জেনারেল বিপিন রাওয়াত ইউওয়াইএসএম, এভিএসএম, ওয়াইএসএম, এসএম, ভিএসএম | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১৬ মার্চ ১৯৫৮ পৌরী গাড়ওয়াল জেলা, উত্তরাখণ্ড, ভারত |
মৃত্যু | ৮ ডিসেম্বর ২০২১ (বয়স ৬৩) বান্দিশোলা, নীলগিরি জেলা, তামিলনাডু |
আনুগত্য | ![]() |
সেবা/ | ![]() |
কার্যকাল | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৮ - ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ |
পদমর্যাদা | ![]() |
ইউনিট | ![]() |
নেতৃত্বসমূহ | ![]() ৩য় কোর জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা ব্রিগেড ১৯ পদাতিক ডিভিশন (জম্মু-কাশ্মীরের উরি) ৫ম সেক্টর, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (সোপোর) ৫ম ব্যাটেলিয়ন, ১১ গোর্খা রাইফেলস |
পুরস্কার | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
জেনারেল বিপিন রাওয়াত, পিভিএভিএসএম, ইউওয়াইএসএম, এভিএসএম, ওয়াইএসএম, এসএম, ভিএসএম (১৬ মার্চ ১৯৫৮ – ৮ ডিসেম্বর ২০২১) ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধান ও ভারতীয় সেনার সেনাপ্রধান ছিলেন। ২৬তম সেনাপ্রধান হিসেবে তিনি ২০১৬ এর ৩১ ডিসেম্বর জেনারেল দলবীর সিং সোহাগের কাছ থেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[১][২][৩] ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবণে তাঁর স্থলে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন।[৪][৫] তিনি সেনাপ্রধান হওয়ার পূর্বে ভারতীয় সেনার সেনা উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ভারতীয় সেনার পূর্ব কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ এর দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিপিন ভারতের উত্তরাখণ্ড প্রদেশের পৌরি গাড়ওয়াল জেলায় ১৯৫৮ সালের ১৬ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।[৬] তার পিতাও তার মত সেনাবাহিনীর জেনারেল ছিলেন তবে সেনাপ্রধান ছিলেননা, তার পিতার নাম হচ্ছে লক্ষণ সিং রাওয়াত।[৭][৮] রাওয়াত লেখাপড়া করেন ক্যামব্রিয়ান হল (দেহরাদুন), সিমলার সেন্ট এডওয়ার্ড স্কুল এবং অবশেষে 'ভারতীয় সামরিক একাডেমী'তে, যেখান থেকে ভালো ফলাফল করে 'সম্মানের তরবারী' লাভ করেছিলেন। তিনি তামিলনাড়ুর 'প্রতিরক্ষা সেবা স্টাফ কলেজ' থেকে স্টাফ কোর্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ট লেভেনওয়ার্থ থেকে 'উচ্চতর আদেশ প্রশিক্ষণ' লাভ করেন।[৯][১০][১১] এছাড়া তিনি তামিলনাড়ুর মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিরক্ষাবিদ্যায় এমফিল করেন।
বিপিন কমিশন পান ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে, তার পিতার ইউনিট ৫/১১ গোর্খা রাইফেলসে।[১২][১৩] তার সব ধরনের যুদ্ধ পরিচালনার অভিজ্ঞতা ছিলো এবং তিনি ১০ বছর জঙ্গীবিরোধী অভিযানে নিয়োজিত থেকেছিলেন।[১১] তিনি জম্মু-কাশ্মীর-এর উরিতে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন, পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরের একটি পদাতিক ব্যাটেলিয়ন অধিনায়ক, রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে (আধা-সামরিক বাহিনী) একজন ব্রিগেড কমান্ডার, ১৯তম পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি (সাউদার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনী প্রধান হওয়ার পূর্বে তিনি 'ভাইস চীফ অব আর্মি স্টাফ' (উপসেনাবাহিনীপ্রধান) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন যে পদে তিনি ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ছিলেন। সেনাপ্রধান হওয়ার ক্ষেত্রে তার নাম আসে তার চেয়ে দুজন ঊর্ধ্বতন জেনারেলকে টপকিয়ে, তারা হলেন প্রবীণ বকশী এবং পি এম হারিয।[১৪]
বিপিন রাওয়াতকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারীতে। এই পদে তিনি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা তাঁকে কাজের ব্যাপারে রিপোর্ট করে থাকেন। তিনি সিডিএস হওয়ার আগ পর্যন্ত চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান পদেও কাজ করেছেন। [১৫]
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর কুন্নুরে বিপিন রাওয়াতসহ ১৪ জনকে নিয়ে উড়েছিল হেলিকপ্টার। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বিধ্বস্ত হয় বান্দিশোলায়। এর পর তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী এবং তার স্টাফরা এই হেলিকপ্টারে ছিলেন। [১৬] এ দূর্ঘটনায় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন। [১৭] এ দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয় মোট ১৪ জনের। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত ছাড়াও ছিলেন নায়েক গুরসেবক সিং, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এল এস লিড্ডর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুন সিং, ল্যান্সনায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্সনায়েক বি সাই তেজা ও হাবিলদার সৎপাল।