বিমল গুহ | |
---|---|
জন্ম | বাজালিয়া, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম | ২৭ অক্টোবর ১৯৫২
পেশা | কবি, শিক্ষকতা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
শিক্ষা | স্নাতকোত্তর |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) |
দাম্পত্যসঙ্গী | মিনা গুহ |
সন্তান |
|
বিমল গুহ (জন্ম: ২৭ অক্টোবর ১৯৫২) একজন বাংলাদেশী কবি ও লেখক। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে বাংলাদেশের কবিতায় যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন কবি বিমল গুহ তাদের অন্যতম।[১] কবিতায় অবদান রাখার জন্য তাকে ২০২২ সালে “বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২১” প্রদান করা হয়।[২]
বিমল গুহ ১৯৫২ সালের ২৭ শে অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রসন্নকুমার গুহ এবং মাতা মানদাবালা।[৩] পিতামাতার চার সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।[৪]
বিমল গুহ গ্রামের বাজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে তার মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন। তিনি ১৯৭০ সালে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপরে বাংলা সাহিত্যে ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করেন এবং যুক্তরাজ্যের নেপিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[১][৩]
বিমল গুহ ১৯৮০ সালে মিনা গুহকে বিয়ে করেন। তার তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।[৫]
পেশাসূত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা সংস্থার পরিচালক ও কলেজ পরিদর্শক ছিলেন।[৩][৪]
বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধ্যয়ন বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।[৬]
গুহ সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন ১৯৬৮ সালে যখন তিনি স্কুলের ছাত্র ছিলেন। তার প্রথম কবিতা "আকাশ" ১৯৬৯ সালে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ সাময়িকী "রেশমী" তে প্রকাশিত হয়।[৭] স্বাধীনতা পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় নিয়মিত কাব্যচর্চা শুরু। ১৯৮২ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অহংকার, তোমার শব্দ’। এ পর্যন্ত তার ১৫টি কবিতাগ্রন্থ, ৯টি কিশোর কবিতাগ্রন্থসহ মোট ৩৬টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।[৩][৪][৮] উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো : ‘অহংকার তোমার শব্দ,’ ‘সাঁকো পার হলে খোলাপথ’, ‘স্বপ্নে জ্বলে শর্তহীন ভোর’, ‘নষ্ট মানুষ ও অন্যান্য কবিতা’, ‘প্রতিবাদী শব্দের মিছিল’, ‘বিবরের গান’, ‘প্রত্যেকেই পৃথক বিপ্লবী’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘কবিতাসংগ্রহ’।
বিমল গুহের প্রেম, স্নিগ্ধ ও সমকালীন কবিতাকে স্বদেশি প্রণোদনায় উন্মোচিত বলে আখ্যায়িত করেন অ্যামিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।[১] কবি বিমল গুহ কবিতা ছাড়াও সাহিত্যের অন্যান্য বিষয়েও অবদান রেখেছেন। গবেষণা, সম্পাদনা, ভ্রমণগ্রন্থ রচনা এবং বহু প্রবন্ধ তিনি রচনা করেছেন, যা বহুজন প্রশংসিত। তার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন দেশি-বিদেশি অনেক পুরস্কার।[৪]