ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বিজয় স্যামুয়েল হাজারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সাংলি, বোম্বে প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ১১ মার্চ ১৯১৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৮ ডিসেম্বর ২০০৪ বরোদা, গুজরাত, ভারত | (বয়স ৮৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম পেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৮) | ২২ জুন ১৯৪৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ মার্চ ১৯৫৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৪-১৯৪২ | মহারাষ্ট্র | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৩৫-১৯৩৯ | মধ্য ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪১-১৯৬১ | বরোদা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৭-১৯৫৮ | হোলকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ অক্টোবর ২০১৬ |
বিজয় স্যামুয়েল হাজারে (ⓘ; জন্ম: ১১ মার্চ, ১৯১৫ - মৃত্যু: ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৪) মহারাষ্ট্র রাজ্যে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি।
ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে ১৪ টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন। ভারতের টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তির প্রায় বিশ বছর পর ২৫তম টেস্টে দলের প্রথম বিজয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজয় হাজারে।
শিক্ষক পিতার আট সন্তানের অন্যতম হাজারে তৎকালীন বোম্বে প্রেসিডেন্সির সাংলি এলাকায় ১৯১৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
হাজারের টেস্ট রেকর্ড বেশ সমৃদ্ধ ছিল। ৩০ টেস্টে ৪৭.৬৫ গড়ে ৭ সেঞ্চুরি সহযোগে ২,১৯২ রান করেন। টেস্টে ২০ উইকেট লাভ করেছেন। তন্মধ্যে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান তিনবার তার শিকারে পরিণত হন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেডে ১১৬ ও ১৪৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
১৯৫১-৫২ মৌসুমে মাদ্রাজে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত দল ইনিংস ও ৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় যা তার অধিনায়কত্বে একমাত্র জয়। ঐদিনই রাজা ষষ্ঠ জর্জ মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণে তিনি সহজাত অধিনায়কের অধিকারী ছিলেন না। ফলশ্রুতিতে তার ব্যাটিং বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজয় মার্চেন্টের মতে, 'অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করায় হাজারে ভারতের সেরা ব্যাটসম্যান হতে পারেননি'।
প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন। অ্যাডিলেড ওভালের ঐ টেস্টে ১১৬ ও ১৪৫ রান তুললেও তার দল পরাজয়বরণ করেছিল।[১] অন্যদিকে, ১৯৫১-৫২ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কানপুরে অনুষ্ঠিত টেস্টের উভয় ইনিংসে জোড়া শূন্য লাভ করেন তিনি। এছাড়াও প্রথম ভারতীয় হিসেবে পরপর তিন টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবার অল্প কিছুদিন পর ভারতের টেস্ট দল নির্বাচক হন।
তার নামানুসারে ভারতের আঞ্চলিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বিজয় হাজারে ট্রফি নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। জসু প্যাটেলের সাথে তাকেও যৌথভাবে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করা হয়।[২]
দীর্ঘদিন ক্যান্সারজনিত রোগে আক্রান্ত থাকার পর ডিসেম্বর, ২০০৪ সালে বিজয় হাজারের দেহাবসান ঘটে।
পূর্বসূরী লালা অমরনাথ |
ভারত জাতীয় টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৫১/৫২-১৯৫২ |
উত্তরসূরী লালা অমরনাথ |
পূর্বসূরী লালা অমরনাথ |
ভারত জাতীয় টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৫২/৫৩ |
উত্তরসূরী বিনু মানকড় |