বাহার বানু বেগম | |
---|---|
জন্ম | ১৪ সেপ্টেম্বর ১৫৯০ যোধপুর, মুঘল সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ৮ সেপ্টেম্বর ১৬৫৩ আকবরাবাদ (বর্তমান আগ্রা), মুঘল সাম্রাজ্য | (বয়স ৬২)
সমাধি | মরিউম-উজ-জামানের সমাধিসৌধ |
দাম্পত্য সঙ্গী | তাহমুরাস মির্জা |
রাজবংশ | তিমুরিস |
পিতা | জাহাঙ্গীর |
মাতা | করমসি |
বাহার বানু বেগম (১৫৯০-১৬৫৩) হলেন একজন মুঘল রাজকুমারী, যিনি ছিলেন জাহাঙ্গীরের কন্যা।[১]
বাহার বানু বেগম ১৫৯০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জন্মেছিলেন তার দাদা আকবরের শাসনামলে। তার মা ছিলেন রাঠোর রাজপরিবারের কেশব দাসের কন্যা করমসি।[২] তার জন্মের দিনে মারোয়ারের উদয় সিং এর মেয়ে জগৎ গোসেন বেগম সুলতান বেগম নামের এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।[৩]
১৬২৫ সালে তাহমুরাস মির্জা মুঘল শক্তির নিকট আনুগত্য স্বীকার করেন। এর আগে তার ভাই হুশাং মির্জাও মুঘল শক্তির বশ্যতা শিকার করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীর তাহমুরাস মির্জার সাথে বাহার বানু বেগমের এবং তার ছেলে খসরু মির্জার মেয়ে হোশমান্দ বানু বেগমের সাথে হুশাং মির্জার বিয়ে দেন।[৪]
বাহার বানু বেগমের বাবা জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর শাহজাহান সিংহাসনে বসলে তার বিরোধিতাকারী শাহরিয়ার, বাহার বানু বেগমের স্বামী তাহমুরাস মির্জা, হোশমান্দ বানু বেগমের স্বামী হুশাং মির্জা ও খসরু মির্জার ছেলে দাওয়াত বকশ এবং গারশাস্প মির্জাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।[৫][৬]
বাহার বানু বেগম আগ্রাতে ১৬৫৩ সালে ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তাকে মারিয়াম-উজ-জামানির সমাধিসৌধে সমাহিত করা হয়।[৭][৮]