বাহাওয়ালপুর গির্জায় গোলাগুলি | |
---|---|
পাকিস্তানের ধর্মীয় বৈষম্যের অংশ | |
স্থান | সেইন্ট ডমিনিক গির্জা, বাহাওয়ালপুর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান |
স্থানাংক | ২৯°২৩′২৩.৯২″ উত্তর ৭১°৩৯′৪৪.৩″ পূর্ব / ২৯.৩৮৯৯৭৭৮° উত্তর ৭১.৬৬২৩০৬° পূর্ব |
তারিখ | ২৮ অক্টোবর ২০০১ |
লক্ষ্য | খ্রিস্টান |
হামলার ধরন | ব্যাপক গোলাগুলি |
ব্যবহৃত অস্ত্র | একে-৪৭ |
নিহত | ১৮ |
ভুক্তভোগী | খ্রিস্টান এবং গির্জার প্রহরী |
অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা | ৬ |
কারণ | আফগানিস্তান আক্রমণের প্রতিশোধ |
বাহাওয়ালপুর গির্জায় বন্দুকধারীর গোলাগুলির ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল ২৮ অক্টোবর ২০০১ সালে। সেদিন ছয়জন লস্করে ঝংভির ছয়জন হামলাকারী পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরের সেন্ট ডমিনিকস গির্জায় আক্রমণ করে। গির্জার প্রহরী এবং ১৭ জন খ্রিস্টান নিহত হয়।
পাকিস্তানে চরমপন্থীরা অমুসলিমদের টার্গেট করে। যেহেতু ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসনের সময় পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করেছিল, তাই সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানি সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে খ্রিস্টানদের লক্ষ্যবস্তু বানায়।[১]
তিনটি মোটরসাইকেলে থাকা ছয়জন মুখোশধারী বন্দুকধারী তাদের একে-৪৭ রাইফেল বের করে যা তারা তাদের ব্যাগে লুকিয়ে রেখেছিল এবং গুলি শুরু করে। এ সময় গির্জার ভেতরে প্রায় ১০০ জন লোক ছিল। তারা প্রথমে গির্জার প্রহরীকে গেটে হত্যা করে তারপর গির্জায় ঢুকে উপাসকদের ওপর গুলি চালাতে থাকে।[২] শুটিংয়ের সময় তারা স্লোগান দিচ্ছিল, "আফগানিস্তান ও পাকিস্তান, খ্রিস্টানদের কবরস্থান" এবং "আল্লাহু আকবর" (ঈশ্বর মহান) স্লোগান দিচ্ছিল। তারা ০৮:৫২ থেকে ০৮:৫৫ (পাকিস্তানের স্থানীয় সময়ে) পর্যন্ত ৩ মিনিটের জন্য গুলি চালায়।[৩] হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছে।[২]
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফ হামলার জন্য প্রশিক্ষিত চরমপন্থীদের অভিযুক্ত করে বলেছেন যে তিনি খ্রিস্টানদের হত্যার জন্য দুঃখিত।[২]
হামলার দুই দিন পর, পুলিশ একটি ক্র্যাকডাউন শুরু করে এবং ২২জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে।[৪] ২৮ জুলাই ২০০২-এ, লস্করে ঝংভির ৪ জন সন্দেহভাজন যারা অপরাধ করেছে বলে স্বীকার করেছে, একটি অতর্কিত হামলায় নিহত হয়েছিল।[৫]