বাহুন | |
---|---|
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
Nepal | ৩,২২৬,৯০৩ জন, নেপালের ১২.২% (২০১১)[১] |
ভাষা | |
নেপালি (খাস-কুড়া), সংস্কৃত, দোতেলি | |
ধর্ম | |
হিন্দু ধর্ম ৯৯.৫৬% (২০১১) |
হিন্দুধর্ম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
বাহুন ( নেপালি: बाहुन) বা খাস ব্রাহ্মণ ( নেপালি: खस ब्राह्मण) হলো খাস জাতিগোষ্ঠীর একটি বর্ণ যার উৎস হল আদি নেপালের ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠী।[২] ২০১১ সালের নেপালের জনশুমারি অনুসারে নেপালে ছেত্রির পরে বাহুন হল দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল গোষ্ঠী।[৩]
১৮৫৪ মুলুকি আইন (নেপালি আইনি কোড) অনুসারে, বাহুনরা তাগাধারি এবং দ্বিজা হিন্দুদের মধ্যবর্তী বর্ণ হিসাবে বিবেচিত হত।[৪]
ঐতিহ্যগতভাবে বাহুনরা ছেত্রির সাথে খাস (খাস ক্ষত্রিয়) সম্প্রদায়ের সদস্য ছিল।[২] সম্ভবত খাস মল্ল রাজ্যের রাজনৈতিক শক্তির কারণে খাস বাহুন এবং খাস রাজপুতরা (ছেত্রি) বর্তমান পশ্চিম নেপালের আদিবাসী সাধারণ ব্রাহ্মণ ও রাজপুত হিসাবে সামাজিক উচ্চমর্যাদা পেয়েছিল।[২] ছেত্রির সাথে একত্রে উচ্চ শ্রেণির খাস গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত বাহুনদের বেশিরভাগই গোর্খা রাজ্যের সাথে যুক্ত ছিল।[৫] কমি, সরকি ইত্যাদি নিম্নবর্ণের তুলনায় বাহুনকে (ছেত্রি বর্ণ সহ)বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাসের উপজাতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[৫][৬]
২০১১ সালের নেপালের জনশুমারি অনুসারে, নেপালের মোট জনসংখ্যার ১২.২ শতাংশ ব্যক্তি ছেত্রি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, সংখ্যার হিসেবে যা ৩২,২৬,৯০৩ জন।[৭] সংখ্যাগরিষ্ঠ ছেত্রির পরে দ্বিতীয় জনবহুল হিন্দু গোষ্ঠী হল বাহুন (পাহাড়ি ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত)[৭] যার জনসংখ্যা ৩২,১২,৭০৪। [৭] নেপালের ১৫ টি জেলাতে বাহুনরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, জেলাগুলো হল- ঝাপা, মোরং, কাঠমান্ডু (২৩.৫%), চিতবন, নবলপরাসী, রূপন্দেহী, কাস্কী (২৭.৮%), স্যাংজা (৩০.৯%), পর্বত (৩৫.৭%), গুল্মী (২৫.২%) এবং অর্ঘাখাঁচী (৩২.৮%)।[৭]