বিবি জামাল খাতুন بيبی جمال خاتون | |
---|---|
মৃত্যু | ২ মে ১৬৪৭ |
মূল আগ্রহ | সুফিবাদ, ঐশ্বরিক প্রেম |
বিবি জামাল খাতুন (ফার্সি: بيبی جمال خاتون ) (মৃত্যু ২ মে ১৬৪৭)[১] একজন নারী সুফি সাধক ছিলেন যিনি সিন্ধু প্রদেশের সেহওয়ানে বাস করতেন।
বিবি জামাল খাতুনের জীবনী সম্পর্কে জানার একমাত্র মাধ্যম হল দারা শিকোহ কর্তৃক কাদেরিয়া তরিকার পীরদের নিয়ে রচিত সাকিনাত আল-আওলিয়া র দ্বিতীয় অধ্যায়, যেটি লেখা হয়েছে বিবি জামাল খাতুনকে নিয়ে।[২]
বিবি জামাল খাতুনের মা ছিলেন বিবি ফাতিমা, যিনি সুফি সাধক কাদি কাদানের (মৃত্যু: ১৫৫১) কন্যা। বিবি ফাতিমার স্বামী তার বিয়ের অল্প কিছুদিন পরেই মারা যান। ফলশ্রুতিতে তাকে তার সন্তানদের তার বাবার বাড়িতে মানুষ করতে হয়।
বিবি ফাতিমার প্রত্যেকটি সন্তানই সুফিবাদে আগ্রহী ছিলেন। তার ছেলে মিয়া মির সুফিবাদে জ্ঞানার্জনে সব ভাইবোনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। মিয়া মির ১৬৩৫ সালে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। বিবি জামিলা খাতুনের উপরে তার প্রভাব ছিল।[২]
দারা শিকোহ বিবি জামাল খাতুনকে 'সে সময়ের রাবেয়া বসরী' বলে অভিহিত করেছেন এবং তিনি অনেক অলৌকিক ক্ষমতা দেখাতে পারতেন বলে অভিহিত করেছেন।[৩]
বিবি জামাল খাতুন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু, তার কোন সন্তান ছিল না। বিয়ের ছয় বছর পর তিনি স্বামী থেকে আলাদা হয়ে একটি কক্ষে নিজেকে আবদ্ধ করেন। সেখানে তিনি ইবাদতে লিপ্ত থাকতেন, কঠোর তপস্যা করতেন। বিয়ের দশ বছর পর বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমে অথবা তার স্বামীর মৃত্যুর মাধ্যমে বিবি জামাল খাতুনের বৈবাহিক জীবনের ইতি ঘটে।[২]