ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ব্রাডলি-জন ওয়াটলিং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডারবান, নাটাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৯ জুলাই ১৯৮৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪৪) | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ জুন ২০২১ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৬২) | ১৩ আগস্ট ২০১০ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ – | নর্দান ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ |
ব্রাডলি-জন ওয়াটলিং (জন্ম: ৯ জুলাই, ১৯৮৫) দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে খেলছেন।
২০১২ সাল থেকে নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি নর্দান ডিস্ট্রিক্টস দলে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়াটলিং ১০ বছর বয়সে পরিবারের সাথে নিউজিল্যান্ডে স্থানান্তরিত হন। হ্যামিল্টন বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়নকালীন সময়ে সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিস কাগেলিনের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেন।[১] এ সময়েই তিনি দুইবার জিলেট কাপের শিরোপা জয় করেন। ড্যানিয়েল বটউডের সাথে ২০০+ রানের জুটি গড়েন যা অদ্যাবধি ১ম একাদশে রেকর্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ২০০৪ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন।
৬ ডিসেম্বর, ২০০৪ তারিখে রাজ্য চ্যাম্পিয়নশীপে অকল্যান্ডের বিরুদ্ধে নর্দান ডিস্ট্রিক্টসের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। উইকেট-রক্ষক হিসেবে ৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ম ইনিংসে ৩৭ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে নিক হর্সলে’র সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে মাত্র এক রানে আউট হয়ে যান।[২] প্রথম দুই খেলায় উইকেট-কিপার হিসেবে নামলেও পরবর্তীকালে দলীয় কর্তৃপক্ষ তাকে ব্যাটিং উদ্বোধনেই বেশি প্রাধান্য দেয়।[৩] ডিসেম্বরে স্টেট শিল্ড প্রতিযোগিতায় ওয়েলিংটনের বিপক্ষে লিস্ট এ ক্রিকেটে নাম লেখান ওয়াটলিং। লরেন হাউয়েলের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে কোন রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন।[৪]
অক্টোবর-নভেম্বর, ২০০৯ সালে আবুধাবি ও দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান দলের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ওডিআই এবং টি২০আই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সদস্যরূপে মনোনীত হন। কিন্তু ওডিআই সিরিজে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম টি২০আইয়ে অভিষেক ঘটে তার। দলের উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলেন তিনি। ঐ খেলায় তার দল ৪৯ রানের ব্যবধানে পরাভূত হয়।[৫] ঘরোয়া ক্রিকেটে নাইটস দলের হয়ে চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনার মাধ্যমে পিটার ফুলটনের পরিবর্তে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তি ঘটে তার। ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ৩য় টেস্টে অভিষেক ঘটে ওয়াটলিংয়ের।[৬] টিম ম্যাকিন্টশের সাথে উদ্বোধনে নেমে বেশকিছু স্বভাববিরোধী খেলা উপস্থাপন করেন। ৬০ রানের ১ম উইকেট জুটিতে তিনি কট-আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ বলে অপরাজিত ৬০ রান করেন যা ছিল তার প্রথম অর্ধ-শতক। কিন্তু বৃষ্টি আসায় তাদের সংগৃহীত ৯০ রান দলের জয়ের জন্য ধূলিস্মাৎ হয়। ১৩ আগস্ট, ২০১০ তারিখে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় সিরিজে ওয়াটলিংয়ের একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে দলের পক্ষে তিনি সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন ৬৮ বল খরচ করে। ঐ খেলায় শ্রীলঙ্কা দল ৩ উইকেটে বিজয়ী হয়।[৭] জানুয়ারি, ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ে দল নিউজিল্যান্ড সফরে আসে। অভিষেক খেলায় অংশগ্রহণের ইচ্ছায় তরুণ উইকেট-রক্ষক রিস ইয়ং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্বেকার টেস্টে তেমন সফলতা না পাওয়ার প্রেক্ষিতে বাদ পড়ে যান। ফলে ক্রুজার ফন উইক উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় সম্মুখে চলে আসেন।[৮] একমাত্র টেস্টে গ্লাবস হাতে ঠাঁই হয় ওয়াটলিংয়ের। তার প্রথম ছয় টেস্টে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ভূমিকা ছিল।[৯] তারপরও তিনি টি২০আই ও একদিনের আন্তর্জাতিকে উইকেট-কিপার ছিলেন। ২০০৪ সালে দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় উইকেট-কিপার ছিলেন।[৩] নিউজিল্যান্ড ঐ টেস্টে ইনিংসের ব্যবধানে জয় পায়। খেলার প্রথম ইনিংসে ১০২ রান করে ওয়াটলিং তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন।[১০] ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে এসে নর্দান ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে উইকেট-রক্ষক হিসেবে মাঠে নামেন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য।[১১] উরুর আঘাতের ফলে মার্চে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে না নামায় ক্রুজার ফন উইক তার স্থলাভিষিক্ত হন।[১২] ১৬-১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে ভারতের বিপক্ষে ১২৪ রান করেন। অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের সাথে ৬ষ্ঠ উইকেটে ৩৫২ রান করে ক্রিকেট ইতিহাসের খাতায় নাম লেখান।[১৩]
২০১৯-২১ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ফাইনালের পর তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ।
ওয়াটলিংয়ের মতে, তার ব্যাটিংশৈলী অনেকটাই দক্ষিণ আফ্রিকান জন্টি রোডসের ন্যায়। তিনি তাকে তার আদর্শ মানেন। “হয়তো তিনি বলকে জোরে আঘাত করতে পারেননি। কিন্তু, ফাঁকা জায়গায় বলকে পাঠিয়েছেন ও উইকেট বরাবর দৌঁড়িয়ে রান সংগ্রহ করতে পারতেন। এভাবেই বোঝা যায় যে, তিনি কিরূপ খেলতে ভালবাসতেন। এভাবেই তিনি আমার খেলাকে উত্তরণ ঘটাতে সাহায্য করেছেন।”[১]
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)