বিজয় তেন্ডুলকর | |
---|---|
মারাঠি: विजय तेंडुलकर | |
জন্ম | বিজয় ধোন্ডোপন্ত তেন্ডুলকর ৬ জানুয়ারি ১৯২৮ |
মৃত্যু | ১৯ মে ২০০৮ | (বয়স ৮০)
পেশা | নাট্যকার, চিত্রনাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক |
সন্তান | ৩, প্রিয়া তেন্ডুলকর-সহ |
পরিবার | মঙ্গেশ তেন্ডুলকর (ভাই) |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
বিজয় ধোন্ডোপন্ত তেন্ডুলকর (মারাঠি: विजय धोंडोपंत तेंडुलकर; ৬ জানুয়ারি ১৯২৮ - ১৯ মে ২০০৮) একজন ভারতীয় নাট্যকার, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন লেখক, প্রাবন্ধিক, রাজনৈতিক সাংবাদিক এবং সামাজিক ভাষ্যকার। তিনি মূলত মারাঠি ভাষায় লিখতেন এবং তার মারাঠি নাটকসমূহ তাকে সমকালীন ও প্রথাবিরোধী বিষয়বস্তুর নাট্যকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।[১] তিনি শান্ততা! কোর্ট চালু আহে (১৯৬৭), ঘাশীরাম কোতওয়াল (১৯৭২) ও সখারাম বাইন্ডর (১৯৭২) নাটকের জন্য সুপরিচিত।
তিনি মন্থন (১৯৭৬) চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনার জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি আক্রোশ (১৯৮০) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনি ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং অর্ধ সত্য (১৯৮৩) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে আরেকটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতের তৃতীয় বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণে ভূষিত করে।[২]
বিজয় ১৯২৮ সালের ৬ই জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের গিরগাঁওয়ে গৌড় সরস্বাত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪] তার পিতা কেরানি ছিলেন এবং তার ছোট প্রকাশনা ব্যবসায় ছিল। তার ছোট ভাই মঙ্গেশ তেন্ডুলকর একজন কার্টুনিস্ট ছিলেন।
বাড়িতে সাহিত্যিক পরিবেশ তাকে অল্প বয়সেই লেখার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। তিনি ছয় বছর বয়সে প্রথম গল্প লিখেন। তিনি পশ্চিমা নাটক দেখে বেড়ে ওঠেন, যা তাকে নাটক লিখতে অনুপ্রাণিত করে। এগার বছর বয়সে তিনি তার প্রথম নাটক রচনা করেন এবং এর নির্দেশনা দেন ও এতে অভিনয় করেন।[৫]
১৪ বছর বয়সে তিনি পড়াশোনা বাদ দিয়ে ভারতীয় স্বাধীন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।[৬] যার ফলে তিনি পরিবার ও বন্ধু-বান্ধদের থেকে আলাদা হয়ে যান। লেখনীই তখন তার নিষ্ক্রমণের পথ হয়ে ওঠে, যদিও শুরুর দিকের তার বেশিরভাগ লেখনীই ছিল ব্যক্তিগত এবং প্রকাশের উদ্দেশ্যে নয়। এই সময়ে তিনি নবজীবন সংগঠনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হন। তিনি বলেন যে তিনি কমিউনিস্টদের ত্যাগ ও শৃঙ্খলার রীতি পছন্দ করতেন।[৭]
তেন্ডুলকরের স্ত্রী নির্মলা। তাদের পুত্র রাজা ও কন্যা প্রিয়া তেন্ডুলকর। তার স্ত্রী ও পুত্র ২০০১ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং কন্যা ২০০২ সালে দীর্ঘ দিন স্তন ক্যান্সারের সাথে লড়াই করার পর হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।[৮]
তেন্ডুলকর ২০০৮ সালের ১৯শে মে পুনেতে মৃত্যুবরণ করেন।[৯] মৃত্যুর পূর্বে তিনি বিরল অটোইমিউন রোগ মাইস্থেনিয়া গ্র্যাভিসে ভুগছিলেন।[১০]