বিজিম হিকায়ে | |
---|---|
লেখক | হাতিচে মেরিয়েম বানু কিরেমিতচি বুজকার্ত ইব্রু হাচিওগ্লু ভের্দা পার্স |
পরিচালক | সেরদার গোজেলেকলি (১-৩৭) করায় কেরিমগ্লু (৩৮-৭০) |
শ্রেষ্ঠাংশে | বুরাক দেনিয হ্যাজাল কেয়া রেহা ওজচান |
দেশ | তুর্কি |
মূল ভাষা | তুর্কি |
মৌসুমের সংখ্যা | ২[১] |
পর্বের সংখ্যা | ৭০ |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | ফাইথ আকসয় |
নির্মাণ স্থান | ইস্তানবুল |
স্থিতিকাল | ১২০ মিনিট |
নির্মাণ প্রতিষ্ঠান | মেড ইয়াপিম |
মুক্তি | |
নেটওয়ার্ক | ফক্স |
মুক্তি | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২৩ মে ২০১৯ | –
বিজিম হিকায়ে (অর্থ: আমাদের গল্প) হচ্ছে তুর্কি টেলিভিশন ধারাবাহিক নাটক। এই সিরিজে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন বুরাক দেনিয এবং হ্যাজাল কেয়া। এটির গল্প ইউকের মৌলিক ধারাবাহিক শেমলেস থেকে নেওয়া হয়েছে।[২] এই ধারাবাহিকটি পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব (২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর) ১.২ কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে। এই ধারাবাহিকের চিত্রধারণ ইস্তানবুলে করা হয়েছে।
মৌসুম ১
ফিলিজ একজন নিম্নবিত্ত শ্রেনীর পরিবারের যুবতী মেয়ে, তাদের মা তাদেরকে ছেড়ে যাওয়ার পর একাই তার ছোট ভাই বোনদের লালন পালন করে। তার বাবা, ফিকরি, একজন মাতাল। ফিলিজ বিশ্বাস করত তার জীবনে ভালোবাসার কোনোই জায়গা নাই যতদিন না তার বারিসের (আসল নাম সাভাস) বারিসের সাথে দেখা না হয়। বারিস ফিলিজ আর তার পরিবারের মন জয়ের জন্য সবকিছু করতে পারে। কেমিল, একজন পুলিশ অফিসার, যে ফিলিজের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। কেমিল জানতে পারে বারিস একজন গাড়ি চোর তাই তাকে ভয় দেয় সে যদি না চলে যায়, ফিলিজকে কে সব সত্য কথা জানিয়ে দিবে। ফিকরি সামাজিক সেবা দলে অভিযোগ দেয় তার ছেলেমেয়েরা বাবা মা ছাড়া বসবাস করছে। সামাজিক সেবা দল ফিলিজের ভাই বোনকে জোর করে নিয়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে ফিলিজ কেমিলকে বিয়ে করে। বারিসের বাবার সাথে খুব খারাপ সম্পর্ক, যে ফিলিজ খুব অপছন্দ করে কারণ সে গরিব পরিবারে মেয়ে। ওমর, একজন মাফিয়া নেতা, যে ফিলিজের বড় বোন ইয়েলিজের স্বামী। ওমর গোপনে ফিলিজ কে ভালোবাসতো। ওমর ফিলিজের এলাকায় আসে ইয়েলিজের চুরি করা হীরা খুজতে। ওমর আর সারভাত ষড়যন্ত্র করে ফিলিজ কে জেলে পাঠায়।[৩] ফিলিজ আর বারিস পুনরায় একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে, কিন্তু তাদের সম্পর্কে অনেক বিপদ আসে। কারণ বারিসের অতীত জীবনের রহস্যের জন্য।
মৌসুম ২
ফিলিজ জেল থেকে মুক্তি পেয়ে জানতে পারে বারিস কোথায় কেউ জানেনা। ফিলিজ হতবাক হয়ে যায়। ফিলিজ বিশ্বাস করতে পারেনা যে তার ছোট ভাইরা বারিস নামে চিঠি লিখেছিল। কিন্তু তার ভাইরা তাকে জানায় সেই চিঠিগুলো তাদের লেখা। ফিলিজ বারিসকে একটা হাসপাতালে খুজে পায়। সেখানে সে জানতে পারে বারিসের স্ত্রী এবং একটি ছেলে, সাভাস জুনিয়র আকতান আছে। বারিস ফিলিজকে বলে সে তাকে ধোকা দিয়েছে, কখনোই ফিলিজ কে ভালোবাসিনি। শুধুমাত্র ফিলিজকে ব্যবহার করেছে। ফিলিজ কষ্ট পায় , এবং মদ্যপান করে মাতাল হয়ে যায়। ফিলিজের উকিল সেলিম, যে ফিলিজ কে গোপনে ভালোবাসে, সে ফিলিজকে বাসায় পৌছে দেয়।
ফিলিজ নতুন করে ব্যবসা শুরু করে ভাগ্যক্রমে তার দোকানের পাশে বারিসের মেডিকেল ক্লিনিক। ফিলিজের দোকানের মেরামত কাজের জন্য বারিস বিরক্ত হয়, এই বিষয়ে দুইজনের তর্ক হয়। ফিলিজ জানায় দেয় সে এই এলাকা ত্যাগ করবেনা। তুলের জমজ বাচ্চা মারা যায়। তখন হিকমত জেইনাপ নামের এক গর্ভবতী মেয়ের প্রেমে পড়ে। হিকমত জেইনাপকে বিয়ে করে এবং তার সন্তানকে নিজের পরিচয়ে বড় করার সিদ্ধান্ত নেয়। হিকমত সম্পূর্ণ বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু চিচেক তাদের বিয়ের কাগজ পত্র খুজে পায় এবং পরিবারের বাকি সদস্যদেরকেও জানায় দেয়। তুলের মনে জেইনাপের জন্য সহানুভূতি জাগে কারণ সে গর্ভবতী। তাই সে জেইনাপকে নিজের কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাভাস জুনিয়রের হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়, তারপর বারিস ফিজার কাছে গিয়ে সত্য কথা জানায় দেয়। বারিস জানাত সে তার প্রথম স্ত্রী নিহালের কাছে ফিরেছিল কারণ তার ছেলে অসুস্থ চজিল। ফিলিজ আর বারিস পুনরায় এক হয়। ফিকরি মেলেক নামের একজন ধনী নারীকে বিয়ে করে, যে একজন ক্যান্সার রোগী। তার প্রশ্রয়ে কিরাজ আর ফিকো খারাপ হত্ব যায়। কিরাজ আস্তে আস্তে ফিলিজের সাথে খুব বাজে ব্যবহার করে এবং বলে তাদের জীবন থেকে চলে যেতে। মেলেক চিকিৎসার জন্য মায়ের কাছে স্কটল্যান্ড যায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ফিকরি আর তার বাচ্চাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। ফিলিজ তাদেরকে নিজেদের বাসায় আবার ফিরিয়ে আনে। কিরাজ নির্মাণধীন ভবনের ছাদে উঠে বন্ধুদের ক্লাব এ যোগ দেওয়ার জন্য। ক্লান্তি, কিরাজের চিন্তায় ফিলিজের অনেক জ্বর আসে এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বারিস হাসপাতালে ফিলিজকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং ফিলিজ রাজী হয়। নিহাল বারিসকে হুমকি দেয় যদি সে ফিরে না আসে, ফিলিজকে আবারো জেলে পাঠাবে। বারিস নিহালের কাছে ফেরেনা বরং মিথ্যা মৃত্যুর নাটক করে এবং ফিলিজকে বিয়ে করে। হিকমত বারিসের সাথে থাকতে চায় না বলে বাড়ি থেকে ভলে যায়। বারিসের বোন, মার্ভি আসে। মার্ভি নিহালের উপর নজর রাখে, বারিসকে নিহালের বিষয় সাহায্য করতে থাকে। হিকমত এক মহিলার সন্তানকে অপহরণ করে এবং বারিস জানতে পারে হিকমত বাইয়োপোলার রোগী। ডাক্তার জানায় ফিলিজ গর্ভবতী। মার্ভি বারিসকে ধোকা দেয়। নিহাল জানতে পারে বারিস বেঁচে আছে, বারিসকে জেলে পাঠায়। নিহালের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়, এবং পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ছেলেকে নিয়ে বিদেশে চলে যায়।
নেসলিয়ান বারিসের প্রাক্তন প্রেমিকা এবং সহকর্মী। রহমত বারিসকে নেসলিয়ানকে কোলে করে হোটেলের ঘরে নিয়ে যেতে দেখে। রহমত ভাবে বারিস ফিলিজকে ধোকা দিচ্ছে। ফিলিজ বারিসের কাছে ডিভোর্স চায়, বারিসও রাজি হয়। পরে রহমত জানতে পারে এটা সম্পূর্ণ ভুল বুঝাবুঝি ছিল। বারিস নেসলিয়ানকে তার ঘরে নিয়েছিল মূলত সে মাতাল ছিল, বারিস তার ঘরে ঘুমাননি। ফিলিজ বারিসের কাছে ক্ষমা চায়, কিন্তু বারিস ক্ষমা করেনা। ফিলিজ বারিসের হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারে তাদের মেয়ে সন্তান হবে। বারিস মেয়ে হওয়ার খুশিতে ফিলিজকে মাফ করে। ফিকরির হার্ট অ্যাটাক হয় এবং ফিকরি মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে আসে। ফিকরি দাবি করে হিকমত আর তার নাতনি তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাচিয়েছে। ফিকরি শপথ নেয় একজন ভালো বাবা হওয়ার। হিকমত কে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেয় এবং হিকমত আবারো এলিবোলদের থাকা শুরু করে। ১ মাস পর, কেমিল আর চিচেক বিয়ে করে করে। তাদের সাথে রহমত আর ডেনিজেরও বিয়ে হয়। ফিলিজ মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়। ফিকরি নাতনি হওয়ার খুশিতে সবার জন্য বাড়ি কেনে। শেষে ফিকরিদের দরজায় একটা বাচ্চা রেখে যাওয়া হয়, বাচ্চাটি ফিকরির সপ্তম সন্তান।
অভিনেতা | চরিত্র | পর্ব | বর্ণনা |
---|---|---|---|
বুরাক ডেনিজ | বারিস আকতান | ১-৭০ | আসল নাম সাভাস আকতান। মৃত ভাইয়ের স্মৃতি রক্ষার জন্য বারিস নাম ব্যবহার করে। দামি গাড়ি চুরির মাধ্যমে রোজগার শুরু করে। পরবর্তীতে ডাক্তার হন। বারিস বড়লোক পরিবারের সন্তান। |
হ্যাজাল কেয়া | ফিলিজ এলিবোল / আকতান | ১-৭০ | গরিব পরিবারের বড় মেয়ে। তার ৫ ছোট ভাই বোনের খেয়াল রাখেন। বারিসের স্ত্রী। |
রেহা অজচান | ফিকরি এলিবোল | ১-৭০ | ফিলিজের বাবা যেখন একজন মাতাল। কোনো কাজ করেনা। পরিবারের জন্য নানা সমস্যা তৈরি করে। শেষে ভালো বাবা হওয়ার শপথ নেন। |
ইয়াগিজ কান কোন্যালি | রহমত এলিবোল | ১-৭০ | গণিতে খুবই দক্ষ। বোন ফিলিজ কে খুবই ভালোবাসে এবং তাকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সাপোর্ট করে। পরবর্তীতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করবেন। |
নেজাত উইগুর | হিকমত এলিবোল | ১-২৭ / ৩৮-৫৬/ ৭০ | চুপচাপ কিশোর। তার দোকানের মালিকের স্ত্রীকে ভালোবাসত। |
আল্প আকার | ফিকরত এলিবোল (ফিকো) | ১-৭০ | ফিলিজের ভাই। বাস্কেটবল খেলায় পারদর্শী |
জেইনাপ সেলিমোগ্লু | কিরাজ এলিবোল | ১-৭০ | পরিবারের ছোট মেয়ে। প্রথম মৌসুমে খুবই বুদ্ধিমতী দেখানো হয়৷ |
ওমার সেভগি | ইসমাত এলিবোল (ইস্মু) | 1-70 | পরিবারের সবচেয়ে ছোট সন্তান |
নেসরিন কাভাদজাদে | তুলে সের্তকায়া | ১-৫৩ | ফিলিজের কাছের বন্ধু এবং তুফানের স্ত্রী। ফিলিজ আর ফিলিজের পরিবারকে সব বিপদে সাহায্য করতো। একটা সময় চাকরির জন্য জার্মানি যাবে৷ সেখান থেকে আর ফিরবেনা |
মেহমেত কোরহান ফিরাত | তুফান সাহিন | 1-70 | তুলের স্বামী, বারিসের কাছের বন্ধু৷ নানাভাবে ফিলিজ আর বারিসকে সাহায্য করেন। |
মেহমেতচান মিনচিওজলু | কেমিল | ১-৭০ | পুলিশ অফিসার, ফিজাকে ভালোবাসত। বারিসের সাথে খুব দ্বন্দ্ব ছিল কিন্তু দ্বিতীয় মৌসুমে বারিসকে সাহায্য করতে গিয়ে চাকরি হারায়। চিচেক রে বিয়ে করে |
সাহরা সাস | চিচেক | ৩৮-৭০ | ফিলিজের সাথে জেলখানায় পরিচয় হয়৷ ফিলিজের কাছের বন্ধু৷ কেমিলের স্ত্রী। |
মুরাত বোলুচেক | চুচু (Cüneyt) | ১-৭০ | ফিকরির মদখোর ভিক্ষারি বন্ধু |
মেলিসা দোনগ | ডেনিজ চেলিক | ৩৮-৭০ | বিশ্ববিদ্যালয়ে রহমত এলিবোলকে নানাভাবে অপদস্ত হুমকি দেয়। পরবর্তীতে রহমতকে ভালোবাসে এবং বিয়ে করে দুইজন। |
হাজাল আদিয়ামান | দেরিন চেলিক | ৩৮-৬১ | ডেনিজের বড় বোন। রহমতকে ভালোবাসত এবং রহমতকে অনুপ্রেরণা দেয় |
অভিনেতা | চরিত্র | পর্ব | বর্ণনা |
---|---|---|---|
আইসেন গ্রুদা | আইসে এলিবোল | ৩২-৩৭ | ফিকরির মা এবং ফিলিজের দাদী। তিনি তারা নাতি নাতনিকে সামাজিক সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরিয়ে আনেন। |
এসরা বিলিগেন | সুকরান এলিবোল | ১-২০ / ২৭-৩৫ | ফিলিজের মা, যে প্রায়ই সন্তানদের রেখে চলে যায়। |
বেরেন গোকিলদিজ | আয়সে | ৩০-৩৭ | ফিকোর বান্ধবী |
এব্রিম দোগান | সায়েমা | ১-৩৭ | মুজেদার মা, যখন সায়েমা জানতে পারে ফাকরির সুকরান সম্পর্কে ভালোবাসা তখন সে আর তার মা আংকারায় চলে যান। |
সেররা পিরিঞ্চ | মুজদে | ১-৩৭ | রহমতের বিদ্যালয়ের বান্ধবী এবং প্রাক্তন প্রেমিকা। সে তার মা কে নিয়ে আংকারায় চলে যায়। |
ইসমাইল কারাগুজ | হাসিম | ১-১৪ | সায়েমার স্বামী এবং মুজদের বাবা। |
বেরকাই আকিন | আমি কর্কমাজ | ১-২৭ | হিকমত যে দোকানে কাজ করতো সেই দোকানের মালিক। |
পিনার তোরে | এসরা | ১-২৪ | আসিমের স্ত্রী পরে তাদের বিচ্ছেদ হয়। |
পিনার কাগলার গেনতুর্ক | ফেরদা | ২০-২৫/৬৪-৭০ | তুফানের প্রথম স্ত্রী |
নিলেয় দুরু | ইয়েলিজ এলিবোল | ২১-৩৭ | ফাকরি এলিবোলের বড় মেয়ে, জেইনাপের মা। |
কেমাল তক্তাস | ওমর দুরানের | ২৬-৩৭ | একজন মাফিয়া নেতা। বারিসের বাবার জন্য কাজ করে। এছাড়া তাকে ফিলিজের প্রতি আগ্রহী দেখা যায় |
ইমরান গুনেস | জেইনাপ | ২০-৩৭ | ইয়েলিজ আর ওমরের মেয়ে। সে তার বাবাকে অনেক ভালোবাসে। |
মুরাত কোচাচিক | মুর্তাজা | ৬০-৬৪ | জেলে বারিস যার জীবন বাঁচায়। |
মেতিন বুকতেল | সার্ভাত আকতান | ৯-৩৭ / ৫৭-৬০ | সাভাত এর বাবা, আয়েলা র প্রাক্তন স্বামী৷ সার্ভাত আকতান আসল বারিসের মৃত্যুর জন্য দায়ী। এছাড়াও ওমর তার জন্য কাজ করে |
সিমা আতালাক | আয়েলা আংগিন | ৯-৩৭ | বারিসের মা |
নুর বেরফিন চিরোগ্লু | মার্ভি আকতান | ৫৪-৬১ | বারিসের বোম |
অলচায় ইউসূফগ্লু | নিহাল | ৩৭-৬১ | বারিসের প্রথম স্ত্রী |
কেমাল ইয়াভুজ | সাভাজ আকতান | ৩৮-৬১ | বারিসের সন্তান, যার জন্য বারিস পুনরায় প্রথম স্ত্রী নিহালকে বিয়ে করেন |
মুরাত দানাচি | সেলিম তেকিন | ৩৮-৫৪ | ফিলিজের উকিল এবং ফিলিজকে ভালোবাসত। |
কান কোলুকিসা | রেসাই হাসিপোগ্লু | ৫৯-৬০ | হিকমতের দাদা |
এলভান বোরান | হাতুন | ৫২-৫৫ | ফাকরির বান্ধবী এবং ফাকরির সন্তানের মা |
সেবনেম কোস্তেন | মেরাল সেগজিন | ৫৩-৫৭ | ফিলিজ যে অফিসে কাজ করত সেই অফিসের কর্মকর্তা |
মিরাই আকায়ে | জেইনাপ | ৩৮-৫৪ | হিকমতের স্কুলের গর্ভবতী মেয়ে। হিকমতের স্ত্রী, পরবর্তীতে তুলের সাথে জার্মানি চলে যায়। |
মুগে সু শাহিন | মুজি (মুয়াজ্জেহ) | ১৫-২৮ | হিকমতের প্রেমিকা |
সেরাপ অন্দার | গুলসুম | ৪০-৫৩ | বারিসের সহকারী নার্স |
এমিন উডেন ইয়েলো | এমরে | ৪০-৪৫ | গুলসুমের ভাতিজা |
আতিলস পেকডিমির | উকিল | ৬০-৬১ | বারিসের উকিল |
জিগিত কেলেবি | উকিল নেকাতি | ৪০-৫৩ | সেলিমের বন্ধু, একজন উকিল৷ নিহালের সাথে হাত মিলিয়ে সেলিমকে ধোকা দেয়। |
ফেরাই দারিকি | মেলেক | ৩৭-৪৫ | ফাকরির নতুন ধনী স্ত্রী। একজন ক্যান্সার রোগী। ডাক্তার দেখাতে স্কটল্যান্ড যায়, সেখানেই সে মারা যায়। তারপর ফাকরি আর তাদের সন্তানদের বের করে দেওয়া হয়। |
বাসাক গুরোজ | হুলাই | ২৪-২৯ | ডাক্তার এবং বারিসের বান্ধবী। বারিসের প্রেমে পাগল। |
সিভে সেনোজেন | নেসহিয়ান | ৬৪-৭০ | বারিসের সহকর্মী ডাক্তার |
মৌসুম | পর্ব | শুরুর তারিখ | শেষ তারিখ |
---|---|---|---|
১ | ১-৩৭ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৭ জুন ২০১৮ |
২ | ৩৮-৭০ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২৩ মে ২০১৯ |
২০১৫ সালে এই ধারাবাহিকের পরিকল্পনা নিয়ে প্রথম আলোচনা করা হয়।[৪] এবং উতানমাজলার নামকরণ করা হয়। এটি আমেরিকার টেলিভিশন সিরিজ শেমলেসর অভিযোজন।[৫] মিলিয়েত লেখক সিনা কোলোগ্লু ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি জিজ্ঞাসা করেন "কে আমাদের ‘বেহায়া’ হতে চলেছে?" প্রযোজকদের পক্ষ থেকে অন্য তুর্কি অভিযোজনের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, "আমেরিকানরা এটা এইভাবে করে , বেশ, আমাদের জন্য এটি কেমন হতে চলেছে?"[৬] পরবর্তীতে এই ধারাবাহিকটির শিরোনাম বিজিম হিকিয়ে হিসেবে নিশ্চিত করা হয়।[৭] পরিচালক সরদার গোজেলেক্লি এক বিবৃতিতে জানায় এই ধারাবাহিকটি সম্পূর্ণ তুর্কি দর্শকদের মত করে করা হবে।[৮] বিজিম হিকিয়ে'র সংলাপ লিখেছেন হাতিচে মেরিয়াক এবং বানু কিরেমিতচি বুজকার্ত।[৯] দ্বিতীয় মৌসুমে গোজেলকলির পরিবর্তে করায় কেরিমগ্লু ধারাবাহিকের পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। বানু কিরেমিতচি বুজকার্ত, প্রথম মৌসুমের সংলাপ লেখক, চলে যান, এবং সেরাও শাহিনার প্রধান সংলাপ লেখক হন।[১০]
২০১৭ সালের ২৪ জুলাই ইস্তানবুলে মূল চিত্রধারণ শুরু হয়।[১১]
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে, প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে হ্যাজাল কেয়াকে নিশ্চিত করা হয়, যে ফিলিজ এলিবোল চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৬] ২০১৭ সালের ১৬ জুন, বুরাক ডেনিজকে সাভাস/বারিস আকতান হিসেবে নিশ্চিত করা হয়।[১২][১৩] ২০২৭ সালের ২৪ জুলাই, বাকি সকল অভিনেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়; রেহা অজচান পরিবারের বাবা, ফিকরি এলিবোল, মা সুকরানের অভিনয়ে ইসরা বেজেন বিলগিনের নাম বলা হয়েছিল। ইয়াগিজ চান কোনয়ালি, নিজাত উইগুর, জেইনাপ সেলিমোগ্লু, আল্প আকার এবং ওমর সেভেগি পরিবারের বাকি সন্তান রহমত, হিকমত, কিরাজ, ফিকরাত এবং ইসমাতের চরিত্রের জন্য নিশ্চিত করা হয়।[৯]
২১তম পর্বে নিলাই দুরু ইয়েলিজ হিসেবে যোগদান করেন।[১৪][১৫] কেমাল তক্তাস ২৬ তম পর্ব থেকে ওমর হিসেবে অভিনয় করেন।[১৬] ২০১৮ সালের এপ্রিলে বেরেন গোকয়িলদিজ ২৯ পর্ব থেকে আয়সে হিসেবে যোগদান করার কথা নিশ্চিত করেন।[১৭][১৮] তার কিছুদিন পর ঘোষণা করা হয় আয়সেন গ্রুদা ইয়েদি বেলা আইসেল হিসেবে ৩২ পর্ব থেকে অভিনয় করবেন।[১৯]
দ্বিতীয় মৌসুমে, সাহরা সাস, মিরেই আকাই , মুরাত দানাচি, মেলিসা দোঙ্গেল এবং হাজেল আদিয়ামান নানা চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন।[২০]
২০১৭ সালের ৫ আগষ্ট, এই ধারাবাহিকটির প্রথম টিজার মুক্তি পেয়েছিল[২১] এবং ২০১৭ সালের ২২ আগষ্ট দ্বিতীয় টিজার মুক্তি পেয়েছিল।[২২] প্রথম পর্ব ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ফক্সে সম্প্রচার করা হয়েছিল।[২৩] এই সিরিজটির দ্বিতীয় মৌসুম ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রিমিয়ার হয়।[২৪]
এই ধারাবাহিকটি ম্যাক্স প্লেয়ার নামক ভারতীয় ওটিটি প্লাটফর্মে হিন্দি শিরোনাম "আমাদের গল্প" হিসেবে প্রচারিত হয়। এই ধারাবাহিকটি ভারতীয় দর্শকরা ১ কোটি বার দেখে।
পাকিস্তানে উর্দু১ চ্যানেলে ہماری کہانی শিরোনামে (তুর্কি শিরোনামের অনুবাদ) বিজিম হিকায়ে সম্প্রচার করা হয়। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ওয়া দোগান গোজেলেক্লি প্রথম পর্বের কাজকে প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও তিনি হাজেল কেয়ার ফিলিজের অভিনয় সম্পর্কে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন ফিলিজের অভিনয় যখন দেখতেছিলাম, আমি হাজেলকে [উপস্থিতি] ভুলে গেছিলাম এবং গল্পের গভীরে ঢুকে গিয়েছিলাম।"[২৩]