বিনোদ বিহারী চৌধুরী | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম | ১০ জানুয়ারি ১৯১১
মৃত্যু | ১০ এপ্রিল ২০১৩ কলকাতা | (বয়স ১০২)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ ![]() |
পেশা | বিল্পবী ও শিক্ষাবিদ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন |
দাম্পত্য সঙ্গী | বিভা চৌধুরী |
সন্তান | বিবেকান্দ্র চৌধুরী |
আত্মীয় | কামিনী কুমার চৌধুরী (বাবা) রামা চৌধুরী (মা) |
পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার |
যুগান্তর দল |
---|
বিনোদ বিহারী চৌধুরী (১০ জানুয়ারি ১৯১১ - ১০ এপ্রিল ২০১৩)[১] ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন বিপ্লবী কর্মী যিনি বিপ্লবী সূর্য সেনের সহকর্মী ছিলেন।[২]
বিনোদ বিহারী চৌধূরী ১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালি থানায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কামিনী কুমার চৌধুরী ছিলেন পেশায় উকিল এবং মা রামা চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। তার স্ত্রীর নাম বিভা চৌধুরী। ছেলের নাম বিবেকান্দ্র চৌধুরী। চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার অন্তরগত নিজ বাড়ির পাশে রামচন্দ্র স্কুল বর্তমান ৮১নং উত্তরভূর্ষি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবনের শুরু হয়েছিল৷ ওখান থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শেষ করে পরে ফটিকছড়ি থানার রাঙ্গামাটিয়া বোর্ড স্কুলে সেখান থেকে তিনি ফটিকছড়ির প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ফটিকছড়ি করোনেশন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,বোয়ালখালির পি.সি. সেন সারোয়ারতলি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করেন।লেখা পড়ার পাশাপাশি তিনি সে সময় ডিবেটিং চর্চাতেও পারদর্শী হয়ে ওঠেন। ১৯২৯ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তাকে রায়চাঁদ-প্রেমচাঁদ বৃত্তি প্রদান করা হয়৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৩৪ এবং ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ রাজের রাজপুতনার ডিউলি ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী অবস্থায় থাকার সময় তিনি প্রথম শ্রেণীতে আই.এ. এবং বি.এ. পাস করেন।এরপর ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইংরেজিতে এম এ এবং আইন বিভাগে স্নাতক হন।
বিনোদবিহারী চৌধুরী ১৯৩০ সালে কংগ্রেস চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া ১৯৪০-১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস নির্বাহী কমিটির সদস্য থাকার পাশাপাশি ১৯৪৬ সালে কংগ্রেস চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৭ সালে ৩৭ বছর বয়সে পশ্চিম পাকিস্তান কংগ্রেসের সদস্য হন তিনি। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক আইন জারির মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলকে বেআইনি ঘোষণা করলে রাজনীতি থেকে অবসর নেন তিনি ৷ এর মধ্যে তিনি ১৯৩৯ সালে দৈনিক পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসাবে অনুশীলন শুরু করেন। কিন্ত অবশেষে তিনি তার দীর্ঘ কর্মজীবনে শিক্ষকতাকেই পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন।
বিপ্লবীদের দলে নাম লেখানোর অল্প দিনের মধ্যেই বিনোদবিহারী চৌধুরী মাস্টারদা সূর্যসেনের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৩০ সালের ঐতিহাসিক অস্ত্রাগার লুন্ঠনে বিনোদবিহারী চৌধুরী তাই হতে পেরেছিলেন সূর্যসেনের অন্যতম তরুণ সহযোগী। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামকে তিন দিনের জন্য স্বাধীন করেছিলেন তারা। টেলিগ্রাফ অফিস ধ্বংস করা, অক্সিলারি ফোর্সের সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র লুট করেছেন। দামপাড়া পুলিশ লাইনে অস্ত্রের গুদাম ছিল, সেটাও তিনি ও দলের সদস্যরা মিলে লুঠ করেন। এ দলে ছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেন সহ ছিলেন হিমাংশু সেন , অনন্ত সিংহ, গণেশ ঘোষ ও আনন্দ গুপ্ত। [৩] '৩০সালের এ ঘটনার পর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন জঙ্গি রূপ ধারণ করে। সে দিনের এসব বিপ্লবীর দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড ব্যর্থ হয়নি। চট্টগ্রাম সম্পূর্ণরূপে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত ছিল চার দিন। এই কয়েক দিনে ব্রিটিশ সৈন্যরা শক্তি সঞ্চয় করে বিপ্লবী দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষিত বিনোদবিহারীরাও বীর বিক্রমে পরে জালালাবাদ পাহাড়ে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিলেন। জালালাবাদ যুদ্ধ ছিল বিনোদবিহারী চৌধুরীর প্রথম সম্মুখযুদ্ধ।শত আক্রমণাত্মক ব্যাথা সহ্য করেও, গুলিতে বিদ্ধ হয়েও লড়াই থামাননি তারা। চোখের সামনে তিনি দেখেছিলেন ১২ জন সহকর্মীর মৃত্যু।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |