বিজাবর রাজ্য बिजावर | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৭৬৫–১৯৫০ | |||||||
![]() ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত বিজাবর রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• 1901 | ২,৫২০ বর্গকিলোমিটার (৯৭০ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• 1901 | 110,500 | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৭৬৫ | ||||||
১৯৫০ | |||||||
| |||||||
![]() |
বিজাবর রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ভারতে এটি মধ্য ভারত এজেন্সির বুন্দেলখণ্ড এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ছিলো।[১] রাজ্যটির রাজধানী বিজাবর নগর পঞ্চায়েতটি বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে ছত্তরপুর জেলায় অবস্থিত।
বিজাবর মধ্য ভারতের প্রায় ২৫২০ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত ছিল। রাজ্যটির সমগ্র ভূমি পরিমাপের সিংহভাগ ক্ষেত্রফলই জঙ্গল আচ্ছাদিত ছিল, যা ছিল খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত থাকার কারণে রাজ্যটির সার্বিক উন্নয়নের উৎস বাধাপ্রাপ্ত হয়।
রাজ্যটির নাম এসেছে এটির রাজধানী বিজাবর শহরের নাম থেকে৷ গড় মণ্ডলার রাজগোণ্ড বংশের রাজা বিজয় সিংহ এই শহরটির পত্তন ঘটিয়েছিলেন৷ শহরটি খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে স্থাপিত হয়৷ তবে পৃথক বিজাবর রাজ্যের প্রথম শাসক ছিলেন রাজা বীর সিংহ দেব৷ তিনি ১৭৬৫ থেকে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন৷ অষ্টাদশ শতাব্দীতে পান্না রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রাজা ছত্রশাল এই রাজ্যটি দখল করেন৷ এরপর থেকে রাজার বংশধররাই এই রাজ্যটির প্রশাসনিক ভূমিকা পালন করে আসছেন৷ [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৮১১ খ্রিস্টাব্দের ২৭শে মার্চ তারিখে বিজাবর ব্রিটিশদের করদ রাজ্যে পরিণত হয়৷ কোম্পানি ঐ বছরই রাজা রতন সিংকে ব্রিটিশ আনুগত্যে রাজ্যের রাজা হিসাবে মান্যতা দেয়৷ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে রাজা ভানুপ্রতাপ সিং সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে ব্রিটিশদের সাংকেতিক বার্তাবহ পরিষেবা দান করায় তারা রাজ্যটিকে একটি তোর সেলামী রাজ্যের সম্মানে ভূষিত করেন, রাজ্যটি হয় ১১ তোপ সেলামী দেশীয় রাজ্য৷ ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে শাসকগণ মহারাজা উপাধি পান, আবার ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে তার উপসর্গে "সওয়াই" উপমা যুক্ত হয়৷ রাজা ভানুপ্রতাপ মারা গেলে তার দত্তকপুত্র তথা ওড়ছা রাজ্যের রাজার পুত্র সাবন্ত সিং এই রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেন৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৫০ খ্রিস্টাাব্দে রাজ্যটি ভারতে যোগদান করলে এটি প্রাথমিকভাবে বিন্ধ্যপ্রদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ পরে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১লা নভেম্বর রাজ্য পুনর্গঠন আইনেই আওতায় এটি মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অংশীভূত হয়৷
বিজাবর দেশীয় রাজ্যের শাসকরা ছিলেন বুন্দেল রাজবংশের বংশধর৷ তারা মহারাজা উপাধিতে ভূষিত হতেন৷[২][৩]