অবস্থান | জেবি ব্লক, সেক্টর তৃতীয়, বিধাননগর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ - ৭০০০৯৮ |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৪′০৮″ উত্তর ৮৮°২৪′৩৩″ পূর্ব / ২২.৫৬৮৮৯° উত্তর ৮৮.৪০৯১৭° পূর্ব |
মালিক | ভারতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন |
ধারণক্ষমতা | ৮৫,০০০ (২০১৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্য ৬৬,৬৮৭ আসনে সীমিত)[৪] |
উপস্থিতির রেকর্ড | ১৩১,৭৮১[৫] (মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল, ১৩ জুলাই, ১৯৯৭) |
আয়তন | ১০৫ মি × ৬৮ মি (৩৪৪ ফু × ২২৩ ফু) |
উপরিভাগ | (১৯৮৪–২০১১) গ্রাস (২০১১–২০১৫) অ্যাস্ট্রো-টার্ফ (২০১৫–বর্তমান) রিভিয়েরা বারমুডা গ্রাস[২][৩] |
নির্মাণ | |
উদ্বোধন | জানুয়ারি ১৯৮৪ |
পুনঃসংস্কার | ২০১১, ২০১৪,[১] ২০১৬-১৭ |
স্থপতি | এম/এস. ব্যালার্ডি, টমসন অ্যান্ড ম্যাথিউজ প্রাইভেট লিমিটেড; এম/এস. এইচ. কে. সেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস |
ভাড়াটে | |
ভারত জাতীয় ফুটবল দল (১৯৮৪–) মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব (১৯৮৪–) কিংফিশার ইস্ট বেঙ্গল (১৯৮৪–) এটিকে (২০১৪–)[৬] |
বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন[৭] (সল্টলেক স্টেডিয়াম) হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধাননগরে অবস্থিত একটি বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য স্টেডিয়াম। ২০১৭ সালের হিসেব অনুযায়ী, এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ১,২০,০০০।[৪] এই আসনসংখ্যা অনুযায়ী এটি ভারতের বৃহত্তম স্টেডিয়াম।[৪]
১৯৯৭ সালে মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব ও ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের মধ্যে আয়োজিত ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনাল ম্যাচে এই স্টেডিয়ামের সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতির তথ্য নথিভুক্ত হয়। উক্ত ম্যাচে ১৩১,৭৮১ জন দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিলেন।[৫]
২০১৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে স্টেডিয়ামের প্রাকৃতিক ঘাস সংস্কার করা হয় ।[৮]
বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কলকাতার কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬.২ মা) পূর্বে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিধাননগরে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের ধারে অবস্থিত। কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই স্টেডিয়ামের দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার (৮.১ মা)। কলকাতা মেট্রোর নির্মীয়মান ২য় লাইনের একটি স্টেশন এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। ২০১৮ সালের জুন মাসে এই স্টেশনটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।[৯]
স্টেডিয়ামটি ডিম্বাকার। স্টেডিয়ামের ছাদ মেটাল টিউব, অ্যালুমিনিয়াম, শিট ও কংক্রিট দ্বারা নির্মিত। স্টেডিয়ামে দুটি ইলেক্ট্রনিক স্কোরবোর্ড ও কন্ট্রোল রুম আছে। আছে টিভি সম্প্রচারের বিশেষ ব্যবস্থাও। ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজনের নানা অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধাও এই স্টেডিয়ামে উপলব্ধ।
২০১১ সালে পুনঃসংস্কারের পূর্বে এই স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ছিল ১২০,০০০। সেই সময় এটি ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম।[১০] ১৯৮৯ সালে উত্তর কোরিয়ার রুংরাডো মে দিবস স্টেডিয়াম উদ্বোধনের পূর্বে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনই ছিল বিশ্বের বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম। ২০১৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ সহ উক্ত টুর্নামেন্টের একাধিক ম্যাচ এই স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়।[১১][১২] নিরাপত্তাজনিত কারণে এই টুর্নামেন্ট চলাকালীন স্টেডিয়ামের ৮৫,০০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৬৬,৬৮৭টি আসনই দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল।
১৯৮৪ সালের জানুয়ারি মাসে জওহরলাল নেহরু ইন্টারন্যাশানাল গোল্ড কাপ সকার টুর্নামেন্টের আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয়। এর পর বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে এই স্টেডিয়ামে।
১৯৯৭-এর ১৩ জুলাই সর্বোচ্চ এক লাখ ৩১ হাজার দর্শক দেখেছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ।
২০১৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত নির্ণায়ক খেলা এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
২০০৬ সালে টুর্নামেন্টের মূল ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "fifa.com" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে