বিক্রম রাঠোর

বিক্রম রাঠোর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
বিক্রম কুমার রাঠোর
জন্ম২৬ মার্চ, ১৯৬৯
জলন্ধর, পাঞ্জাব প্রদেশ, ভারত
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, উইকেট-রক্ষক, কোচ, প্রশাসক
সম্পর্কআশীষ কাপুর (বোন জামাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২০৫)
৬ জুন ১৯৯৬ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৬ জানুয়ারি ১৯৯৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯৬)
১৫ এপ্রিল ১৯৯৬ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ বনাম জিম্বাবুয়ে
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ১৩১ ১৯৩
ব্যাটিং গড় ১৩.০৯ ২৭.৫৭
১০০/৫০ -/- -/২
সর্বোচ্চ রান ৪৪ ৫৪
বল করেছে - -
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২২/- ৪/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিক্রম রাঠোর (উচ্চারণ; মারাঠি: विक्रम राठोड; জন্ম: ২৬ মার্চ, ১৯৬৯) পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তিনি ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।[]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে হিমাচলপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও ওড়িষ্যা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ২০০২-০৩ মৌসুম পর্যন্ত বিক্রম রাঠোরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে তাকে কখনো স্বাভাবিক খেলা উপহার দিতে দেখা যায়নি। কিন্তু, খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে বেশ প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি। নব্বুইয়ের দশকের শুরু থেকে পাঞ্জাবের ব্যাটিং তার উপর নির্ভর করতো।

ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন তিনি। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের ভূমিকা পালন করতেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে রানের সন্ধান পেয়েছেন। ১৪৬ খেলায় অংশ নিয়ে ৪৯.৬৬ গড়ে ১১৪৭৩ রান তুলেছেন। তবে, লিস্ট এ ক্রিকেটে তার খেলার মান সাধারণ পর্যায়ের ছিল। ৯৯ খেলায় ৩০০০-এর অধিক রান তুলতে সক্ষম হন।

রঞ্জি ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপ ১৯৯৫-৯৬ এ পাঞ্জাবের হয়ে মাত্র ২ টি ম্যাচ খেলেন। একটি বীরেন্দ্র শর্মার (যিনি বর্তমানে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার) হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে , অপরটি অতুল বাসন-বিজয় দহিয়ার দিল্লির বিরুদ্ধে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র টেস্ট ও সাতটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন বিক্রম রাঠোর।

১৯৯৬ পেপসি শারজা কাপে ৪র্থ লিগ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে। ১২ বলে মাত্র ২ রান করে ওয়াকার ইউনিস এর বলে আউট হয়ে যান। পরবর্তী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫০ রানের একটি ইনিংস খেলেন।

৬ জুন, ১৯৯৬ তারিখে বার্মিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৬ জানুয়ারি, ১৯৯৭ তারিখে জোহেন্সবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ঐ সফরে ৫৮.৩৮ গড়ে ৭৫৯ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ১৬৫ রানের ইনিংস খেলেন। পাশাপাশি ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের তৃতীয় ওডিআইয়ে অর্ধ-শতরান করেছিলেন। কিন্তু, টেস্টগুলোয় ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখেন। চার ইনিংসের মধ্যে সর্বোচ্চ করেন মাত্র ২০। তার ব্যাটিংয়ে ত্রুটি থাকায় আউট সুইঙ্গার বলগুলো ব্যাটের প্রান্ত স্পর্শ করে স্লিপ অঞ্চলে ক্যাচে পরিণত হয়।

এরপর, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ আসে তার। এবারও তিনি ভাগ্যের কমই সহায়তা পেয়েছিলেন। নিজ দেশে দক্ষিণ আফ্রিকানদের মুখোমুখি হবার সুযোগ পাননি। কিন্তু, ফিরতি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। ইংল্যান্ড সফরের খেলার ধরনের পুণরাবৃত্তি এখানেও ঘটান। দুইটি প্রাদেশিক খেলায় তিনটি অর্ধ-শতরান ও একটি শতরান করেন। তবে, ওয়ান্ডারার্সে কার্যকর ৪৪ রান তুলে উদ্বোধনী জুটিতে ৯০ রান তুলেন। এটিই এ সফরে সফরকারী দলের সর্বোচ্চ ছিল।

নভেম্বর, ২০০৩ তারিখে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন বিক্রম রাঠোর।[] সবমিলিয়ে ছয় টেস্ট খেলার সুযোগ পান। ১০ ইনিংসে রান সংগ্রহ করেন মাত্র ১৩১। ওয়ান্ডারার্সে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৪ রান তুলেন। কোচ বিষেন সিং বেদী’র দিক-নির্দেশনায় রঞ্জী ট্রফি জয়ী দলের সদস্য ছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পরও ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলেন। তবে, আর তাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলতে দেখা যায়নি। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর সাত বছর ইংল্যান্ডে বসবাস করেন। এরপর, পাঞ্জাবের কোচ হিসেবে দেশে ফিরে আসেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২ তারিখে তাকে ভারতের জাতীয় দল নির্বাচক হিসেবে উত্তর অঞ্চলের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[] সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সালে তাকে ভারতের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেয়া দেয়।[].

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. https://economictimes.indiatimes.com/magazines/panache/meet-vikram-rathour-indias-new-batting-coach-who-boasted-of-an-impressive-form-during-the-90s/articleshow/70814852.cms?from=mdr
  2. "Vikram Rathour retires"The Hindu। নভেম্বর ৫, ২০০৩। এপ্রিল ২২, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-১৬ 
  3. "Patil is Chief Selector, Amarnath exits"। Wisden India। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২। ৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  4. "Vikram Rathour tipped to be India's new batting coach"gulfnews.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৬ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]