বিজেতা | |
---|---|
পরিচালক | গোবিন্দ নিহলানি |
প্রযোজক | শশী কাপুর |
রচয়িতা | দিলীপ চিত্রে সত্যদেব দুবে |
শ্রেষ্ঠাংশে | শশী কাপুর রেখা ওম পুরি কুণাল কাপুর সুপ্রিয়া পাঠক অমরিশ পুরি |
সুরকার | গান: অজিত বর্মন নেপথ্য সঙ্গীত: অজিত বর্মন |
চিত্রগ্রাহক | গোবিন্দ নিহলানি |
সম্পাদক | কেশব নাইডু |
পরিবেশক | ফিল্ম-বালাস ইন্টারন্যাশানাল |
মুক্তি | ৪ঠা মার্চ, ১৯৮২ (ভারত) |
স্থিতিকাল | ১৫১ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
বিজেতা হল ১৯৮২ সালের, কিশোর থেকে পরিণত বয়স্ক হবার হিন্দি চলচ্চিত্র, এটি শশী কাপুর প্রযোজিত এবং এর পরিচালনা করেছিলেন গোবিন্দ নিহলানি। এতে অভিনয় করেছিলেন শশী কাপুর, তাঁর পুত্র কুণাল কাপুর, রেখা, অমরিশ পুরি এবং সুপ্রিয়া পাঠক। এছাড়াও ছিলেন কে.কে. রায়না, রাজা বুন্দেলা এবং শফি ইনামদার, যিনি পরে বলিউড চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য সহ অভিনেতা হয়েছেন।
অঙ্গদ (কুণাল কাপুর) একটি বিভ্রান্ত কিশোর। সে নিজেকে সন্ধান করার চেষ্টা করে। তার মহারাষ্ট্রীয় মা নীলিমা (রেখা) এবং পাঞ্জাবী বাবা নিহালের (শশী কাপুর) বৈবাহিক সমস্যার মধ্যে পড়ে সে বিপর্যস্ত। নিজের জীবন নিয়ে সে কি করতে চায় তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। অঙ্গদ ঠিক করে সে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একজন যোদ্ধা বিমানচালক হবে। তারপরে যা ঘটেছিল তা তার নিজের এবং বহির্জগত উভয়ের সাথেই বিজয়ী হওয়ার লড়াই। অঙ্গদ অ্যানা ভার্গেসের (সুপ্রিয়া পাঠক) প্রতি আকৃষ্ট হয়। অ্যানা তার উড়ান প্রশিক্ষক গ্রুপ ক্যাপ্টেন ভার্গেসের (আমেরিশ পুরি) মেয়ে, তারা মালয়ালি সিরিয়ান খ্রিস্টান। অঙ্গদকে উড়ানের সাথে মানিয়ে নেওয়া শিখতে, তার মা এবং বাবাকে দীর্ঘ সময় ছেড়ে থাকতে হবে, এর সাথেই সে চেষ্টা করবে অ্যানার মন যাতে তার দিকে আসে, অ্যানা তাকে তার ভয় কাটিয়ে উঠতে এবং একজন যোদ্ধা পাইলট হিসাবে তার সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে সহায়তা করবে। নিহাল দাড়িগোঁফ পরিষ্কার-করে-কামানো শিখ, নীলিমা একজন হিন্দু, অঙ্গদ হল শিখ এবং অ্যানা খ্রিষ্টান, অঙ্গদের সহকারী অফিসারদের মধ্যে সকল ধর্মের মানুষ আছে।
১৯৮০ এর দশকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমানের ক্রিয়াকলাপের কিছু দুর্লভ মুহূর্তের চিত্রায়নের জন্য চলচ্চিত্রটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অঙ্গদের কেন্দ্রীয় চরিত্রটি একজন মিগ-২১ বিমান চালকের এবং ১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে স্থল আক্রমণে তাকে এই বিমান নিয়ে উড়তে দেখা গেছে। ছবির বেশিরভাগ অংশ, পুণেতে চিত্রায়িত হয়েছিল, এর মধ্যে ছিল একটি মিগ-২১বি নিয়ে চরম মুহূর্ত। আইএএফ এর ৪ নং স্কোয়াড্রন ('উরিয়ালস') ছবির বায়ুক্রমিক অনুক্রমের জন্য বিমান ও বিমান চালক সরবরাহ করেছিল।
ফিল্ম ওয়ার্ল্ড পত্রিকাটি এই চলচ্চিত্রটিকে "ভাল" মান দিয়েছিল এবং লিখেছিল, "বিজেত সম্ভবত এই ধরনের প্রথম চলচ্চিত্র, এটি এমন একটি চলচ্চিত্র যেখানে ভারতীয় বিমানবাহিনী, তাদের বীর সৈনিক এবং তাদের জীবনকে সত্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখায়।"[২] এশিয়াউইক অনুসারে, "বিজেতা গত বছরের স্বর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আইএএফ-এর শ্রদ্ধাঞ্জলি"।[৩]
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)