ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বিক্রম সিং সোলাঙ্কি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | উদয়পুর, রাজস্থান, ভারত | ১ এপ্রিল ১৯৭৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ভিক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৫৬) | ২৩ জানুয়ারি ২০০০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১ জুলাই ২০০৬ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৩৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৮) | ১৩ জুন ২০০৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৫ - ২০১২ | ওরচেস্টারশায়ার (জার্সি নং ৩) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬ - ২০০৭ | রাজস্থান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ - ২০১৫ | সারে (জার্সি নং ৪২) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ আগস্ট ২০১৭ |
বিক্রম সিং সোলাঙ্কি (হিন্দি: विक्रम सोलंकी; জন্ম: ১ এপ্রিল, ১৯৭৬) রাজস্থানের উদয়পুরে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১০-এর মাঝামাঝি সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছেন ‘ভিক’ ডাকনামে পরিচিত বিক্রম সোলাঙ্কি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। দলের প্রয়োজনে ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন তিনি।
ভারতের রাজস্থানের উদয়পুর এলাকায় সোলাঙ্কি’র জন্ম।[১] কিন্তু আট বছর বয়সে পরিবারের সাথে ওলভারহাম্পটন এলাকায় স্থানান্তরিত হন। কিশোর ও জ্যেষ্ঠদের ওলভারহাম্পটন ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। ১৯৯৫ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার জন্য ওরচেস্টারশায়ার ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। এর পূর্বেই অবশ্য কাউন্টি দলটির পক্ষে একদিনের ক্রিকেটে দুই মৌসুম খেলেন। ১৯৯৬ সালে এনবিসি ডেনিস কম্পটন পুরস্কার লাভ করেন।[২] ওরচেস্টারশায়ারে মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। কিন্তু দলে তেমন স্পিনার না থাকায় তাকেও অফ ব্রেক বোলিংয়ের দিকে অগ্রসর হতে হয়। এর পূর্বেকার মৌসুমে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে সফর করেন। মাঝে-মধ্যে বোলার হিসেবে মাঠে নামলেও সোলাঙ্কি খেলায় দশ উইকেট পেয়েছেন। ১৯৯৬ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে উভয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট লাভ করেন তিনি।[৩] ১৯৯৯ সালে ৪০ ঊর্ধ্ব ব্যাটিং গড়ে রান তোলেন। ২০০০, ২০০২, ২০০৪ ও ২০০৬ সালে এ সাফল্যের পুণরাবৃত্তি ঘটান। তন্মধ্যে, ২০০০ সালের পর ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো ১,২৫২ রান তুলে শীর্ষস্থানে ছিলেন সোলাঙ্কি। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী লাভের পর আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
শুরুতে ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন। ২২ জুন, ১৯৯৫ তারিখে সাউদাম্পটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ঐ অভিষেক খেলায় প্রতিপক্ষ ছিল হ্যাম্পশায়ার। ১৬ মে, ১৯৯৭ তারিখে অক্সফোর্ডের দ্য পার্কসে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অপরাজিত ১২৮* রান করেন। পরবর্তীতে ১৭ বছর ঐ দলে খেলার পর সারে দলের পক্ষে অংশ নেন তিনি। ২০০৭ সালে ওরচেস্টারশায়ারের সদস্য থাকাবস্থায় ২৪তম খেলোয়াড় হিসেবে ১০,০০০ রানের কোটা অতিক্রমণ করেন তিনি।[৪] ১ আগস্ট, ২০০৮ তারিখে চেল্টেনহামে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ২৭০ রান তুলেন। ২৪ জুন, ২০০৯ তারিখে ওরচেস্টারের নিউ রোডে অনুষ্ঠিত খেলায় গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে প্রথম টি২০ সেঞ্চুরি করেন। এছাড়াও, ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দলে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।[৫]
১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরে এ দলের পক্ষে যান। এরপর ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড সফর করেন তিনি। শেষদিকে সফরগুলোয় বেশ ভালো করায় একই মৌসুমের শীতকালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে ক্রিস রিড ও গ্রেম সোয়ানের সাথে তারও একযোগে অভিষেক হয়। ২৩ জানুয়ারি, ২০০০ তারিখে ব্লুমফন্তেইনের গুডইয়ার পার্কে অনুষ্ঠিত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় খেলায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অবশ্য তাকে ব্যাট কিংবা বল - কোনটিতেই অংশ নিতে হয়নি। ঐ খেলায় ৬৩ বল বাকী থাকতেই ইংল্যান্ড ৯ উইকেটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল।
এ দলে ভালো করলেও বড়দের দলে তিনি তার সাফল্যের পুণরাবৃত্তি ঘটাতে পারেননি। আট ইনিংসে তিনি মাত্র ৯৬ রান তুলেন। এরফলে পরবর্তী তিন বছরেরও অধিক সময় দলের বাইরে অবস্থান করতে হয় তাকে।
২০০৯ মৌসুমের প্রথমার্ধে চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্যের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্য ইংল্যান্ড লায়ন্সের সদস্য হন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৫১টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেন। কিন্তু টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেনি তার। খুব কমই দলের সাফল্যে যুক্ত করতে পেরেছেন নিজেকে। ২০-এর মাঝামাঝি ব্যাটিং গড় ছিল তার। তিনি মোট দুইটি শতরানের সন্ধান পেয়েছেন। ২৮ জুন, ২০০৩ তারিখে ওভালে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৮ বলে প্রথম সেঞ্চুরি সহযোগে ১০৬ রান তুলেন।[৬] তন্মধ্যে, মার্কাস ট্রেসকোথিকের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধন করে ২০০ রান তুলেন যা ইংরেজ রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত।[৭] এরপর ২০০৪-০৫ মৌসুমে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৩ বলে ঠিক ১০০ রান করেন।[৮]
ডিসেম্বর, ২০০৫ সালে পাকিস্তান সফরে পাঁচ ওডিআই সিরিজের চারটিতে অংশগ্রহণ ছিল তার। ঐ সফরের চূড়ান্ত খেলায় সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন। এতে ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয় পেয়েছিল। কিন্তু, ভারতে পরবর্তী সফরে তাকে দলে রাখা হয়নি। পরিবর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজে এ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়।
১ জুলাই, ২০০৬ তারিখে হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেন। ১৫২ রানে থাকা শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সনাথ জয়াসুরিয়াকে আউট করে ওডিআইয়ে প্রথম উইকেট তুলে নেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে জয়াসুরিয়া ও উপুল থারাঙ্গা (১০৯) ২৮৬ রানের জুটি করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন।[৯] ফলশ্রুতিতে মাত্র ৩৭.৩ ওভারে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ৩২৪/২ তুলে ৮ উইকেটের জয় পায় শ্রীলঙ্কা দল।
২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইতিহাস গড়েন। সাইমন জোন্সের পরিবর্তে খেলতে নেমে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের ব্যাটিংস্তম্ভ ৯৩/৬ ভেঙ্গে পড়লে ৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।[১০] ২০০৭ সালের টুয়েন্টি২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে আঘাতপ্রাপ্ত ম্যাট প্রায়রের পরিবর্তে দুই খেলায় অংশ নেন। উভয় খেলাতেই তিনি উইকেট রক্ষণ ছাড়াও ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। প্রথম খেলায় দুই ক্যাচ নেন এবং কোন বাই রান দেননি। এছাড়াও, ২৪ ও ৪৩ রান তুলেন। এ খেলাগুলোতেই সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।[১১]
ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে থাকাকালীন মাঝে-মধ্যে অফ স্পিন বোলিং করতেন। তবে, ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলাকালীন খুব কমই বল করতে দেখা গেছে। ২০০৫ সালে স্টিভ রোডসের অবসর নেয়ার কারণে কাউন্টি দলের অধিনায়ক মনোনীত হন। সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সালে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কাউন্টি দলের পক্ষে খেলেন। ১২ আগস্ট, ২০১০ তারিখে গ্ল্যামারগনের কাছে পরাজিত হবার পর তিনি অধিনায়কের পদ থেকে অব্যহতি নেন। এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যে, এখন সময় এসেছে অন্য কারও এ দায়িত্ব নেয়ার।[১২]
জুলাই, ২০১২ সালে ঘোষিত হয় যে, সোলাঙ্কি সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া চুক্তির পর তিনি ওরচেস্টারশায়ার ত্যাগ করবেন ও দুই বছরের জন্য সারে দলে যোগ দিবেন।[১৩] তার পরিবর্তে মঈন আলী নতুন করে ৫ বছরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন।[১৪] ২০১৫ মৌসুম শেষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার কথা জানান। এ সময়ে তিনি কেবলমাত্র কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের একটি খেলায় অংশ নেন।[১৫]
২০০৬-০৭ মৌসুমের ভারতীয় রঞ্জী ট্রফিতে সতীর্থ কবির আলীকে নিয়ে রাজস্থানের পক্ষে খেলার প্রস্তাবনায় সম্মতি জানান। ২০০৭ সালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে যোগ দেন। আইসিএলের একমাত্র আসরে মুম্বই চ্যাম্পসের পক্ষে ছয়টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী স্টিভ রোডস |
ওরচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট অধিনায়ক ২০০৫ - ২০১০ |
উত্তরসূরী ড্যারিল মিচেল |
পূর্বসূরী ডগি ব্রাউন |
প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ২০০৯ - ২০১২ |
উত্তরসূরী মার্ক ওয়ালেস |