ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বিজয় দহিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হালাপুর, সোনিপাত, হরিয়াণা, ভারত | ১১ মে ১৯৭৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৩২) | ১৮ নভেম্বর ২০০০ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৫ নভেম্বর ২০০০ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৩২) | ৩ অক্টোবর ২০০০ বনাম কেনিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৬ এপ্রিল ২০০১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩/৯৪–২০০৬ | দিল্লি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ অক্টোবর ২০২০ |
বিজয় দহিয়া (মারাঠি: विजय दहिया; জন্ম: ১০ মে, ১৯৭৩) দিল্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি। বর্তমানে তিনি দিল্লি দলের কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিজয় দহিয়া’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দর্শনীয় ক্রীড়াশৈলীর চেয়ে রক্ষণাত্মক ধাঁচের খেলা প্রদর্শনেই অধিক আগ্রহ ছিল তার। ষোলো মাসের ব্যবধানে ভারতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী পাঁচজন উইকেট-রক্ষককে মাঠে নামায়। তন্মধ্যে, তিনিও একজন ছিলেন। এছাড়াও, বোর্ড সভাপতি একাদশের সদস্যরূপে উইলস ট্রফির শিরোপা জয়ী দলের সদস্য ছিলেন।
ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও উইকেট-রক্ষক হিসেবে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে দিল্লি দলের সদস্যরূপে লুধিয়ানায় পাঞ্জাবের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এছাড়াও কিছুকাল দিল্লি দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে উত্তর অঞ্চল ক্রিকেট দলের সদস্যরূপে দিলীপ ও দেওধর ট্রফি লাভে সহায়তা করেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও উনিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন বিজয় দহিয়া। সবগুলো টেস্টই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১৮ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে দিল্লিতে সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৫ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে নাগপুরে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০০ সালের আইসিসি নক-আউট ট্রফিতে খেলার জন্যে তাকে ভারত দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অক্টোবর, ২০০০ সালে নাইরোবি জিমখানা মাঠে কেনিয়ার বিপক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ওডিআই অভিষেক ঘটে বিজয় দাহিয়া’র। ক্যাচ তালুবন্দী করার মাধ্যমে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। সবমিলিয়ে ১৯টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
২০০১ সালে ফতোর্দা স্টেডিয়ামে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ খেলেন। এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ওডিআইয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, ৩১৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন।
২০০০-০১ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে দল ভারত সফরে আসে। নভেম্বর, ২০০০ সালে ফিরোজ শাহ কোটলায় নিজ মাঠে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়। এরপর, তিনি আর একটিমাত্র খেলায় একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে খেলেন। ঐ খেলায় তিনি ৬ ক্যাচ তালুবন্দী করেন ও ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।[১]
ডিসেম্বর, ২০০৬ সালে উত্তরপ্রদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলা থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।[১] অবসর গ্রহণের পূর্বে রঞ্জী ট্রফিতে তামিলনাড়ুর বিপক্ষে ১০২ রানের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের নিজস্ব সর্বোচ্চ রান তুলেন। এ পর্যায়ে দিল্লি দল বেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি ছিল। তবে, উত্তরপ্রদেশের প্রবীণ কুমার তার দলকে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিরাট ভূমিকা রাখেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০০৯ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ঘরোয়া আসরে কলকাতাভিত্তিক কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।
২০০৭-০৮ মৌসুমে দিল্লি দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ঐ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফির শিরোপা জয় করে দলটি ও ১৬ বছরের বন্ধ্যাত্ব ঘোঁচায়। ২০১৩-১৪ মৌসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দায়িত্ব পালনকল্পে ঐ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। ২০০৯ সালে আইপিএলের বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচ মনোনীত হন।[২]
সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সালে দিল্লি দলের প্রধান কোচ মনোনীত হন। ২০১৪-১৫ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফিকে সামনে রেখে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।[৩] ডিসেম্বর, ২০১৯ সালে আইপিএলের বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দল দিল্লি ক্যাপিটালসে প্রতিভাধর খেলোয়াড় অন্বেষণের প্রধান হিসেবে মনোনীত হন।