বিয়াস

বিয়াস
Salix tetrasperma
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
বিভাগ: Tracheophyta
শ্রেণী: Magnoliopsida
বর্গ: Malpighiales
পরিবার: Salicaceae
গণ: Salix
প্রজাতি: Salix tetrasperma
দ্বিপদী নাম
Salix tetrasperma
Roxb.
প্রতিশব্দ

Salix zollingeri Miq.
Salix wallichii Wimm. ex Anderss.
Salix urophylla Lindl.
Salix suaveolens Arderss.
Salix pyrina Wall.
Salix populifolia Anderss.
Salix nobilis Fries
Salix nilagirica Miq.
Salix myurus Wimm. ex Anderss.
Salix lenta Fries
Salix javanica Anderss.
Salix horsfieldiana Miq.
Salix higelii Wimm. ex Anderss.
Salix glabrescens Lindl.
Salix densa Wall.
Salix cuspidata D. Don
Salix calophylla Wall.
Salix azaolana Blanco
Salix apiculata Anderss.
Pleiarina tetrasperma (Roxb.) N. Chao & G.T. Gong
Pleiarina pyrina (Wall. ex Andersson) N.Chao & J.Liu
Pleiarina populifolia N.Chao & J.Liu

বিয়াস জলসহনীয় মাঝারি আকারের বৃক্ষ। এর ইংরেজি নাম ইন্ডিয়ান উইলো। বৈজ্ঞানিক নাম salix tetrasperma (স্যালিক্স টেট্ট্রাসপার্মা)। বিয়াস গাছ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখতে পাওয়া যায়।[][]

বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

বিয়াস গাছ পানিতে অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে। স্বভাবে এ গাছ তাই অনেকটা হিজল, করচের মতো। বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলে এ গাছ বেশি দেখা যায়। শরৎকালে এ গাছের পাতা ঝরে যায়। পাতা ঝরা শেষে আবার নতুন পাতা গজায়। হেমন্ত ঋতুতে ফুলের কুঁড়ি আসতে শুরু করে এবং এ ঋতুর মাঝামাঝি ফুল ফোটে।[]

ব্যবহার

[সম্পাদনা]

বিয়াস গাছের কাঠের মান ভাল এবং ওজনে বেশ হালকা। এ কাঠ ক্রিকেট খেলার ব্যাট তৈরির উপযোগী। ঘরের আসবাবপত্রকৃষিযন্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই গাছের ফল থেকে তুলা সংগ্রহ করা যায়। বিয়াস গাছের রয়েছে নানা ভেষজগুণ। এ গাছের শিকড়, বাকলপাতা বিভিন্ন অসুখ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। জ্বালানির প্রয়োজনে এ গাছের কাঠ ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ব্যপকহারে এ গাছের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে কমে যাচ্ছে।[]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Jackson, J.K. Manual of afforestation in Nepal. Kathmandu: Forest Research and Survey Center, 1994
  2. বিয়াসগাছের নানা গুণ- দৈনিক প্রথম আলো; লেখক- সৌরভ মাহমুদ; প্রকাশকাল- ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ইং