ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | যোহন উইলহেম জাল্ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লিডেনবার্গ, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | আমকোমাস, নাটাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৮) | ১ জানুয়ারি ১৯১০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ নভেম্বর ১৯২১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ জুলাই ২০১৯ |
যোহন উইলহেম জাল্ক (ইংরেজি: Billy Zulch; জন্ম: ২ জানুয়ারি, ১৮৮৬ - মৃত্যু: ১৯ মে, ১৯২৪) ট্রান্সভালের লিডেনবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯১৯ থেকে ১৯২১ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ‘বিলি’ ডাকনামে পরিচিত বিলি জাল্ক।
কেপ টাউনের গ্রীন এন্ড সী পয়েন্ট হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন। ট্রান্সভালের লিডেনবার্গে জন্মগ্রহণকারী বিলি জাল্কের ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিঘ্নিত হয়। প্রিটোরিয়া বনাম পচেফস্ট্রুমের মধ্যকার খেলায় ১৮০ রানের ইনিংস খেলে শুরুরদিকের সেরা সফলতা লাভ করেন। অনেক ধরনের স্ট্রোক ও শক্ত রক্ষণব্যূহ গড়ে তুলতে পারতেন। চমৎকার ফিল্ডিং করতেন। ইংল্যান্ড গমনের সুযোগ পাননি।
১৯০৮-০৯ মৌসুম থেকে ১৯২৩-২৪ মৌসুম পর্যন্ত বিলি জাল্কের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অভিষেক মৌসুমে ট্রান্সভাল বনাম বর্ডারের মধ্যকার খেলায় প্রথম উইকেটে তিনি ও এ. ডিফোর্ড (৯১) ১৯০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। বেশ কয়েক বছর দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। ১৯০৫-০৬ মৌসুমে প্রিটোরিয়ার সদস্যরূপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। চার মৌসুম পূর্বে কেপ টাউনে শুরু থেকে শেষ অবধি ব্যাটিং করে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এর তিন বছর পরই নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করেন।
১৯০৯-১০ মৌসুমে ট্রান্সভালের সদস্যরূপে ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে ১৭৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। এ পর্যায়ে এল. এ. স্ট্রিকারের (১০১) সাথে প্রথম উইকেট জুটিতে ২১৫ রান তুলেন। এ মৌসুমে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত এইচ. ডি. জি. লেভেসন গাওয়ার একাদশ বনাম রোডেশিয়ার মধ্যকার খেলায় ১৬৮ ও ১৯১৯-২০ মৌসুমে জোহেন্সবার্গে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া ইম্পেরিয়াল ফোর্সের খেলাটিতে ১৩৫ রান করেন। ১৯২০-২১ মৌসুমে ট্রান্সভাল একাদশের পক্ষে সাত ইনিংসে ১০৭.২৮ গড়ে রান তুলেন। এ পর্যায়ে বর্ডারের বিপক্ষে ৬ ও ৬৪; গ্রাহামসটাউনের বিপক্ষে ১৭১, ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ১২৪, গ্রাফ রেইনেটের বিপক্ষে ৭৬ ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে ১৮৫ ও ১২৫ রান তুলেছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ষোলটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন বিলি জাল্ক। ১ জানুয়ারি, ১৯১০ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ নভেম্বর, ১৯২১ তারিখে কেপ টাউনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯১০-১১ মৌসুমে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫০ ও অ্যাডিলেডে ১০৫ রানের টেস্ট ইনিংস খেলেন। প্রথমবারের মতো বিদেশে সফরে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই সেঞ্চুরির উভয়টি করেছিলেন। তন্মধ্যে, ১০৫ রানের ইনিংসটির কল্যাণে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দল জয় পেয়েছিল। প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। এছাড়াও টিপ স্নুকের দূর্দান্ত সেঞ্চুরির কল্যাণে তার দল ৪৮২ রান তুলে। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান ভিক্টর ট্রাম্পারের ২১৪ রান সত্ত্বেও সতীর্থদের ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকা দল ৩৮ রানে জয় পায়। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ১৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
১৯১৩-১৪ মৌসুমে এইচ. ডব্লিউ. টেলরের সাথে চমৎকার উদ্বোধনী জুটি গড়েন। জোহেন্সবার্গে ১৫৩ ও পোর্ট এলিজাবেথে ১২৯ রানের জুটি গড়েন। এ দুই টেস্টে বিলি জাল্কের ৮২ ও ৬০ রানের বিপরীতে এইচ. ডব্লিউ. টেলরের সংগ্রহ ছিল ৭০ ও ৮৭ রান। ১৯২১ সালে অস্ট্রেলিয়া দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। জোহেন্সবার্গের ওল্ড ওয়ান্ডারার্সে সিরিজের ২য় টেস্টে সফরকারী দলের ফাস্ট বোলার টেড ম্যাকডোনাল্ডের বোলিংয়ে জাল্কের ব্যাটের অংশ ভেঙে উইকেটের বেইলে পড়ে যায়। আম্পায়ার হিট উইকেটে আউট হিসেবে ঘোষণা করেন।[৩]
পরবর্তীকালে এমসিসি এ বিষয়ে স্পষ্টতা আনে। ব্যাটের কোন অংশ ভেঙে উইকেটে আঘাত হানলে ব্যাটসম্যান আউট হবেন না; তবে, পুরো ব্যাট উইকেটে লাগলে হিট উইকেটে আউট হবেন।[৪]
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২ ইনিংস খেলার সুযোগ পান। দুইবার অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন। ৩২.৮৩ গড়ে ৯৮৫ রান তুলেন। বিশ্বযুদ্ধের কারণে খেলোয়াড়ী জীবনে বিঘ্ন সৃষ্টি করলেও ৩২.৮৩ গড়ে ৯৮৫ রান তুলতে সমর্থ হয়েছিলেন।
১৯ মে, ১৯২৪ তারিখে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে নাটাল প্রদেশের আমকোমাস এলাকায় মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে বিলি জাল্কের দেহাবসান ঘটে।