১৩ সালের আদমশুমারি অনুসারে, জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি পাকিস্তানের ৫৪ তম বৃহত্তম শহর। বাহাওয়ালনগরের পুরাতন নাম ছিল রোজনওয়ালি / উভা। ১৯০৪ সালে বাহাওয়ালপুর রাজ্যের শাসক পঞ্চম বাহাওয়াল খানের নামানুসারে ভাওয়ালপুর, বাহাওয়ালনগর এবং রহিম ইয়ার খান জেলা নিয়ে এর নামকরণ করা হয়েছিল বাহাওয়ালনগর।[৪] এটি লাহোরের ১৯২ মাইল দক্ষিণে এবং বাহাওয়ালপুর থেকে প্রায় ১২০ মাইল পূর্বে অবস্থিত। সাতলেজ নদীটি এটি থেকে প্রায় ৬ মাইল দূরে উত্তর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।[৫]
বাহাওয়ালনগর মূলত রোজানওয়ালি[৬]নামে পরিচিত একটি ছোট্ট জনবসতি ছিল যা কয়েকটি কুঁড়েঘর এবং খুপরির সমন্বয়ে ছিল। রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় দেড় মাইল উত্তরে এই রোজানওয়ালি গ্রাম এখনও বিদ্যমান। ১৮৯৫ সালে, একটি রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করা হয়েছিল এবং এর নামকরণ করা হয়েছিল রোজানওয়ালি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ১১৩ মাইল দূরত্বে বাহাওয়ালনগর এবং বাথিন্ডার মধ্যে একটি জংশন ছিল, এখন আম্রোকা এবং ফোর্ট আব্বাসের মধ্যে শাখা লাইন সংযোগ রয়েছে। দেশ বিভাগের আগে এটি খুব ব্যস্ত জংশন ছিল। ট্রেনগুলো করাচি থেকে দিল্লি এবং এর বিপরীতে বাহাওয়ালনগর হয়ে চলত। বাহাওয়ালনগর থেকে ফাজিলকা, ফিরোজপুর পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করত। সেখানে একটি লোকো শেড এবং দুটি বিনোদনমূলক সংস্থা ছিল। [৫]
১৯০৪ সালে চতুর্থ নবাব মোহাম্মদ বাহাওয়াল খান আব্বাসি,[৭]যিনি মূলত বাহাওয়ালপুর রাজ্যের উপরে রাজত্ব করেছিলেন রোজানওয়ালি পরিদর্শনে গেলে লোকেরা জিজ্ঞাসা করেছিল যে তারা তার অনুমতি নিয়ে নবাবের নামে এই শহরের নাম বদলে দিতে চায়, নবাব তাদের আনন্দের সাথে অনুমতি দিয়েছিলেন এবং তখন থেকেই শহরটির নাম বাহাওয়ালনগর। রেলওয়ের আবির্ভাবের সাথে সাথে বিদ্যমান রেলবাজারে ১০০ টি আবাসনের ইউনিট জনসংখ্যার সাথে ৪০-৫০ টি দোকান গড়ে উঠেছে। যদিও এই জায়গাটির টপোগ্রাফিক্যাল বৈশিষ্ট্য উন্নতির অনুকূলে ছিল না এবং পানীয় জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুপযোগী ছিল। খাল ব্যবস্থা প্রবর্তনের সাথে সাথে এটি উর্বর অঞ্চল হয়ে উঠেছে। আসল প্রাপ্তি ছিল ফোর্ডওয়াহ খাল যা প্রায় পুরো জেলাকে সেচ ব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আসে। এই শহরটি রেলস্টেশনের দক্ষিণে কলোনী শহর হিসাবে উন্নত হয়েছিল।[৫]
১৯০০-১৯০১সালে, প্রথম থানা পুলিশ স্থাপন করা হয়েছিল এবং ১৯০২-১৯০০৩ সালে প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯০৬ সালে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে একটি পঞ্চায়েত কমিটি গঠিত হয়েছিল। ১৯১৪ তেহসিল হিসাবে সুপারিশ করা হয় এবং পুলিশ থানা জাভেকা বাহাওয়ালনগরে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯২২ সালে অনেক সদস্যসহ একটি নিয়মিত পৌর কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সহকারী কমিশনার এবং তেহসিলদারকে যথাক্রমে মীর মজলিস এবং নায়েব মীর মজলিস পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। [৫]
বাহাওয়ালনগরের সাক্ষরতার হার ২৫% এরও কম এবং বেকারত্বের হার ২৫% এর চেয়ে অনেক বেশি।[৮]যেহেতু এই শহরের সাক্ষরতার হার যথেষ্ট নয় তবে সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলো সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য তাদের পরিষেবা দিচ্ছেন। ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-ক্যাম্পাস[৯] বাহাওয়ালনগরেও অবস্থিত।
হায়দার স্টেডিয়ামটি বাহাওয়ালনগর শহরের পাশাপাশি বাহাওয়ালনগর জেলারও বৃহত্তম স্টেডিয়াম।[১০] বাহাওয়ালনগর জিমনেশিয়াম ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জুন ২০২১ তারিখেও টেনিস কোর্ট এবং একটি সুন্দর জিম প্রতিষ্ঠিত যেখানে নাগরিকরা খুব সহজেই সদস্যপদ পেতে পারেন।
বাহাওয়ালনগর এমসির জনসংখ্যা, ২০১৭ সালে পাকিস্তানের আদমশুমারি অনুযায়ী, পাকিস্তানের পাঞ্জাবের জনসংখ্যা ২,৯৮১, ৯৯৯ জন ছিল।
বাহাওয়ালনগর বাহাওয়ালনগর জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র, এটি জেলার পাঁচটি তেহসিল বা মহকুমার মধ্যে একটি, তেহসিলটি ৩১ টি ইউনিয়ন পরিষদে বিভক্ত।
বাহাওয়ালনগরে খুব গরম এবং সামান্য শীতের সাথে একটি আধা-শুষ্ক জলবায়ু (কপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস BWh) রয়েছে। বৃষ্টিপাত অধিকাংশই জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে পড়ে, যদিও কিছু বৃষ্টিপাত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পড়ে। বছরের পর বছর ধরে, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন বাহাওয়ালনগরের পাশাপাশি পৃথিবীর অন্য যে কোনও জায়গায় প্রভাব ফেলেছে এবং ওয়েদারবেজ ও এনওএএ (NOAA)-এর তুলনামূলক নীচের চার্টগুলি ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বৃষ্টিপাত এবং নিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য দেখায়। বর্ষায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং বন্যার কারণ হতে পারে। পশ্চিমমুখী বায়ু নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত ও শিলাবৃষ্টি করতে পারে। টর্নেডো খুব বিরল।
বাহাওয়ালনগর, পাকিস্তান-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২০ (৬৮) |
২৩ (৭৩) |
২৯ (৮৪) |
৩৬ (৯৬) |
৪০ (১০৪) |
৪১ (১০৫) |
৩৮ (১০০) |
৩৭ (৯৮) |
৩৬ (৯৬) |
৩৪ (৯৩) |
২৮ (৮২) |
২২ (৭১) |
৩২ (৮৯) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ৪ (৩৯) |
৭ (৪৪) |
১১ (৫৫) |
১৭ (৬৬) |
২২ (৭৩) |
২৬.৯ (৮২) |
২৭ (৮০) |
২৭ (৮০) |
২৪ (৭৫) |
১৭ (৬২) |
১১ (৫১) |
৬ (৪২) |
১৭ (৬২) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১৮ (০.৭) |
৮ (০.৩) |
২১ (০.৮) |
৩ (০.১) |
৮ (০.৩) |
১৯ (০.৮) |
৯২ (৩.৬) |
৭৫ (২.৯) |
৩৫ (১.৪) |
— | ৫ (০.২) |
১ (০.০) |
২৮.৫ (১১.১) |
উৎস: Weatherbase 2015[১১] |
বাহাওয়ালনগর-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ২৯.৩ (৮৪.৭) |
৩৫.৬ (৯৬.১) |
৩৯.৪ (১০২.৯) |
৪৫.৬ (১১৪.১) |
৪৮.০ (১১৮.৪) |
৫০.১ (১২২.২) |
৪৬.০ (১১৪.৮) |
৪২.৪ (১০৮.৩) |
৪২.০ (১০৭.৬) |
৪০.০ (১০৪.০) |
৩৭.০ (৯৮.৬) |
২৯.৬ (৮৫.৩) |
৫০.১ (১২২.২) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ১৮.৬ (৬৫.৫) |
১৯.৭৬ (৬৭.৫৭) |
২৬.৩ (৭৯.৩) |
৩৩.৯ (৯৩.০) |
৩৮.৮ (১০১.৮) |
৪০.৭ (১০৫.৩) |
৩৬.৩ (৯৭.৩) |
৩৫.৪ (৯৫.৭) |
৩৫.৫ (৯৫.৯) |
৩৩.২ (৯১.৮) |
২৫.৬ (৭৮.১) |
২০.৫ (৬৮.৯) |
৩০.৩৮ (৮৬.৬৮) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | ১৩.৩ (৫৫.৯) |
১৫.৭ (৬০.৩) |
২১.০ (৬৯.৮) |
২৮.০ (৮২.৪) |
৩২.৮ (৯১.০) |
৩৫.১ (৯৫.২) |
৩৩.১ (৯১.৬) |
৩২.৪ (৯০.৩) |
৩০.৬ (৮৭.১) |
২৬.৪ (৭৯.৫) |
২০.৬ (৬৯.১) |
১৫.০ (৫৯.০) |
২৫.৩ (৭৭.৬) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ৩.৮ (৩৮.৮) |
৫.৪ (৪১.৭) |
৯.৫ (৪৯.১) |
১৭.০ (৬২.৬) |
২২.৭ (৭২.৯) |
২৬.২ (৭৯.২) |
২৬.৭ (৮০.১) |
২৬.৪ (৭৯.৫) |
২২.৭ (৭২.৯) |
১৬ (৬১) |
৯.৬ (৪৯.৩) |
৬.৬ (৪৩.৯) |
১৬.১ (৬০.৯) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ০.০ (৩২.০) |
−১.০ (৩০.২) |
৩.৯ (৩৯.০) |
১২.৬ (৫৪.৭) |
১৪.৪ (৫৭.৯) |
১৮.৩ (৬৪.৯) |
১৬.১ (৬১.০) |
২১.৪ (৭০.৫) |
১৩.১ (৫৫.৬) |
১১.০ (৫১.৮) |
৪.০ (৩৯.২) |
১.৭ (৩৫.১) |
−১.০ (৩০.২) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১৪.৫ (০.৫৭) |
২৬.৫ (১.০৪) |
৬০.২ (২.৩৭) |
৪৫.২ (১.৭৮) |
৪.৮ (০.১৯) |
৪৫.৩ (১.৭৮) |
২০২.২ (৭.৯৬) |
১৩০.৯ (৫.১৫) |
৫৯.৫ (২.৩৪) |
১.০ (০.০৪) |
৪.৩ (০.১৭) |
৫.০ (০.২০) |
৫৯৯.৪ (২৩.৫৯) |
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় | ২২২.৪ | ২১৮.৯ | ২৫০.৮ | ২৭৪.৩ | ২৬৯.১ | ২১৩.৯ | ২১৮.৩ | ২৫৬.৬ | ২৭৯.৩ | ২৮৪.০ | ২৬০.৮ | ২২৩.৫ | ২,৯৭১.৯ |
উৎস: NOAA (1971–1990)[১২] |