ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | উইলিয়াম লয়েড মারডক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | স্যান্ডহার্স্ট, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ১৮ অক্টোবর ১৮৫৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯১১ মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৫৬)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান ও মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩/৭৯) | ৩১ মার্চ ১৮৭৭ অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ মার্চ ১৮৯২ ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৭৫-১৮৯০ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯৩-১৮৯৯ | সাসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯০০-১৯০৪ | লন্ডন কাউন্টি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ মার্চ ২০১৫ |
উইলিয়াম (বিলি) লয়েড মারডক (ইংরেজি: Billy Murdoch; জন্ম: ১৮ অক্টোবর, ১৮৫৪ - মৃত্যু: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯১১) ভিক্টোরিয়ার স্যান্ডহার্স্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দ্বি-শতক রানের অধিকারী ছিলেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।[১] দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করতেন বিলি মারডক।
ক্রিকেট ইতিহাসে অসামান্য নজির স্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার বিলি মিডউইন্টার, বিলি মারডক, জন ফেরিস, স্যামি উডস ও আলবার্ট ট্রট। তারা প্রত্যেকেই ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
গিলবার্ট মারডক ও তার স্ত্রী সুসানা’র (বিবাহ-পূর্ব: ফ্লিজ) সন্তান বিলি মারডক ১৯৬০-এর দশকে নিউ সাউথ ওয়েলসে স্থানান্তরিত হন।[২] সেখানেই বিলি ফ্রেড স্পফোর্থের সাথে আলবার্ট ক্লাবের পক্ষে খেলেন। ১৮৭৫ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর।[৩] ঐ সময় তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষ উইকেট-রক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
১৮৭৯ সালে সিডনিতে লর্ড হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের বিপক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের ব্যাটিংকালে তাকে রান আউট ঘোষণা করায় দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটান জর্জ কোল্টহার্ড। এরপর এনএসডব্লিউ তার প্রত্যাহার দাবী করে ও বিবৃতি দেয় যে, তিনি অনুপযুক্ত।
১৮৮১-৮২ মৌসুমে ডব্লিউ. জি. গ্রেসের পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ত্রি-শতক হাঁকান। ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৩২১ রান তোলেন। ৩৮ চারের মার মেরে এ রান সংগ্রহ করেন। ঐ সময়ে টম হোরানের সাথে বেশ কয়েকটি স্মরণীয় জুটি গড়েন। ১৮৮৮ সালে সলিসিটর হিসেবে কাজ করার যোগ্যতা লাভ করেন ও ‘মারডক এন্ড মারডক’ নামে এক প্রতিষ্ঠানে সহোদর গিলবার্টের সাথে ব্যবসা চালাতে থাকেন।
মারডক তার যুগের সময়কালে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে কয়েক বছর রাজত্ব করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি টেস্ট সিরিজে দলের শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহকারী হন। ৩১ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্টে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন। ১৮৮০, ১৮৮২, ১৮৮৪ ও ১৮৯০ সালে ইংল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলীয় দলে অধিনায়কত্ব করেন।
১৮৮০ সালে ওভালে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১৫৩* করেছিলেন। এ সেঞ্চুরিটি অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবারের মতো হয়েছিল। এর চার বছর পর একই মাঠে ২১১ রান তোলেন যা টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দ্বি-শতক হিসেবে চিহ্নিত। মার্চ, ১৮৯২ সালে কেপটাউনে নিজ জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সতীর্থ জন ফেরিসকে খেলান।
১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলায় অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক হিসেবে তিনি ইংল্যান্ডের পক্ষে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করে দলীয় সঙ্গী টাপ স্কটের ক্যাচ নেন যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা।[৪][৫]
১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯১১ তারিখে মেলবোর্নে ৫৬ বছর বয়সে বিলি মারডকের দেহাবসান ঘটে। ঐ সময় তিনি অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট খেলা উপভোগ করছিলেন। সমাধি দেয়ার জন্য তার দেহ লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে ডিন জোন্স ও প্রমিলা ক্রিকেটার ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিকের সাথে একত্রে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।[৬]
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ডেভ গ্রিগরি |
অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ১৮৮০-১৮৮৪/৮৫ |
উত্তরসূরী টম হোরান |
পূর্বসূরী পার্সি ম্যাকডোনেল |
অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ১৮৯০ |
উত্তরসূরী জ্যাক ব্ল্যাকহাম |
পূর্বসূরী জ্যাক ব্ল্যাকহাম |
অস্ট্রেলীয় টেস্ট উইকেট-রক্ষক ১৮৭৭-১৮৯০ |
উত্তরসূরী এফি জার্ভিস |
পূর্বসূরী বিলি নিউহাম |
সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট অধিনায়ক ১৮৯৩-১৮৯৯ |
উত্তরসূরী রণজিত সিংহ |
রেকর্ড | ||
পূর্বসূরী চার্লস ব্যানারম্যান |
বিশ্বরেকর্ড - টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান সংগ্রহকারী ২১১ ব ইংল্যান্ড, দি ওভাল, ১৮৮৪ |
উত্তরসূরী টিপ ফস্টার |