বিল ইংলিশ | |
---|---|
নিউজিল্যান্ড এর ৩৯তম প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ – ২৬ অক্টোবর ২০১৭ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় এলিজাবেথ |
গভর্নর জেনারেল | পেটসি রেডি |
ডেপুটি | পাওল বেনেট |
পূর্বসূরী | জন কি |
উত্তরসূরী | জ্যাসিন্ডা আর্দ্রেন |
নিউজিল্যান্ড বিরোধী দলের ২৯তম নেতা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৬ অক্টোবর ২০১৭ | |
ডেপুটি | পাওল বেনেট |
পূর্বসূরী | জ্যাসিন্ডা আর্দ্রেন |
কাজের মেয়াদ ৮ অক্টোবর ২০০১ – ২৮ অক্টোবর ২০০৩ | |
ডেপুটি | রজার সোরি |
পূর্বসূরী | জেনি সিপলে |
উত্তরসূরী | ডন ব্রাশ |
নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের নবম নেতা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ | |
ডেপুটি | পাওল বেনেট |
পূর্বসূরী | জন কি |
কাজের মেয়াদ ৮ অক্টোবর ২০০১ – ২৮ অক্টোবর ২০০৩ | |
ডেপুটি | রজার সোরি |
পূর্বসূরী | জেনি সিপলে |
উত্তরসূরী | ডন ব্রাশ |
নিউজিল্যান্ড এর ১৭তম সহ-প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯ নভেম্বর ২০০৮ – ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | জন কি |
পূর্বসূরী | মাইকেল কুলেন |
উত্তরসূরী | পাওল বেনেট |
নিউজিল্যান্ডের ৩৯তম অর্থমন্ত্রীর দপ্তর | |
কাজের মেয়াদ ১৯ নভেম্বর ২০০৮ – ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | জন কি |
পূর্বসূরী | মাইকেল কুলেন |
উত্তরসূরী | স্টিভেন জয়েস |
কাজের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি ১৯৯৯ – ২২ জুন ১৯৯৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | জেনি সিপলে |
পূর্বসূরী | বিল ব্রিচ |
উত্তরসূরী | বিল ব্রিচ |
নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের সহ-প্রধান | |
কাজের মেয়াদ ২৭ নভেম্বর ২০০৬ – ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ | |
নেতা | জন কি |
পূর্বসূরী | গেরি ব্রাউনলি |
উত্তরসূরী | পাওল বেনেট |
কাজের মেয়াদ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০১ – ৬ অক্টোবর ২০০১ | |
নেতা | জেনি সিপলে |
পূর্বসূরী | ওয়াইট ক্রেচ |
উত্তরসূরী | রজার সোরি |
৩য় কোষাধ্যক্ষ | |
কাজের মেয়াদ ২২ জুন ১৯৯৯ – ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | জেনি সিপলে |
পূর্বসূরী | বিল ব্রিচ |
উত্তরসূরী | মাইকেল কুলেন |
নিউজিল্যান্ড জাতীয় সংসদ সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | |
নির্বাচনী এলাকা | জাতীয় দল |
কাজের মেয়াদ ১২ অক্টোবর ১৯৯৬ – ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | নির্বাচনের মাধ্যমে |
উত্তরসূরী | টড বারক্লে |
নির্বাচনী এলাকা | ক্লুতা- সাউথল্যান্ড |
কাজের মেয়াদ ২৭ অক্টোবর ১৯৯০ – ১২ অক্টোবর ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | ড্রেক আঙ্গুস |
উত্তরসূরী | নির্বাচনের মাধ্যমে |
নির্বাচনী এলাকা | ওয়ালশ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সিমন উইলিয়াম ইংলিশ ৩০ ডিসেম্বর ১৯৬১ লুমসডেন, নিউজিল্যান্ড |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | মারি স্কানলন |
সন্তান | ৬ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
সিমন উইলিয়াম বিল ইংলিশ (জন্মঃ ৩০ ডিসেম্বর ১৯৬১) হচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দলের একজন রাজনীতিবিদ যিনি নিউজিল্যান্ডের বিরোধীদলের প্রধান ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে, এর আগেও ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি বিরোধীদলের প্রধান ছিলেন। ইংলিশ নিউজিল্যান্ডের ৩৯তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। এর আগে তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সহ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।[১][২][৩]
ইংলিশ মেরভাইন ইংলিশ এবং নোরাহ ইংলিশ এর ১২ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়।[৪][৫] ইংলিশ জন্মগ্রহণ করেন নিউজিল্যান্ডের লুমসডেন শহরের পাশে।[৬] তিনি উইন্টনের সেইন্ট থমাস স্কুল এ অধ্যয়ন করেন এবং পরে সেইন্ট পেট্রিক কলেজে যান। তিনি স্কুলের প্রথম পঞ্চদশের রাগবি দলের হয়ে রাগবি খেলেন। ইংলিশ বাণিজ্যিক শিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটি অব অটাগোতে যান এবং এরপর ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন থেকে ইংরেজি সাহিত্যের উপর স্নাতক সম্পন্ন করেন।[৭] পড়াশুনা শেষ করে তিনি ডিপটাউনে ফিরে আসে এবং কয়েক বছর কৃষিকাজ করেন।[৭] ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত তিনি ওয়েলিংটন এর নীতি পর্যালোচনাকারী হিসাবে কাজ করেন নিউজিল্যান্ড ট্রেজারিতে।[৮]
ইংলিশ ১৯৮০ সালে জাতীয় দলে যোগদান করেন যখন তিনি ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত। তিনি নিউজিল্যান্ড যুব দলের চেয়ারম্যান হিসাবে এক মেয়াদ দায়িত্ব পালন করেন এবং ওয়ালেস নির্বাচকমন্ডলীর সদস্য হন। ওয়েলিংটনে স্থানান্তরিত হওয়ার পর তিনি আইল্যান্ড বে এবং মিরামার এর নির্বাচক কমিটিতে কাজ করেন।[৯] নিউজিল্যান্ডের ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইংলিশ ওয়ালেস ন্যাশনাল পার্টির প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ান সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ডেরেক আঙ্গুস এর বদলে এবং বিশাল ব্যাবধানে জয় লাভ করে নির্বাচিত হন। সে এবং আরো তিনজন নতুন ন্যাশনাল পার্টি এমপি (টনি রায়াল, নিক স্মিথ এবং রজার সোরি) শীঘ্রই চিহ্নিত হন নিউজিল্যান্ডের রাজনীতির উঠতি তারকা হিসাবে, এবং বিভিন্ন সময় তাদেরকে ডাকা হয় “দা ব্রাট প্যাক”, “গ্যাং অব ফোর” এবং দা “ইয়াং টার্কস” হিসাবে। সংসদের প্রথম মেয়াদে তাকে সমাজ সেবার নির্বাচক কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৯৩ সালে তাকে সংসদের কার্যনির্বাহক করা হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর অধীনে।[৭][১০] ১৯৯৬ সালে তিনি মন্ত্রিসভায় যোগদান করেন এবং ১৯৯৯ সালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান, যদিও তার দল ১৯৯৯ এর সাধারণ নির্বাচনে হারার ফলে তিনি এক বছরেরও কম সময় কাজ করে। ২০০১ সালের অক্টোবরে ইংলিশ জেনি সিপলের উত্তরসূরি হিসেবে জাতীয় দলের নেতা হন এবং যার ফলে তিনি বিরোধী দলের নেতা হন। ২০০২ সালের নির্বাচনে তার দল হারে এবং ২০০৩ সালের অক্টোবরে তাকে সরিয়ে ডন ব্রাশকে নেতা করা হয়। ২০০৬ সালের নভেম্বরে ডন ব্রাশ পদত্যাগ করলে ইংলিশ জন কি এর অধীনে উপনেতা হন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জাতীয়ভাবে জয় লাভের পর ইংলিশকে সহকারী প্রধানমন্ত্রী এবং দ্বিতীয়বারের মত অর্থমন্ত্রী করা হয়। ২০১৬ সালে জন কি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলে ইংলিশ প্রধানমন্ত্রী হন এবং ২০১৬ সালের নিউজিল্যান্ড জাতীয় দল নেতৃত্বের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করে প্রধানমন্ত্রী থেকে যান। ২০১৭ সালের নির্বাচনে জাতীয়দল সবচেয়ে বড় পরিমাণ ভোট(৪৪.৪%) লাভ করে মোট ভোটের এবং সংসদের সবচেয়ে বেশি ৫৬টি আসন লাভ করে।[১১] কিন্তু জাতীয় দলের পর্যাপ্ত আসন ছিল না সরকার চালানোর জন্য তাদের সমর্থক দল মাওরি পার্টি এবং যৌথ পরবর্তী উভয় দল তাদের সংসদের আসন হারানোর জন্য। ফলশ্রুতিতে ইংলিশ ঘোষণা দেন যে "নিউজিল্যান্ডই প্রথমে" নামের একটি জোট গঠনের জন্য আলোচনার।[১২][১৩] এরপর দেশটির দুইটি বৃহৎ দলের আলোচনায় নিউজল্যান্ড প্রথমবারের মত বিরোধীদল শ্রমিক দলের সাথে জোট গঠন করে।[১৪] ইংলিশের উত্তরসূরি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী হন জ্যাসিন্ডা আর্দ্রেন ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর।[১৫]
ইংলিশ পুনরায় জাতীয়দলের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর।[১৬] তিনি ঘোষণা দেন যে তার আশা আছে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত প্রধান হিসাবে থাকা।[১৭]
হবু স্ত্রী, ম্যারি স্কানলন এর সাথে ইংলিশের প্রথম দেখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে একই সময়ে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করছিল। তার পিতামাতা উভয়েই অভিবাসী ছিলেন, তার বাবা ছিলেন স্যামোন এবং মা ইতালীয়। তাদের ছয়টি সন্তান রয়েছে। [১৮]
২০০২ সালে ইংলিশ নিউজিল্যান্ডের টেলিভিশন টিভি ৩ এ “ফাইট ফর লাইফ” এ অংশগ্রহণ করেন যুব-আত্মহত্যা বিরোধী প্রচারণায়।