শ্রীমতী বিজয়া চক্রবর্তী | |
---|---|
![]() দাপ্তরিক প্রতিকৃতি, ২০১৫ | |
সংসদ সদস্য, লোকসভা | |
কাজের মেয়াদ ১৬ মে ২০০৯ – ২৩ মে ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | কিরিপ চলিহা |
উত্তরসূরী | কুইন ওজা |
কাজের মেয়াদ ১৩ মে ১৯৯৯ – ১৩ মে ২০০৪ | |
পূর্বসূরী | ভুবনেশ্বর কলিতা |
উত্তরসূরী | কিরিপ চলিহা |
নির্বাচনী এলাকা | গুয়াহাটি |
কেন্দ্রীয় জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, ভারত সরকার | |
কাজের মেয়াদ ১৩ মে ১৯৯৯ – ১৩ মে ২০০৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | অটল বিহারী বাজপেয়ী |
সংসদ সদস্য, রাজ্যসভা | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৯৯২ | |
নির্বাচনী এলাকা | আসাম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বালিগাঁও, যোরহাট, আসাম প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত | ৭ অক্টোবর ১৯৩৯
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | অসম গণপরিষদ |
দাম্পত্য সঙ্গী | Jiten Chakravarty (বি. ১৯৬৫) |
সন্তান | ২ (সুমন হরিপ্রিয়া সহ) |
বাসস্থান | গুয়াহাটি |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় (M.A), বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | Profile |
বিজয়া চক্রবর্তী (জন্ম ৭ অক্টোবর ১৯৩৯), ভারতীয় জনতা পার্টির একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ।[১] তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৯ এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত গৌহাটি থেকে লোকসভার সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি অসম গণ পরিষদের সদস্য হিসাবে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রথম সদস্যদের একজন। তিনি ২০২১ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন।[২][৩][৪]
বিজয়া তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন জনতা পার্টিতে। তিনি পরবর্তীকালে আঞ্চলিক আসাম গণ পরিষদে যোগদান করেন এবং ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় দায়িত্ব পালন করেন। রাজ্যসভায় তার কার্যকালের পরে, তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন।
তিনি ত্রয়োদশ লোকসভায় গুয়াহাটির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বিজেপির হয়ে এই আসনে জয়ী হন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রীত্বে তিনি কেন্দ্রীয় জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৪ সালে, বিজেপি তার জায়গায় গায়ক ভূপেন হাজারিকাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয়, যার ফলে বিজেপি দলীয় কর্মীদের ব্যাপক প্রতিবাদ হয়। নির্বাচনে হেরে যান হাজারিকা। বিজেপি তার ভুল বুঝতে পেরে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজয়াকে গৌহাটি আসন থেকে পুনরায় মনোনয়ন দেয়। ফলস্বরূপ তিনি আবার বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আসনটি জিতেছিলেন।
চক্রবর্তী আসামের যোরহাট জেলার বালিগাঁও গ্রামে ১৯৩৯ সালের ৭ অক্টোবর বি কে ঠাকুর এবং মুখ্যদা ঠাকুরের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[১] ইংরেজি ভাষায় স্নাতকোত্তর, তিনি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার শিক্ষা লাভ করেন।[১] তিনি ১ জুন ১৯৬৫ সালে জিতেন চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন, যার সাথে তার একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে।[১] তার মেয়ে সুমন হরিপ্রিয়া ২০১৬ সালে আসাম বিধানসভা নির্বাচনে হাজো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৫][৬]
তার ছেলে রণজিৎ চক্রবর্তী ২০১৭ সালের মে মাসে ৪৯ বছর বয়সে মারা যান।[৭]