ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বিজয় গুরুং | ||
জন্ম | [১] | ১১ অক্টোবর ১৯৮৫||
জন্ম স্থান | কাঠমান্ডু, নেপাল | ||
উচ্চতা | ১.৬৩ মিটার (৫ ফুট ৪ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | অবসরে | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৪ | এনআইবিএল ফ্রেন্ডস ক্লাব | ||
২০০৫-২০০৯ | থ্রি স্টার ক্লাব | ||
২০১০ | মনাং মর্স্যাংদী ক্লাব | ||
২০১১-২০১৩ | থ্রি স্টার ক্লাব | ||
জাতীয় দল | |||
২০০৫-২০১৩ | নেপাল | ৩৩ | (৩) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
বিজয় গুরুং (নেপালি: विजय गुरुङ) (জন্ম ১১ অক্টোবর ১৯৮৫) নেপাল এর একজন ফুটবল খেলোয়াড়। তার জন্মস্থান নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরে। তিনি খেলোয়াড়ি জীবনে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। অবসর গ্রহণের পূর্বে তিনি নেপাল জাতীয় ফুটবল দল এর হয়ে আন্তর্জাতিক এবং থ্রি স্টার ক্লাব দলের হয়ে ঘরোয়া ফুটবলে অংশগ্রহণ করতেন। এছাড়াও তিনি নেপালের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেপালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[২][৩][৪][৫] বিজয় গুরুং ছিলেন এনফা একাডেমি এর প্রথম ব্যাচ থেকে বের হওয়া জাতীয় দলের সর্বশেষ খেলোয়াড়। তাকে তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা প্রতিভাবান এবং দক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে গণনা করা হয়।[৬]
বিজয় ২০০৪ সালে সিনিয়র পর্যায়ে, তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন। সে বছর তিনি এনআইবিএল ফ্রেন্ডস ক্লাব দলে যোগ দেন। সেই দলের হয়ে তিনি ১ বছর খেলেন। ১ বছর পর ২০০৫ সালে তিনি যোগ দেন নেপালের ঘরোয়া লীগেরই আরেক দল থ্রি স্টার ক্লাব দলে। সেই দলের হয়ে তিনি ৪ বছর খেলেন। তিনি থ্রি স্টার দলের হয়ে অসংখ্য ট্রফি জেতেন এবং ২০০৯ সালে নেপালের সর্বোচ্চ লীগ, এ-ডিভিশন লীগের শিরোপা জেতেন। এরপর তিনি, ২০১০ সালে যোগ দেন মনাং মর্স্যাংদী ক্লাব দলে। মনাং মর্স্যাংদী দলের হয়ে তিনি এক মৌসুম খেলেন এবং এরপরেই ২০১১ সালে আবার নিজের পুরনো ক্লাব থ্রি স্টার ক্লাব দলে ফেরত আসেন। সেই বছরই তিনি, থ্রি স্টার ক্লাবকে ২য় বারের মত নেপালের এ-ডিভিশন লীগ জেতাতে সাহায্য করেন। ২০১৩ সালে অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি থ্রি স্টার ক্লাব দলেই খেলেন। যদিও শেষদিকে গিয়ে তিনি দলে তার নিয়মিত জায়গা হারিয়েছিলেন। [৭]
তিনি নেপাল জাতীয় দলের মাঝমাঠের নেতা ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত ২০০৩ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেন। সেই বছরই নেপাল প্রথমবারের মত প্রথম পর্ব অতিক্রম করে।
জাতীয় দলে তার জার্সি নম্বর ছিল ৭। ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, ২০০৫ সাফ গোল্ড কাপ টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নেপালের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার অভিষেক হয়। এরপে তিনি ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১১ সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করেন।[৮]
তার শেষ ম্যাচ ছিল ২০১৩ সালের ৬ মার্চ। নেপালে অনুষ্ঠিত এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাইপর্বের, ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি শেষবারের মত মাঠে নামেন।
২০১৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এর আগে, ৯ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত জাতীয় দলে জায়গা না পেয়ে তিনি ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। অবসরের কারণ হিসেবে তিনি হাঁটুর ইনজুরি এবং থ্রি স্টার ক্লাব দলে নিয়মিত জায়গা হারানোর কথা উল্লেখ করেন।
# | তারিখ | ভেন্যু | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফল | প্রতিযোগিতা |
---|---|---|---|---|---|---|
১. | ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ | পিপলস ফুটবল স্টেডিয়াম, করাচি | ভুটান | ২০০৫ সাফ গোল্ড কাপ | ||
২. | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ | এমবিপিজে স্টেডিয়াম, পেটালিং জয়া | আফগানিস্তান | ২০০৮ মারদেকা টুর্নামেন্ট | ||
৩. | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ | কোলকাতা | ভুটান | প্রীতি ম্যাচ |