সাইটের প্রকার | লাইভ স্ট্রিমিং |
---|---|
মালিক | ফার্স্টআইডি (FIRSTID) |
ওয়েবসাইট | www |
অ্যালেক্সা অবস্থান | ১৩,২৬৫ (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১)[১] |
বাণিজ্যিক | হ্যাঁ |
নিবন্ধন | হ্যাঁ |
ব্যবহারকারী | ৪০০ মিলিয়ন |
চালুর তারিখ | মার্চ ২০১৬[২] |
বর্তমান অবস্থা | সক্রিয় |
বিগো লাইভ হলো সরাসরি ভিডিও স্ট্রিমিং বা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের একটি প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট।[৩] যেখানে ওয়েবসাইটটির ব্যবহারকারীরা সরাসরি তাদের ফলোয়ারদের সাথে ভিডিও স্ট্রিমিং করতে পারে। এটি মূলত সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি কোম্পানি, যাকে বিগো নামে ডাকা হয়।[৪]
এটি দর্শকদের তাদের প্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক বা সম্প্রচারকারীদের এপস গিফটের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে থাকে।[৫] এটি ২০১৬ সালের মার্চে সিঙ্গাপুর থেকে যাত্রা শুরু করে।[৬][৭] আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচারের[৮] মাধ্যমে বিগো তাদের ব্যবহারকারীদের লাইভ স্ট্রিমিং সেবা প্রদান করে থাকে।[৯]
বিগো লাইভ ২০১৬ সালে যাত্রার পর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।[১০] ২০১৬ সালে বিগো লাইভ থাইল্যান্ডে ১ নং এ অবস্থান করে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বিগো লাইভ মাসিক ২৬.৭ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীতে পৌঁছায়। ২০১৯ এর মার্চে ন্যাসড্যাকের তালিকাভুক্ত কোম্পানি জয় ইনক বিগো টেকনোলজিকে অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন করে।[১১] ২০১৯ এর নভেম্বরে এপসটির মাসিক বৈশ্বিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৫০ মিলিয়নে পৌঁছে।[১২] ২০২১ সালে বিগো লাইভ ১৫০টির বেশি দেশে তাদের নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০০ মিলিয়ন অতিক্রম করে।[১৩].
২০২০ সালের জুনে ভারত সরকার উপাত্ত উদ্ধৃতকরণ ও গোপনীয়তার কারণ দেখিয়ে ৫৮টি চীনা এপসের পাশাপাশি বিগো লাইভ এপসও ভারতে নিষিদ্ধ করে দেয়। তারা বলে যে, এসব দেশের জন্য নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের হুমকিস্বরূপ।[১৪] ২০২০ সালে ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এসব বন্ধ করে দেওয়া হয়।[১৫][১৬]
২০২০ সালে পাকিস্তান সরকার টিকটক ও ইউটিউবকে অনৈতিক ও অশ্লীল বিষয়বস্তু সম্প্রচার রোধে সতর্ক করে এবং বিগো এপসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পাকিস্তান টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বলছে যে দুটি প্ল্যাটফর্মের বিষয়বস্তুর বিশদ বিবরণ ছাড়াই “সাধারণ ও বিশেষত যুব সমাজের উপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে”।[১৭]পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।